বিজিবি বেতন স্কেল। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বাহিনীর বেতন কাঠামো কত?

বিজিবির বেতন স্কেল :

অষ্টম জাতীয় পে-স্কেলে বিজিবির জন্য ২০টি গ্রেড রাখা হয়েছে। গ্রেড-এক-এ বেতন রাখা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা, গ্রেড-দুই ৪৩ হাজার টাকা, গ্রেড-তিন ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা, গ্রেড-চার ২৯ হাজার টাকা, গ্রেড-পাঁচ ২২ হাজার টাকা, গ্রেড-ছয় ১৬ হাজার টাকা, গ্রেড-সাত ১৫ হাজার টাকা, গ্রেড-আট ১৪ হাজার ৫০০ টাকা, গ্রেড-নয় ১৩ হাজার ৫০০ টাকা, গ্রেড-দশ ১২ হাজার ৭০০ টাকা, গ্রেড-এগার ১২ হাজার ৫০০ টাকা, গ্রেড-বারো ১১ হাজার ৩০০ টাকা, গ্রেড-তের ১১ হাজার টাকা, গ্রেড-চৌদ্দ ১০ হাজার ২০০ টাকা, গ্রেড-পনেরো ৯ হাজার ৭০০ টাকা, গ্রেড-ষোল ৯ হাজার ৩০০ টাকা, গ্রেড-সতেরো ৯ হাজার টাকা, গ্রেড-আঠারো ৮ হাজার ৮০০ টাকা, গ্রেড-উনিশ ৮ হাজার ৫০০ এবং গ্রেড-বিশ ৮ হাজার ২৫০ টাকা।

বিজিবির বিভিন্ন ধরনের ভাতা :

সহকারী পরিচালক এবং তদূর্ধ্ব মর্যাদার কর্মকর্তারা আউটফিট ভাতা (চাকরিতে প্রথম নিযুক্তিতে) পাবেন ১২ হাজার ৪৯৭ টাকা। এছাড়া কিট ভাতা প্রতি মাসে ৪৫৯ টাকা, বিশেষ ভাতা ২৭৪ টাকা, ব্যাটম্যান ভাতা ৫৪৫ টাকা। পাশাপাশি জুনিয়র কর্মকর্তা, পদবিধারী বর্ডার গার্ড সদস্য এবং তালিকাভুক্ত বর্ডার গার্ড সদস্যদের মধ্যে কোয়ার্টার মাস্টার হাবিলদার মাসিক ৭৫ টাকা, কোম্পানি সিগন্যাল এবং হাসপাতাল ৬০ টাকা, হাবিলদার মেজর ১০০ টাকা, কোম্পানি সিগন্যাল এবং হাসপাতাল ৬০ টাকা, পে-হাবিলদার, নায়েক ৪৫ টাকা হারে নিযুক্ত ভাতা পাবেন।

বিজিবির জন্য যেসব বিশেষ ভাতা দেয়া হয়েছে-

মেকানিক এবং ইলেকট্রিশিয়ান ইউনিট : বিশেষ ভাতা হিসেবে সিপাহি এবং ল্যান্স নায়েক ৭৫ টাকা, নায়েক এবং হাবিলদার ১১৫ টাকা, হেড কোয়ার্টারের নায়েব সুবেদার ১৩০ টাকা ও সুবেদার পাবেন ১৪৫ টাকা। আরমরার স্টাফ : সিপাহি ও ল্যান্স নায়েক পাবেন ৭৫ টাকা, নায়েক পাবেন ১১৫ টাকা, হাবিলদার ১৩০ টাকা, নায়েব সুবেদার ও সুবেদার পাবেন ১৪৫ টাকা এবং ইন্সপেক্টর অব স্মল আর্মস (সুবেদার) পাবেন ২৭৫ টাকা হারে এই ভাতা।

রেডিও মেকানিক ও ফিটার : এ বিভাগের গ্রেড-১-এর ভাতা ২৭৫ টাকা, গ্রেড-২-এর ভাতা ২৪৫ টাকা ও গ্রেড-৩-এর ভাতা ১৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অপারেটর : এ বিভাগেও গ্রেড-১-এর ভাতা ১৭৫ টাকা, গ্রেড-২-এর ভাতা ১৪৫ টাকা ও গ্রেড-৩-এর ভাতা ১৩০ টাকা দেয়া হবে।

তালিকাভুক্ত সহকারী :

বিশেষ ভাতার ক্ষেত্রে এ বিভাগের সিপাহি ও ল্যান্স নায়েক (যারা উচ্চ মাধ্যমিক পাস তাদের জন্য প্রযোজ্য) ১০০ টাকা, নায়েক অ্যাসিস্টেন্স ১১৫ টাকা, হাবিলদার অ্যাসিস্টেন্ট, নায়েব সুবেদার অ্যাসিস্টেন্ট, সুবেদার অ্যাসিস্টেন্ট, সুবেদার মেজর অ্যাসিস্টেন্ট ও সাঁটলিপিকারদের ভাতা ১৭৫ টাকা ধরা হয়েছে। ল্যাব টেকনিশিয়ান : এ বিভাগের গ্রেড-১-এর ভাতা ২৭৫ টাকা, গ্রেড-২-এর ভাতা ২৪৫ টাকা ও গ্রেড-৩-এর ভাতা ১৮৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অপারেশন থিয়েটার অ্যাসিস্টেন্ট :

