‘অন্য কারো হতে না দিতে’ শ্বাসরোধের পর প্রেমিকার গলা কাটেন জয়, নিজেও দেন ফাঁস

এসএসসি পাস করে চাকরির সন্ধানে ছিলেন জয় বড়ুয়া। বেকার থাকায় সময় দিতেন বাবার চায়ের দোকানে। অন্যদিকে, স্থানীয় একটি কলেজে স্নাতক প্রথম বর্ষে পড়তেন অন্বেষা চৌধুরী। তবে সম্প্রতি কলেজে যাওয়া ছেড়ে দিয়ে শুরু করেন টিউশন। পাশাপাশি পাড়ায় বাড়ি হওয়ায় একসময় জয় ও অন্বেষার মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক।

সেই সম্পর্ক বছর দুয়েক স্থায়ী হলে হঠাৎ জয় জানতে পারেন- অন্য কারো সঙ্গে অন্বেষার বিয়ে ঠিক করেছে পরিবার। কিন্তু এমন খবর কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি জয়। নিজের সব আশা বিসর্জন দিয়ে প্রিয়তমা অন্বেষাকে করেন খুন, প্রাণ দেন নিজেও। রোববার রাতে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার পাহাড়তলী ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়ার্ডের মহামুনি ভগবান দারোগার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। জয় বড়ুয়া ঐ এলাকার নিলেন্দু বড়ুয়া নিলুর ছেলে।

অন্বেষা চৌধুরী একই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বড়ুয়া পাড়ার রনজিত চৌধুরী বাবলুর মেয়ে। জানা গেছে, আগামী ১০ মার্চ ফ্রান্স প্রবাসী এক ছেলের সঙ্গে অন্বেষার বিয়ের তারিখ ঠিক করে তার পরিবার। কিন্তু বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি জয়। তাই ক্ষিপ্ত হয়ে রোববার রাতে টিউশন শেষে বাড়ি ফেরার পথে চাচা সুব্রত বড়ুয়ার ফাঁকা ঘরে অন্বেষাকে ডেকে নেন। শ্বাসরোধে হত্যার পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলায় চালান ছুরি।

অন্বেষাকে হত্যার পর ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে জয় নিজেও আত্মহত্যা করেন। সন্ধ্যার পর জয়কে খুঁজতে বের হন তার বোন জুঁই বড়ুয়া। ঐ সময় ঘরের ভেতর থেকে গোঙানির শব্দ শুনতে পান তিনি। বিষয়টি স্থানীয়দের জানালে কয়েকজন মিলে ঘরটিতে প্রবেশ করেন। জয় ও অন্বেষার থাকা কক্ষটি ভেতর থেকে তালাবদ্ধ ছিল।

পরে কক্ষটির দরজা ভেঙে জয়কে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় এবং অন্বেষাকে গলায় ওড়না পেঁচানো ও ছুরি ঢোকানোসহ রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন তারা। জেলা পুলিশের সিনিয়র এএসপি (রাঙ্গুনিয়া-রাউজান সার্কেল) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, লাশ দুটি উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।

About admin

আমার পোস্ট নিয়ে কোন প্রকার প্রশ্ন বা মতামত থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন অথরা মেইল করতে পারেন admin@sottotv.com এই ঠিকানায়।