ভারতের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৫০ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে তারা খেলতে নামে ৫১৩ রানের লক্ষ্য নিয়ে। জিততে হলে রেকর্ড রান করতে হবে। এমন অসম্ভব একটা মিশন নিয়ে বাংলাদেশ কতটা লড়াকু মানসিকতা দেখায়, সেটাই ছিল জানার। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং দেখে বলা যাবে না খুব একটা খারাপ খেলেছে তারা।
এদিকে নাজমুল হোসেন শান্ত ও জাকির হোসেনের ফিফটিতে ভারতের বিপক্ষে প্রথম উদ্বোধনী জুটির সেঞ্চুরি হয়। তারপর জাকির ওপেনার হিসেবে অভিষেকে প্রথম সেঞ্চুরি করেন। এই তো বাংলাদেশের প্রাপ্তি। আরও বড় পাওয়া বলা যায়, তারা ম্যাচটাকে নিয়ে গেছে পঞ্চম দিনে। বাংলাদেশের লড়াই করার মানসিকতায় বলা যায়, দিনটা তাদের ছিল।
১২৪ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর জাকির সময় পার করতে থাকেন। যদিও ইয়াসির আলী, লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিমের কাছ থেকে শক্তিশালী কোনও সঙ্গ পাননি। জাকিরও বিদায় নেন একশ করে। ২৩৮ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর শঙ্কা ছিল, ইনিংস না আবার শেষ হয়ে যায় চতুর্থ দিনেই। কিন্তু সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ দাঁড়িয়ে গেলেন।
তাদের ৮৪ বলে ৩৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দিন শেষ করে স্বাগতিকরা। চতুর্থ দিন শেষে ৬ উইকেটে ২৭২ রান তাদের। শেষ দিনে ভারতের জিততে চাই ৪ উইকেট। বাংলাদেশের লাগবে আরও ২৪১ রান। খুব কঠিন বটে। তাই বুক চিতিয়ে সাকিব-মিরাজ কতক্ষণ প্রতিরোধ যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারেন, সেটাই দেখার প্রত্যাশা। সাকিব ৪০ ও মিরাজ ৯ রানে অপরাজিত আছেন। এদিন ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন অক্ষর প্যাটেল।
এর আগে অভিষেকে বাংলাদেশের হয়ে সেঞ্চুরি করেছেন আরো তিন ক্রিকেটার। সর্বপ্রথম আমিনুল ইসলাম বুলবুল এই কীর্তি গড়েন ২০০০ সালে। তার সেঞ্চুরি নিজের অভিষেকে তো বটেই, ছিল বাংলাদেশের প্রথম টেস্টেই। এরপর মোহাম্মদ আশরাফুল করেন এই রেকর্ড। ২০০১ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই নজির গড়েন তিনি।
সবশেষ ২০১২ সালে এই ক্লাবে যুক্ত হন পেসার আবুল হাসান রাজু। অপ্রত্যাশিতভাবে বোলার হয়েও সেঞ্চুরি করে দেখান তিনি। এবার চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে এই কৃতিত্ব দেখালেন জাকির হাসান। ওপেনার হিসেবে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটাও নিজের করে নিয়েছেন তিনি। ২১৯ বলে ১৩ চার ও ১ ছয়ে সেঞ্চুরি উদযাপন করেন জাকির। ফেরেন ১০০ রানেই।
সব মিলিয়ে ওপেনার হিসেবে অভিষেক টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে সেঞ্চুরি করা মাত্র দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান জাকির, এর আগে এ কীর্তি ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের লেন বাইচানের। ঠিক ৪৭ বছর আগে ১৯৭৫ সালে লাহোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিনি করেছিলেন অপরাজিত ১০৫ রানে।
অভিষেক টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে জাকিরের আগে সেঞ্চুরি করেছেন মাত্র আটজন ব্যাটসম্যান। ১৯৫৯ সালে সর্বপ্রথম এ কীর্তি গড়েছিলেন ভারতের আব্বাস বেগ, ম্যানচেস্টারে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। জাকিরের আগে সর্বশেষ এ কীর্তি গড়েছিলেন কাইল মেয়ার্স। বাংলাদেশের বিপক্ষেই গত বছর চট্টগ্রাম টেস্টে ২১০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন মেয়ার্স, ৩৯৫ রান তাড়া করে জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
Sotto TV We Publish technology, various types of tips, career tips, banking information, methods of earning online