এ বিভাগের গ্রেড-১-এর ভাতা ২৭৫ টাকা, গ্রেড-২-এর ভাতা ২৪৫ টাকা ও গ্রেড-৩-এর ভাতা ১৪৫ টাকা। রেডিওগ্রাফার : এ বিভাগের গ্রেড-১-এর ভাতা ১৪৫ টাকা, গ্রেড-২-এর ভাতা ১১৫ টাকা ও গ্রেড-৩-এর ভাতা ১৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইন্সট্রাকশনাল এলাউন্স : নায়েক, হাবিলদার, নায়েব সুবেদার, সুবেদার ও সুবেদার মেজর ১১৫ টাকা হারে এ ভাতা পাবেন।

অ্যাক্টিং অ্যালাউন্স :

জুনিয়র কর্মকর্তা ৫৪৫ টাকা, হাবিলদার ৬০ টাকা। এছাড়া ব্যাটম্যান ভাতা জুনিয়র কর্মকর্তা ৫৪৫ টাকা, চুলকাটা ও ধোলাই ভাতা ১১৫ টাকা, গার্ড পুলিশ ভাতা ৪৫ টাকা, যাতায়াত ভাতা ১৪৫ টাকা, ছুটিকালীন রেশন মানি ১৫ টাকা, জ্বালানি কাঠ ভাতা ১৭০ টাকা, স্টাফ নার্সদের পোশাক ভাতা ৩৯০ টাকা, স্টাফ নার্সদের ধৌতভাতা ১৩০ টাকা দেয়া হবে।

পুলিশের পে-স্কেল :

পুলিশ বিভাগে সর্বোচ্চ বেতন ৭৮ হাজার টাকা এবং সর্বনিম্ন ৮২৫০ টাকা। অন্য ১৮টি গ্রেডের বেতন রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ও স্ব-শাসিত প্রতিষ্ঠানের মতোই। তবে তাদের দেয়া হয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভাতা।

বিশেষ ভাতা :

এএসপি (কোয়ার্টার মাস্টার হিসাবে) ২৭০ টাকা, এএসপি (অ্যাডজুটেন্ট হিসেবে) ২৭০ টাকা, এএসআই (সশস্ত্র) ৬০ টাকা, অতিরিক্ত এএসপি (সার্কেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত) ২৭৫ টাকা, এএসপি (সার্কেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত) ২৬৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া বিশেষ শাখা ও জেলা এসবির এএসপির ভাতা ৩৬০ টাকা, পরিদর্শক ২৭০ টাকা, এসআই/সার্জেন্ট ২৭০ টাকা, এএসআই (সশস্ত্র) ৭৫ টাকা, কনস্টেবল ৪৫ টাকা, গার্ড কনস্টেবল ৪৫ টাকা। পাশাপাশি মেট্রোপলিটন পুলিশের ক্ষেত্রে এসআই, সার্জেন্ট, এএসআই, নায়েক ও কনস্টেবল এই ভাতা পাবেন ৬০ টাকা হারে। সিআইডি বিভাগের এএসআই পাবেন ৩৬০ টাকা, পরিদর্শক ২৭০ টাকা ও এসআই ১৮৫ টাকা, এএসআই ও কনস্টেবল পাবেন ৪৫ টাকা হারে।

পুলিশের প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে বিশেষ ভাতা হিসেবে এএসপি ৩৬০ টাকা, পরিদর্শক ২৭০ টাকা, এসআই ১৮৫ টাকা, এএসআই ৭৫ টাকা হারে ভাতা পাবেন। এছাড়া আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে এসপি ৯০০ টাকা, অতিরিক্ত এসপি ৭২০ টাকা, এএসপি ৫৫০ টাকা, অ্যাক্টিং অ্যালাউন্স পরিদর্শক ১৮৫ টাকা, এএসআই ৪৫ টাকা পাবেন।

নিঃশর্ত যাতায়াত ভাতা :

স্পেশাল ব্রাঞ্চ ও জেলা এসবির পরিদর্শক, এসআই, সিআইডির পরিদর্শক, এসআই প্রত্যেকে ১৮৫ টাকা হারে ভাতা পাবেন।

কিট ভাতা :

