ঢাকাই সিনেমার এক সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। বর্তমানে পর্দায় খুব একটা দেখা যায় না তাকে। তবে বিভিন্ন সময় সিনেমা সংক্রান্ত ব্যাপারে কথা বলতে দেখা যায়। সাধারণত সংবাদমাধ্যমেই কথা বলেন। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকেও সক্রিয় তিনি। এ মাধ্যমেও কথা বলেন এ অভিনেতা।
এবার ফেসবুকে হাজির হয়ে নিজের ব্যক্তিজীবন নিয়ে কথা বললেন নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। একইসঙ্গে ব্যক্তিজীবনের গোপন তথ্য ও দুর্বলতাও জানিয়েছেন তিনি। মূলত ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীদের জন্য সাবলীলভাবে এসব তথ্য শেয়ার করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টার পর ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে লাইভে এসে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ব্যস্ততার জন্য অনেক দিন হয় আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে পারছি না, এ জন্য ভালো লাগছিল না। শুক্রবার যেহেতু ছুটির দিন, তাই বৃহস্পতিবার দেরিতে ঘুমালেও সমস্যা নেই। এ জন্য লাইভে চলে আসলাম।
তিনি বলেন, আমার জীবনের কিছু মজার ঘটনা ও দুর্বলতা শেয়ার করব আপনাদের সঙ্গে। যার মধ্যে অন্যতম একটি আমার আঙুল। আমার আঙুল দুটো ছোটবেলায় পুড়ে গিয়েছিল। শুধু পুড়ে যাওয়ার ফলে আঙুল দুটোর এ রকম ক্ষতি হয়নি। এর পেছনেও আরেকটি কাহিনি আছে।
এ অভিনেতা ছোটবেলার স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমার বাবারা সাত ভাই ছিলেন। বাবা ছিলেন চার নম্বর। আমি যখন হামাগুড়ি দিয়ে চলি, ওই সময় বাবার ৫ নম্বর ভাই বিয়ে করেন। মা-বাবাদের কাছে শুনেছি―ওই সময় গরম চুলায় হাত দিয়ে আঙুল দুটি পুড়িয়ে ফেলেছিলাম আমি। তখন ঘরে বাবার ভাইয়ের নতুন বউ। তিনি বড় ঘোমটা পরে চলাফেরা করতেন।
তিনি বলেন, একদিন পোড়া আঙুল দিয়ে হামাগুড়ি দিচ্ছিলাম আমি। আর উনিও বড় ঘোমটা টেনে হাঁটছিলেন। এরপর যা হওয়ার তাই হলো, তার পা পড়ল আমার পোড়া আঙুলের মধ্যে। আর এতে আঙুল দুটো আরও থেতলে যায়। বড়দের কাছে শুনেছি, ওই সময় চাচির পায়ের চাপায় আমার নরম আঙুল তার পায়ের সঙ্গে লেগেছিল কিছুক্ষণ। তারপর থেকে আমি এই খুঁত সঙ্গে নিয়ে বড় হয়েছি।
‘নিরাপদ সড়ক চাই’ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সিনেমা ক্যারিয়ার সম্পর্কে বলেন, যখন অল্প বয়সে নায়ক ছিলাম, ওই সময় বেশ সতর্ক হয়ে কাজ করেছি। যাতে পর্দায় এই দুর্বলতা কখনো ফুটে না উঠে। কিন্তু এখন সেই গোপন কথাটি বলছি আমি। কেননা, এখন তো আর নায়ক নই আমি।
Sotto TV We Publish technology, various types of tips, career tips, banking information, methods of earning online