প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু নির্মাণে জড়িত সবার সঙ্গে গ্রুপ ছবি তুলবেন বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। আজ মঙ্গলবার (১৪ জুন) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা তুলে ধরে শামসুল আলম বলেন, পদ্মা সেতুর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শ্রমিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সবার সঙ্গে ছবি তুলবেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত যন্ত্র-যন্ত্রাংশ দিয়ে ভাঙ্গা অংশে একটি জাদুঘর নির্মাণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামীতে হাওর অঞ্চলের সব সড়ক এলিভেটেড বা উড়াল সড়ক নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। হাওরের সড়কে ছোট কালভার্ট নির্মাণ না করে বড় ব্রিজ করারও নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, হাওর এলাকায় ভবিষ্যতে যে সড়ক হবে সেগুলো উড়াল সড়ক করা হবে। পানি প্রবাহ ঠিক রাখতে কালভার্টের পরিবর্তে ব্রিজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১০ হাজার ৮৫৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের মোট ব্যয়ের মধ্যে সরকারের অর্থায়ন ৫ হাজার ১৪২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৭৫৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ ৪ হাজার ৯৫৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
পদ্মা সেতুতে একসঙ্গে জ্বলে উঠল ২০৭টি বাতি: স্বপ্নের পদ্মা সেতুর দুয়ার খুলছে আগামী ২৫ জুন। সেতু চালু হলে উত্তাল পদ্মা পাড়ি দিতে আর ভোগান্তি পোহাতে হবে না দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের। এখন সেতুতে চলছে শেষমুহূর্তের কাজ। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (১৩ জুন) সন্ধ্যায় মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে আলোয় ঝলমলে করে উঠেছিল পদ্মা সেতু। বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যা পৌনে ৭টা পর্যন্ত মাওয়া প্রান্তে একসঙ্গে জ্বালিয়ে রাখা হয় ল্যাম্পপোস্টে স্থাপিত ২০৭টি বাতি। মাওয়া প্রান্তের সবকটি ল্যাম্পপোস্টে এই প্রথম বাতি জ্বলল।
এর আগে ৪ জুন বিকেলে পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালানো হয়। ওই দিন সেতুর ১৪ থেকে ১৯ নম্বর পিলারের মাঝামাঝিতে ২৪টি ল্যাম্পপোস্টে বাতি জ্বালানো হয়েছিল। এরপর ১১ জুন পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে সেতুর সব কটি বাতি জ্বালানো হয়। সেদিন জেনারেটরের মাধ্যমে বাতি জ্বালানো হয়েছিল।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আবদুল কাদের বলেন, মুন্সিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দেওয়া বৈদ্যুতিক সংযোগের মাধ্যমে এই প্রথম মাওয়া প্রান্তের ২০৭টি ল্যাম্পপোস্টে পরীক্ষামূলকভাবে বাতি জ্বালানো হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার জাজিরা প্রান্তের বাতিগুলো বিদ্যুৎ-সংযোগের মাধ্যমে জ্বালানো হবে। এরপর সম্পূর্ণ সেতুর বাতিগুলো একসঙ্গে জ্বালানো হবে। সম্পূর্ণ সেতুর বাতি একসঙ্গে জ্বালাতে আর ২-৩ দিন সময় লাগতে পারে। সেতু উদ্বোধনের আগে প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত বাতি জ্বালানোর বিষয়ে তিনি বলেন, যেহেতু উদ্বোধনের আগে সেতুতে গাড়ি চলবে না। তাই বাতি জ্বালানো বিদ্যুতের অপচয় হবে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে সেতুর ভায়াডাক্টে প্রথম ল্যাম্পপোস্ট বসানোর কাজ শুরু হয়েছিল। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতুতে মোট ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন করা হয়। এর মধ্যে মূল সেতুতে ৩২৮টি, জাজিরা প্রান্তের ভায়াডাক্টে ৪৬টি, মাওয়া প্রান্তের ভায়াডাক্টে ৪১টি ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। মূল সেতুতে ল্যাম্পপোস্ট বসানোর কাজ শেষ হয় ১৮ এপ্রিল।
Sotto TV We Publish technology, various types of tips, career tips, banking information, methods of earning online