সব পোশাকধারী শাখার ক্ষেত্রে এএসপি হতে তদূর্ধ্ব কর্মকর্তাদের (প্রারম্ভিক) ১০ হাজার ৭১৫ টাকা, এসপি থেকে তদূর্ধ্ব কর্মকর্তাদের (বার্ষিক নবায়ন) ৬৫৯০ টাকা, পুলিশ পরিদর্শকদের (আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের পরিদর্শক ব্যতীত) ৫৩৫৫ টাকা এবং বার্ষিক নবায়ন মঞ্জুরি ৪৩৯৫ টাকা। এছাড়া কিট ভাতা এসবি, সিআইডি ও ডিবির ক্ষেত্রে এসআই (প্রারম্ভিক) ১৭৮৫ টাকা, এসআই বার্ষিক ৯০০ টাকা, এএসআই ও সব ইউনিটের কনস্টেবলের জন্য ১২৬০ টাকা। খোরাকি ভাতা ৫১০ টাকা।

বিজিবি সৈনিকদের বেতন & আবেদনের যোগ্যতা:

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ‘সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী’ হিসেবে সীমান্ত সুরক্ষা, চোরাচালান প্রতিরোধ, নারী-শিশু ও মাদক পাচারসহ যেকোনো ধরনের সীমান্ত অপরাধ প্রতিরোধের পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। যাঁরা বিজিবিতে পেশা গড়ে সীমান্ত রক্ষা ও দেশ সেবা করতে চান, তাঁরা আবেদন করতে পারেন এই পদটিতে।

আবেদনের যোগ্যতা:

প্রার্থীকে এসএসসি পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ-৩ এবং এইচএসসি পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ-২ দশমিক ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ২৩ বছর। উচ্চতা হতে হবে ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি। আর ওজন হতে হবে সর্বোচ্চ ৪৯ দশমিক ৮৯৫ কেজি। বুকের মাপ হতে হবে ৩২ ইঞ্চি থেকে ৩৪ ইঞ্চি। দৃষ্টিশক্তি লাগবে ৬/৬। তবে উপজাতিদের উচ্চতা, ওজন, বুকের মাপের ক্ষেত্রে ভিন্নতা আছে। প্রার্থীকে অবশ্যই সাঁতার জানতে হবে।

বিজিবি সৈনিকদের বেতন

বেতন-ভাতা ও পদোন্নতি:

চূড়ান্তভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত একজন সিপাহি জাতীয় বেতন স্কেল ২০০৯ অনুযায়ী ৯ হাজার ৯৫ টাকা বেতন পাবেন। এ ছাড়া চাকরি স্থায়ী হওয়ার পর বাসস্থান, চিকিৎসা সুবিধা, রেশন, সন্তানদের পড়াশোনার খরচ, ৩০ শতাংশ সীমান্ত ভাতা, প্রভিডেন্ট ফান্ড ইত্যাদি সুযোগ-সুবিধা পাবেন। একজন সিপাহি তাঁর যোগ্যতার ভিত্তিতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও পরীক্ষার মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়ে ল্যান্স নায়েক, নায়েক, হাবিলদার, নায়েব সুবেদার, সুবেদার এমনকি বিভাগীয় অফিসার পর্যন্ত হতে পারেন।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

ভর্তিসংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য ভিজিট করতে পারেন www.bgb.gov.bd এই ঠিকানায়।

ভর্তির সময় প্রার্থীকে অবশ্যই এসএসসি এবং এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় পাসের মূল/প্রভিশনাল সনদ, সংশ্লিষ্ট স্কুল বা কলেজের প্রধান শিক্ষক বা অধ্যক্ষ কর্তৃক এইচএসসি বা সমমান এবং এসএসসি বা সমমান পাসের প্রশংসাপত্র (যাতে প্রার্থীর স্থায়ী ঠিকানা ও জন্মতারিখ উল্লেখ থাকবে), অভিভাবকের অনুমতিপত্র, ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভা চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড কমিশনারের কাছ থেকে বাংলাদেশি স্থায়ী নাগরিকত্বের সনদ, চারিত্রিক সনদ, সদ্য তোলা ১০ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি (সত্যায়িত ব্যতীত) এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপিসহ সত্যায়িত ছায়াকপি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে আনতে হবে।

নির্বাচন প্রক্রিয়া:

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিজিবির বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত সেক্টরগুলোর সেক্টর কমান্ডারের নেতৃত্বে প্রার্থীদের পর্যায়ক্রমে প্রথমে প্রাথমিক ডাক্তারি পরীক্ষা নেওয়া হবে। এখান থেকে নির্বাচিত প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। লিখিত পরীক্ষা সাধারণত বাংলা, গণিত, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞানের ওপর মোট ১০০ নম্বরের হয়ে থাকে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের আবার চূড়ান্ত ডাক্তারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। এখানে প্রার্থীদের বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ করা হবে। এরপর তাদের আবার পুলিশ ভ্যারিফিকেশনের মাধ্যমে সঠিক তদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে নিয়োগপত্র দেওয়া হবে।

About admin

Check Also

পানি উন্নয়ন বোর্ডে বিশাল নিয়োগ, নেবে ১৫৪ জন

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন শূন্য পদে একাধিক লোকবল নিয়োগের …