নিজেরাই নিজেদের অন্তরঙ্গ ভিডিও করে ভাইরাল করতেন ইন্টারনেটে

বাসার বাইরের পরিবেশটা বেশ নিরিবিলি। ভেতরে লাল-নীল বাতিতে জাঁকজমকভাবে সাজানো। নিরিবিলি এ বাসার ভেতরেই চলতো বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ। অল্প সময়ে লাখপতি হওয়ার জন্য বানাতেন পর্নোগ্রাফি ভিডিও। তাও নিজেরাই নিজেদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ হয়ে ভিডিও বানাতেন। আর এসব ভিডিও ছেড়ে ভাইরাল করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে।

অবশেষে এ চক্রের পাঁচ সদস্য ধরা পড়েছেন র‌্যাবের হাতে। সোমবার রাতে বগুড়ার জলেশ্বেরীতলা ডেকান্স টাওয়ারের ১০ম তলার ১০-এর ডি ফ্ল্যাট এবং সুত্রাপুরের রানী মহলের পঞ্চম তলার পশ্চিম পাশের ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে নারীসহ পাঁচজনকে আটক করে র‌্যাব। এর মধ্যে দুজন নারী ও তিনজন পুরুষ রয়েছেন। আটকরা হলেন- নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার কালিগ্রামের ৪০ বছর বয়সী আতাউর রহমান রানা, চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার

কোটাবাড়ী গ্রামের ২৪ বছর বয়সী রুম্পা আক্তার, সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা উপজেলার ঘুরকা বেলতলা গ্রামের ২০ বছর বয়সী সাথী খাতুন, বগুড়া সদরের সাবগ্রাম মধ্যপাড়া গ্রামের ৩৯ বছর বয়সী স্বপন ও বগুড়া আদমদীঘি উপজেলার কয়াকুন্টি গ্রামের ২৫ বছর বয়সী হানিফ প্রামাণিক। র‌্যাব-১২ এর অধিনায়ক (হাটিকুমরুল, সিরাজগঞ্জ) মিডিয়া অফিসার (সহকারী পুলিশ সুপার) মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আটক হওয়া পাঁচজনই বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলা ও সূত্রাপুর এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে পর্নোগ্রাফি ভিডিও বানাচ্ছিলেন।

তারা একে অপরের সঙ্গে যৌনসঙ্গমে লিপ্ত হয়ে বিভিন্ন ধরনের পর্নোগ্রাফি ভিডিও এবং স্থিরচিত্র ধারণ করে ইন্টারনেটে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে পর্নোগ্রাফি ভিডিও তৈরির কাজে ব্যবহৃত দুটি ল্যাপটপ, দুটি পেনড্রাইভ, দুটি আলোকসজ্জা লাইট,

একটি যৌন উত্তেজক ভাইব্রেশন যন্ত্র, একটি সাউন্ড বক্স, একটি বেল্টযুক্ত প্লাস্টিকের কৃত্রিম পেনিস, একটি চার্জার ব্যাটারি, দুটি এলইডি লাইট, আটটি মোবাইল ফোন, ১৫টি ইয়াবা ও পর্নোগ্রাফি তৈরি সংক্রান্তে নিয়োগের শর্তাবলী চুক্তিনামা কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়। র‌্যাব কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজার রহমান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক হওয়া পাঁচজনই তাদের অপরাধ স্বীকার করেন। পরে তাদের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ ও মাদক আইনে মামলা দিয়ে বগুড়া সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।