এই ১০ উপায়ে সন্তান বু’’দ্ধিমান ও মেধাবী হবে- ঘরের পরিবেশ আপনার সন্তানকে পড়াশোনায় মনোযোগী ‘’হতে সাহায্য করে। মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে সন্তানকে গড়ে তোলায় বাড়ির পড়ার স্থান বিশেষ গু’’রুত্বপূর্ণ।
তেমনি আরও কিছু বি’ষয় আছে যা সন্তানের মেধা ‘বিকাশে বিশেষ প্রভাব ফেলে। ‘রিডার্স ডাইজেস্ট’ অবলম্বনে জানানো হলো ১২ টি উপায়, যা আপনার সন্তানকে মেধাবী করতে সহায়তা করবে।
১। রুটিন মেনে চলতে শেখান:
আপনার সন্তানকে পরিকল্পনা করতে শেখান। সময়ের কাজ সময়ে করতে রুটিন তৈরি করুন ও তা মেনে চলতে শেখান। বিশেষ করে সকালে ঘু’ম থেকে ওঠার অভ্যাস করানোটা খুবই গু’’রুত্বপূর্ণ।
শুধু তাই নয় নির্দি’ষ্ট স্থানে তাকে জিনিসপত্র রাখতে শেখান। যেমন- স্কুল থেকে এসে ব্যাকপ্যাক রাখার জায়গা ঠিক করে দিন যেন সকালে খোঁজাখুজি করতে না হয়।
২। প্রতিদিন পড়ার আগে একটু বিনোদন:
স্কুল থেকে এসেই পড়ার টেবিলে বসানো নয়, বরং তাকে পোশাক ছাড়তে বলুন। হালকা নাশতা খেতে দিন। পড়ার টেবিলে বসার আগে অবশ্যই তার বিনোদনের ব্যবস্থা রা খু’ন। ‘’হতে পারে তা টেলিভিশন দেখা অথবা বাইরে একটু খেলতে যাওয়া।
৩। কাজের তালিকা তৈরি:
বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠানগু’’লো মনে রাখার জন্য সন্তানের ঘরের পড়ার টেবিলের সামনে রা খু’ন হোয়াইট বোর্ড। অথবা আর্ট পেপারে রং করেও বানিয়ে নিতে পারেন ছোট ক্যালেন্ডার।
সেখানে তার খেলার দিন, বন্ধুদের জন্ম’দিন সবকিছু উল্লেখ থাকবে। সে বুঝতে শিখবে আপনি তাকে কতটা গু’’রুত্ব দিচ্ছেন।
৪। পড়ার টেবিল থাকুক গোছানো ও শান্ত:
বিশেষজ্ঞরা জানান, পড়ার আলাদা টেবিল ছাড়াও ডাইনিং টেবিল, কিচেন কাউন্টার এবং ঘরে যদি আপনার ছোট্ট কাজের জায়গা থাকে তবে সেখানেও সন্তানরা পড়তে পারবে।
এর জন্য আপনাকে অবশ্যেই খেয়াল রাখতে হবে সন্তানদের পড়ার জন্য যা প্রয়োজন তা যেন হাতের কাছে থাকে, শান্ত পরিবেশ ও গোছানো থাকে। এতে তার পড়া থেকে মনোযোগ সরবে না।
৫। মাঝে মাঝে দিন ব্রেক:
সবসময় পড়ার কথা বলবেন না সন্তানদের। হালকা বিশ্রামের জন্য তাদের বন্ধুদের স’ঙ্গে ফোনে কথা বলতে দিন। গেম খেলুক সে। তবে দেখবেন বিছানায় শুয়ে শুয়ে যেন সে স্মা’র্টফোন না ঘাটে।
৬। মাঝে মাঝে বদলে যাক পড়ার স্থান:
সন্তানের পড়ার ঘরে থাকুক পর্যা’’প্ত আলো-বাতাস। ঘরের দেয়ালের রং যেন গাঢ় না হয় সেদিকে খেয়াল রা খু’ন। এতে শিশুর সৃজনশীলতা ন’ষ্ট হয়। সবসময় পড়ার ঘরের দেয়াল রা খু’ন হালকা শেডের।
৭। দূরে থাকুক অ’প্রয়োজনীয় জিনিস:
পড়ার টেবিলে কখনোই অ’প্রয়োজনীয় জিনিস রাখবেন না। যদি কোনো কিছু অশোভন দেখায়, ‘’হতে পারে তা বইয়ের স্তুপ তবে বড় ফটো ফ্রেম দিয়ে ঢেকে রা খু’ন।
সন্তানকে ফাইল অর্গানাইজার কিনে দিন। দিতে পারেন কনটেইনার। কনটেইনারে অবশ্যই কাগজ দিয়ে ট্যাগ দিয়ে নেবেন। কাগজে লেখা থেকেই শিশু জেনে নিতে পারবে কী আছে সেখানে।
৮। পর্যা’’প্ত আলো রা খু’ন ঘরে:
স্কুলের বাড়ির কাজে শিশুদের অনেক সময় ব্যবহার করতে হয় গ্রাফ পেপার। রেখাচিত্র আঁকাসহ অনেক সূক্ষ কাজ করতে দেওয়া হয় তাদের। এ কাজে প্রয়োজন উজ্জ্বল আলো। সন্তানের ঘরে তাই অকৃপণভাবে রা খু’ন পর্যা’’প্ত আলো।
৯। পড়ার ঘর হোক আরা’ম’দায়ক ও বুক শেলফ রা খু’নঃ
পড়ার ঘরে পর্যা’’প্ত পরিমাণ খালি স্থান রা খু’ন। সেখানে যেন থাকে সন্তানের পছন্দের খেলনা। ছোট্ট নরম টেডি বিয়ার, বিভিন্ন আকৃতির বালিশ ঘরের মধ্যে তাদের আরাম এনে দিবে।
শুধু কি পড়ার বই পড়বে আপনার সন্তান? একঘেয়েমির কারণে শিশুরা পড়াশোনায় মনোযোগী ‘’হতে পারে না। তাই ঘরে রা খু’ন বইয়ের শেলফ। সেখানে রা খু’ন মজাদার ও রঙিন গল্পের বই।
Sotto TV We Publish technology, various types of tips, career tips, banking information, methods of earning online