ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলের কারণে দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ১০টি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় সিলেট ও রংপুর অঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। শুক্রবার (১৭ জুন) বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বাপাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এ তথ্য জানিয়েছে।
এ বিষয়ে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ৭২ ঘন্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের আসাম, মেঘালয় ও হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গের কতিপয় স্থানে মাঝারি থেকে ভারী, কোথাও কোথাও অতিভারী বৃষ্টিপাতের শঙ্কা রয়েছে। ফলে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, গঙ্গা-পদ্মা, সুরমা, কুশিয়ারা, তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমারসহ সব প্রধান নদ-নদীর পানি বাড়ার ধারা অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণা জেলার বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হতে পারে।
জানা গেছে, সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১০৮, সিলেট পয়েন্টে ৭০ এবং সুনামগঞ্জ পয়েন্টে ১২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি হাতিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬০ এবং চিলমারী পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দুধকুমার নদীর পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ধরলার পানি কুড়িগ্রাম পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯ এবং তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়া সারিগোয়াইন নদীর পানি সারিঘাটে বিপৎসীমার ২৩, পুরাতন সুরমা নদীর পানি দেরাই পয়েন্টে বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।লরেরগড়ে বিপৎসীমার ১৫৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে যাদুকাটা নদীর পানি। সোমেশ্বরী নদী কমলাকান্দা পয়েন্টে ৫৬ এবং ভুগাই নদী নাকুয়াগাঁও পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
Sotto TV We Publish technology, various types of tips, career tips, banking information, methods of earning online