পাখিদের অভয়ারণ্য মীরসরাইয়ের আরশিনগর

হলেই পাখিদের কলতানে সৃষ্টি হচ্ছে ভিন্নরকম আবহ। পাইন, নাগাচূড়া, সাউড়াসহ কিছু পাখিবান্ধব গাছকে আপন ঠিকানা ধরে নিয়েছে কয়েকরকম পাখি। নানান জাতের চড়ুই, বাবুই, টুনটুটি পাখির পাশাপাশি, পাশের লেকে মাছ শিকারে আসা মাছরাঙ্গা, স্কারল্যাক, দোয়েলসহ হরেকরকম পাখি দৃষ্টি কেড়েছে অনেক প্রকৃতিপ্রেমীর।

পাখিদের এই আস্তানাটি গড়ে উঠেছে মীরসরাই উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনাপাহাড় এলাকার গাছগাছালি সমৃদ্ধ আরশিনগর ফিউচার পার্কে। পার্কটিতে হাজারো জাতের দেশি-বিদেশি বৃক্ষরাজির সমন্বয় করাতে পাখিদের যেন মনে ধরে যায় জায়গাটি। পার্কের মালিকের ও যেন সাপে বর। তিনি নানান পাখির কররব শুনে এদের জন্য প্রাকৃতিক মুক্ত খাবার ও উন্মুক্ত বাসস্থানের কথা থেকে গাছে গাছে হরেক রকম হাঁড়ি আর বিকালে বেশি পাখির সমাগম বলে বিকাল বেলা নানান ধরনের ধান, কাউন ধান, চালের কণাসহ পাখিদের বিভিন্ন প্রিয় খাবার দিতে লাগলেন। এতেই ওরা যেন মহাখুশি।

বিকাল হলেই পাখিরা দল বেঁধে এসে যেন আসর জমায়। আর হাজার হাজার পাখি যখন শুরু করে চিচির-মিচির তখনই সৃষ্টি হয় ভিন্নতর নান্দনিক আবহ। পাখিদের এই ঠিকানা গড়ে উঠে পার্কের ভেতরের অর্কিচ রেস্টুরেন্টের অপোজিটের সবুজ অভয়ারণ্য অংশে। বিশেষ করে লাটোরা জাতের এক ধরনের নতুন প্রজাতির প্রাকৃতিক পাখিকেই একদম দলবেঁধে একাকার হয়ে চিৎকার করতে দেখা গেছে।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে এখানকার প্রকৃতিবান্ধব অনুকূল পরিবেশের কারণেই পাখিগুলোর সংখ্যা অনেক বেশি এখানে। তাদের কিচির-মিচিরে পার্কের আশপাশ মোহনীয় আবহ সৃষ্টি করেছে। এই পাখিদের বিষয়ে আরেকটি বিষয় লক্ষ্য করা গেছে পাশেই রয়েছে ছোট্ট পরিসরে হলে ও মাছে ভরা একটি কৃত্রিম লেক। মাছ রাঙ্গা আর এই লাটোয়া পাখি দুটোই মাছ শিকারি তাই হয়তো পরিবেশ উপযোগী বলে এই স্থানটিকে পছন্দ করেছে ওরা।

এ বিষয়ে পার্কের প্রতিষ্ঠাতা ও এসব পাখিদের মুক্ত খাবার ও বাসস্থান প্রদানকারী নাছির উদ্দিন দিদার বলেন, আমার নিজের জমির পাশাপাশি রেলওয়ে ও সড়ক থেকে কৃষি অনুমোদন নেয়া আমার এ পার্কটিতে আমি সবুজ বৃক্ষরাজির সমন্বয় করেছি প্রকৃতি প্রেমিক হিসেবেই। পাখিরা ও প্রকৃতির একটি অংশ, দলে দলে পাখি আমার এই পার্কে আসতে শুরু করেছে দেখে আমি ও আনন্দিত এই জন্য যে আমার প্রকৃতিবান্ধব প্রচেষ্টা নিশ্চয়ই পাখিরাও পছন্দ করেছে।

তিনি আরও বলেন, যদি দেখি পাখিরা এখানেই স্থায়ীভাবে থাকছে তাহলে আমার পার্কের একটি অংশ আমি প্রয়োজনে পাখিদের অভয়ারণ্য হিসেবেই ছেড়ে দেব। দর্শকরা শুধু দূর থেকে দেখবে। কেউ ওদের বিরক্ত করার জন্য ওদের কাছে যেতে পারবে না।

About admin

Check Also

ভ্রমণের উপকারিতা: দেশ বিদেশ ভ্রমণ আপনার মধ্যে কি পরিবর্তন আনতে পারে?

ভ্রমণের উপকারিতা: ভ্রমণ মানে শুধু সৈকতের নয়নাভিরাম দৃশ্য চোখে নিয়ে প্রিয় পানীয়তে চুমুক দেওয়া নয়। …