কুরআনের হাফেজা হলেন ৯০ বছর বয়সী অন্ধ বৃদ্ধা

কুরআন মুসলমানদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ। ইসলামী ইতিহাস অনুসারে দীর্ঘ তেইশ বছর ধরে খণ্ড খণ্ড অংশে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর নিকট অবতীর্ণ হয় পবিত্র কুরআন। একজন মুসলমান হিসেবে অবশ্যই আমাদের কুরআন পড়া উচিৎ।

যুগ যুগ ধরে বহু মানুষ কোরআনের সেবা করে যাচ্ছেন। নতুন খবর হচ্ছে, বয়স ৯০ বছর, তার ওপর দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। তবুও দমে যাননি মিশরের এক নারী। রুহিয়া আরাফা মনসুর নামের ওউ বৃদ্ধা দশরকম ভাবে কুরআন তিলাওয়াত সহকারে সম্পূর্ণ কুরআন হেফজ করেছেন।

শাইখা রুহিয়া আরাফা মনসুর ১৯৩১ সালে মিশরের আল-দুখলিয়া প্রদেশের মিত গামার প্রদেশের আতমিদেহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছেন। তার বাবা তৎকালীন সময় একজন পুলিশ অফিসার ছিলেন। বাবার পোস্টিং-এর কারণে সেদেশের আশ-শারকিয়া

প্রদেশে বসবাস করতে শুরু করেন তারা। সেখানকার স্বনামধন্য হাফেজ শাইখ আব্দুল গনি জুমার কাছে পবিত্র কুরআন শিক্ষাগ্রহণ করেন তিনি। কুরআনের এই শিক্ষকের সন্তানদের সঙ্গেই ওহীর বাণী শিখতে শুরু করেন। এই ব্যাপারে মিশরের এই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হাফেজা বলেন, আমার বয়স যখন সাত বছর তখন আমি

শেখ আবদুল গনির কাছে গিয়ে পবিত্র কোরআন হেফজ করতে শুরু করি এবং মাত্র দুই বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ কুরআন হেফজ করি। আমার বাবার ইচ্ছা ছিল আমি দশ পন্থায় কুরআন তিলাওয়াতের শিক্ষা অর্জন করি। আর তার ইচ্ছা পূরণের জন্য আমি আরও ৫ বছর কুরআন তিলাওয়াতের ক্লাসে যাই।

তিনি আরও বলেন, শাইখ আবদুল গণি সর্বদা আমার সাথে তার মেয়ের মতো আচরণ করতেন। তার কাছে কুরআন তিলাওয়াত শেখার পর আমি আমার ২০ বছর বয়সে নিজ জন্মস্থানে ফিরে আসি এবং তখন থেকে আমি আমার আত্মীয়স্বজন এবং

গ্রামবাসীদের মধ্যে ৭০ বছর ধরে বসবাস করেছি। হাফেজা রুহিয়া আরাফা মনসুর বলেন, আমার মাধ্যমে অনেক শিশু কুরআনের হাফেজ হয়েছেন এবং বিভিন্ন আরব দেশের শিক্ষার্থীদের কুরআন তিলাওয়াতের অনুমতিপত্র দিয়েছি। চলতি বছর শাইখা রুহিয়া ৯০ বছরে পা দিয়েছেন। এতো বয়স হওয়া সত্ত্বেও পবিত্র কুরআনের প্রতিটি আয়াত তার দৃঢ় মুখস্থ রয়েছে।

Check Also

Where Do Health Care Assistants Work? A Comprehensive Guide

Where Do Health Care Assistants Work? A Comprehensive Guide

Health care assistants play a crucial role in the medical field, offering hands-on care to …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *