ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে আজ থেকে ই-পাসপোর্টে যাত্রা শুরু বাংলাদেশের।
ই-পাসপোর্টের আবেদন করতে হলে প্রথমে (www.epassport.gov.bd) এই ওয়েবসাইটে লগ ইন করতে হবে। ওয়েবসাইটে ঢুকে ডিরেক্টলি টু অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনে (Directly to online application) ক্লিক করতে হবে।
বাংলাদেশে ২২ জানুয়ারি থেকে চালু হয়েছে ই-পাসপোর্ট বিতরণ কর্মসূটি। ই-পাসপোর্ট চালু হলেও বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য আগের মতোই তিন রঙের পাসপোর্ট চালু থাকবে।
আসুন জেনে নিই কোন রঙের পাসপোর্ট কাদের জন্য
পাসপোর্টের তিন রঙ
বাংলাদেশে মূলত তিন রঙের পাসপোর্ট চালু আছে। এই তিনটি রঙ ভিন্ন ধরন ও ব্যবহার নির্দেশকারী প্রতীক হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে।
বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের পরিচালক মোহাম্মদ আবু সাঈদ বলেন, প্রথমে পাসপোর্ট ছিল তিন ধরনের। অর্ডিনারি বা সাধারণ পাসপোর্ট, স্পেশাল বা বিশেষ পাসপোর্ট এবং ডিপ্লোম্যাটিক বা কূটনৈতিক পাসপোর্ট।
বিশেষ পাসপোর্ট কেবলমাত্র ভারতে যাবার জন্য ইস্যু করা হতো বলে সেটি ইন্ডিয়ান পাসপোর্ট নামেও পরিচিত ছিল।
২০১০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশি সাধারণ পাসপোর্টের রঙ ছিল সবুজ, আর কূটনৈতিক পাসপোর্ট ছিল লাল রঙের। এ ছাড়া ইন্ডিয়ান পাসপোর্টের রঙও ছিল লাল। তবে সেটি কূটনৈতিক পাসপোর্টের চেয়ে কিছুটা আলাদা রঙের। ২০১০ সালের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের সব পাসপোর্ট হাতে লেখা ছিল।
কিন্তু ২০১০ সালে ইন্টারন্যাশনাল সিভিল অ্যাভিয়েশন অর্গানাইজেশন আইকাওয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী– মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট বা এমআরপি চালু করা হয়।
কোন পাসপোর্ট কার জন্য?
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পাসপোর্টের রঙ ভিন্ন ভিন্ন হয়। কিন্তু যে দেশ যে রঙ এরই পাসপোর্ট দিক না কেন, সেটি অবশ্যই ইন্টারন্যাশনাল সিভিল অ্যাভিয়েশন অর্গানাইজেশন আইকাওর কাছ থেকে পাসপোর্ট এর রঙের আর নকশার ছাড়পত্র নিতে হয়।
তবে সাধারণভাবে পৃথিবীতে লাল, নীল, সবুজ ও কালো এই চারটি রং এর ভিন্ন ভিন্ন ডের হয়।
বাংলাদেশে সাধারণভাবে সকলের জন্য সবুজ রং এর পাসপোর্ট চালু থাকলেও, দেশে আরো দুটি রং অর্থাৎ নীল এবং লাল পাসপোর্ট চালু রয়েছে।
কাদের জন্য কোন রঙ এর পাসপোর্ট?
সবুজ পাসপোর্ট
ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের পরিচালক সাঈদ বলেন, জন্ম ও বৈবাহিক উভয় সূত্রে বাংলাদেশের সব নাগরিকের জন্য সবুজ পাসপোর্ট। এই রঙের পাসপোর্টে বিদেশে গমনের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশের ভিসার প্রয়োজন হয়।
নীল পাসপোর্ট
নীল রঙের পাসপোর্টকে বলা হয় অফিসিয়াল পাসপোর্ট। সরকারি কাজে কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী দেশের বাইরে ভ্রমণ করতে হলে এই অফিসিয়াল পাসপোর্ট ব্যবহার করা হয়।
এ পাসপোর্ট করার জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি অফিসের অনুমোদন বা গভর্নমেন্ট অর্ডার (জিও) প্রয়োজন হয়। নীল পাসপোর্টধারী ব্যক্তিরা অন্তত ২৭ দেশে বিনাভিসায় ভ্রমণ করতে পারবেন।
লাল পাসপোর্ট
লাল পাসপোর্টকে বলা হয় ডিপ্লোম্যাটিক বা কূটনৈতিক পাসপোর্ট। এই পাসপোর্ট পাবেন রাষ্ট্রপ্রধান, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য এবং তাদের স্পাউস অর্থাৎ স্বামী বা স্ত্রী।
এ ছাড়া উচ্চতর আদালতের বিচারপতি, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের প্রধান, মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বিদেশে বাংলাদেশি মিশনের কর্মকর্তারা লাল পাসপোর্ট পান।
লাল পাসপোর্ট যাদের আছে, তাদের বিদেশ ভ্রমণের জন্য কোনো ভিসা প্রয়োজন হয় না। তারা সংশ্লিষ্ট দেশে অবতরণের পর অন-অ্যারাইভাল ভিসা পান।
Sotto TV We Publish technology, various types of tips, career tips, banking information, methods of earning online