করোনার কারণে দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ ছিল প্রাথমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এসময় শিখন ঘাটতিতে পড়তে হয়েছে শিক্ষার্থীদের। অনেকে আবার ঝড়েও পড়েছেন। এসব বিষয় মাথায় রেখে শিখন ঘাটতি পূরণের জন্য ২০ রমজান পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে রমজান মাসে গরমের মধ্যে দিনব্যাপী ক্লাস নেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে বলে রমজানের ছুটি বহাল রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। বুধবার (২৩ মার্চ) বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আনোয়ারুল ইসলাম তোতা ও সাধারণ সম্পাদক গাজীউল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে দাবি করা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে করেছেন- পবিত্র রমজানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষক এমনকি শিক্ষার্থীরাও রোজা রাখেন। রোজা রেখে স্কুলে কাজ করা অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার। সে কারণে তিনি পবিত্র রমজানের ছুটি বৃদ্ধি করে একমাস নির্ধারণ করেছিলেন। বর্তমান ছুটির তালিকায়ও রমজানের ছুটি একমাস নির্ধারিত আছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক ২০ রোজা পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে রমজানের ছুটি একমাস নির্ধারিত আছে। শুধুমাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রমজানের ছুটি কমিয়ে আনার বিষয়টি সরকারের পরস্পরবিরোধী সিদ্ধান্ত হিসেবে বিবেচিত।
যদিও করোনাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একথা স্বীকার করেই নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘এখন করোনা সংক্রমণের হার একদম নিম্নগামী। ঈদের পর স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ক্লাস শুরু করা হলে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ঘাটতি পুষিয়ে নেওয়া যাবে।’ সামগ্রিক বিবেচনায় শিক্ষক নেতৃবৃন্দ ছুটির তালিকা অনুসারে রমজানের ছুটি একমাস বহাল রাখার দাবি জানিয়েছেন তারা।
জানা গেছে, এ বিষয়ে অবিলম্বে সরকারি নির্দেশনা জারি করা না হলে আগামী ২৭ মার্চ বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে স্মারকলিপি পেশ করা হবে।
Sotto TV We Publish technology, various types of tips, career tips, banking information, methods of earning online