একসময় শুধু জুম চাষ করেই জীবিকা নির্বাহ করলেও বর্তমানে কাজু বাদাম চাষ করছে বান্দরবানের পাহাড়িরা। পাহাড়ে বাদামের ফলন ও বাজারে চাহিদা থাকায় অনেক চাষ করছে কাজু বাদাম। কাজু বাদামের পাশাপাশি পাহাড়ে নানা রকম স্থায়ী ফলের বাগান করছে চাষিরা।
বান্দরবান কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, বান্দরবান জেলায় ১৮৩৭ হেক্টর জমিতে কাজু বাদাম চাষ হয়েছে। চলতি মৌসুমে ১৩২৩ মেট্রিক টন কাজু বাদাম উৎপাদন হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি হেক্টরে ১.৩১ মেট্রিক টন বাদাম উৎপাদন হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
বলিপাড়া ইউনিয়নের কাজু বাদাম চাষি ফোসা উ মারমা বলেন, শখ করে ৫ একর জমিতে দেশি কাজু বাদামের বাগান করেছিলাম। ৪ বছর ধরে ফলন পাচ্ছি। একসময় বাগানেই পঁচে যেত, বিক্রি হতো না। বর্তমানে বিভিন্ন কোম্পানির লোকজন এবং পাইকারি ব্যবসায়ীরা বাগানে এসে কাজু বাদামের কিনে নিয়ে যান।
থানচি সদর ইউনিয়নের কাজু বাদাম চাষি উবামং মারমা বলেন, চলতি মৌসুমে ৪৫ মণ কাজু বাদাম হবে বলে আশা করছি। এরই মধ্যে প্রতিমণ ৩ হাজার ৫০০ টাকা করে ২০ মণ কাজু বাদাম বিক্রি করেছি।
বাংলাদেশ এগ্রিকালচার প্রোডাক্টস লিমিটেডের ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর রেম্বো ত্রিপুরা বলেন, আমরা বাগান থেকে কাজু বাদাম সংগ্রহ করি। চাষিদের কাছ থেকে মণ প্রতি ৩ হাজার ৩০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা করে কাজু বাদাম কিনছি।
বান্দরবান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, পার্বত্য জেলা বান্দরবানে দিন দিন কাজু বাদামের চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে চাষিদেরকে সার, কৃষি উপকরণ প্রদানসহ সার্বিক পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে। শুষ্ক মৌসুমে কাজু বাদাম গাছে পানি সেচ ব্যবস্থা করার জন্য বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
Sotto TV We Publish technology, various types of tips, career tips, banking information, methods of earning online