নাবালককে মাদক খাইয়ে জোর করে সম্পর্ক, অন্তঃসত্ত্বা ৪০ বছরের নারী

নাবালক ছেলে। কিন্তু তাকে দিয়েই নিজের যৌন চাহিদা মেটাতেন এক নারী। অবাস্তব বলে মনে হলেও এই ঘটনা বাস্তব। ১৫ বছর বয়সি এই ছেলেকে এক প্রকার পুতুলের মতো ব্যবহার করতেন এই মহিলা। তবে পরিস্থিতি এর থেকেও এক ধাপ এগিয়ে যায়। এই নাবালকের সঙ্গে সম্পর্কের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন তিনি। সুত্র: মিরর।

তবে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই জেলের ঘানি টানতে হল এই মহিলাকে। নাবালকের সঙ্গে যৌন সস্পর্কে লিপ্ত এই মহিলার নাম সারা ক্যাম্পবেল। ইংল্যান্ডের মার্সেসাইডের বুটলের বাসিন্দা ৪০ বছর বয়সি এই মহিলা গল্ফ কোর্স থেকে শুরু করে ঘরের মধ্যে এই নাবালকের সঙ্গে অবাধ যৌনমিলন শুরু করেছিলেন। এমনকি অভিযুক্ত সারা নির্যাতিতকে মাদক প্রয়োগ করে আচ্ছন্ন রাখতেন বলেও অভিযোগ।

তবে সারা অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর আর চুপ থাকতে পারেনি ওই নাবালক। কাছের এক মানুষকে পুরো ঘটনাটি জানায় সে। এর পরই নাবালককে নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি। সারা ক্যাম্পবেলের বিরুদ্ধে ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে দুই নাবালকের উপর যৌন নির্যাতনের একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে। লিভারপুল ক্রাউন কোর্টে সারার বিচার চলাকালীন উঠে আসে যে, তিনি কী ভাবে ওই নাবালককে মাদক দিয়ে জোর করে সঙ্গম করতে বাধ্য করাতেন। অভিযুক্ত প্রায় নিয়মিত ওই নাবালককে মাদকের নেশায় আচ্ছন্ন রাখতেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

আইনজীবী মার্টিন স্নোডন আদালতে জানান, সারা নিজে নিয়মিত গাঁজা ও কোকেনের মতো মাদক গ্রহণ করতেন এবং নির্যাতিত নাবালককেও করাতেন। সারাই এই মাদকের জোগান দিতেন বলেও অভিযোগ। স্নোডন আদালতে আরও জানান, ওই নাবালক যাতে তাঁর বাড়ির বা এলাকার লোকেদের নজরে না পড়ে তাই তাকে লুকিয়ে বাড়িতে আনতেন অভিযুক্ত সারা।

তবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার পর সমস্ত দোষ অস্বীকার করেন সারা। পাল্টা অভিযোগ আনেন যে, ওই নাবালকই নেশার ঘোরে তাঁকে ধর্ষণ করেছে। তবে আদালতে সারার যুক্তি ধোপে টেকেনি। নাবালকের সঙ্গে জোর করে যৌনমিলনের ফলেই তিনি সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়েন বলেই প্রমাণিত হয়েছে।

সারার বিরুদ্ধে একাধিক যৌন অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছিল। ২০২১ সালে সারার বিরুদ্ধে এই মামলা আদালতে ওঠে। আদালতে ওঠার পরেই সারা ফেরার হন। তাঁর অনুপস্থিতিতেই তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। এরপর আবার বুটলে ফিরে আসার পর সারাকে গ্রেফতার করা হয়।

সারাকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ইয়ান হ্যারিস তাঁকে বলেন, তাঁর কর্মকাণ্ডের জন্য ওই নাবালকের জীবনের অনেকখানি সময় নষ্ট হয়েছে এবং তার জীবনে গভীর দাগ পড়েছে। ওই নাবালককে মাদক খাইয়ে তাঁর সঙ্গে ন’বার জোর করে যৌনসঙ্গম করার অভিযোগে সারাকে মোট সাড়ে ন’বছরের জন্য জেলে পাঠানো হয়।

সারার আইনজীবী সাইমন ক্রিস্টি আত্মপক্ষ সমর্থনে জানান, সারা নিজেই যৌন নির্যাতনের শিকার। কারাগারে থাকাকালীন যাতে সারাকে চিকিৎসকদের সঠিক পরামর্শে রাখা হয়, সেই বিষয়েও আবেদন জানান সাইমন। সাইমন বলেন, সারাকে জেলে সাফাইকর্মীর কাজ দেওয়া হয়েছে এবং তিনি খুব ভাল ভাবেই নিজের দায়িত্ব পালন করছেন।

About admin

Check Also

মেয়ের সঙ্গে ঈদ করা হলো না বাবার

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আবু জাহের। দীর্ঘ চার বছর পর বিদেশ থেকে দেশের মাটিতে ফিরেছেন। দেশে …