পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতাধীন চাটমোহর পৌর সদরের জনশুন্য বাসায় চলতি মাসে বিদ্যুৎ বিল এসেছে প্রায় ১১ লক্ষ টাকা। বাসা বাড়িতে কেউ না থাকলেও এমন অদ্ভুদ ভুতুরে বিল হওয়ায় বাসা মালিক ও এলাকার সচেতন মহল পল্লী বিদ্যুতের কান্ডজ্ঞান হীন কর্মকান্ড বলে মনে করছেন।
চাটমোহর পৌর শহরের জিরো পয়েন্ট এলাকার শ্রী অধীর কুমার সরকারের নামীয় মিটারে সেপ্টেম্বর মাসে ৯০ হাজার ১ শত ৫০ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যয়ের পরিপ্রেক্ষিতে ১০ লক্ষ ৮২ হাজার ৬১ টাকা বিদ্যুৎ বিলের কাগজ তৈরি হয়। বিলটি প্রস্তুত কারক আসমা ও এজিএম অর্থ এর স্বাক্ষর সম্বলিত বিলটি ১৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তারা হাতে পান।
মিটার মালিকের পরিবার জানান, গত ৬ মাসে পরিবারের কোন সদস্যই থাকেন না বাড়িতে। এরকম ভৌতিক বিল পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ-১ সমিতির অফিসে নতুন কোন বিষয় না। কারো নজরদারী না থাকায় এসকল ঘটনা ঘটলেও পবিস-১ প্রশাসন নিরব ভুমিকা প্রদর্শন করে। জোর করেই দোষ চাপানো হয় গ্রাহকের ঘাড়ে।
এই অফিসের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ আছে, অদক্ষ অপারেটর দ্বারা বিদ্যুৎ বিল তৈরির ফলে বিদ্যুৎ বিলের কপিতে নাম, পিতার নাম, মোবাইল নং ভুলে ভরা। তারা মিটার রিডিং না করে অফিসে বসেই বিদ্যুৎ বিল তৈরি করেন। এজিএম অর্থর এই বিল ক্রসচেক করার স্বাক্ষর থাকলেও তিনি কিছুই করেন না। এছাড়া মিটারে কম বিদ্যুৎ ব্যাবহার দেখিয়ে বছর শেষে হাতিয়ে নেয় অতিরিক্ত টাকা। ফলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৩ লক্ষ গ্রাহক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন নানা সময়।
এসকল বিষয় নিয়ে ভূক্তোভগীসহ এলাকাবাসী চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। অদক্ষ লোকবল আর কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতার কারনে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করার অনুরোধ জানান সমিতির সদস্যরা। ঘটনার বিষয়ে বিল প্রস্তুতকারী আসমা খাতুন ভূল স্বীকার করে জানান, মানুষই ভুল করে। কাজ করতে গেলে একটু ভূল হতেই পারে। এ বিষয়ে নিউজ না প্রকাশের জন্যও অনুরোধ করেন তিনি।
এ বিষয়ে পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জেনারেল ম্যানেজার মো. আকমল হোসেন জানান, আমি বিষয়টি জানার পরেই বিল প্রস্তুত কারক ঐ মেয়েটিকে শোকজ করেছি। যে গ্রাহকের বিলে এমন হয়েছে সেই গ্রাহকের নিকট আমি অফিসার পাঠিয়েছিলাম, বিল সংশোধন করে দিবো বলে। কিন্তু তারা এই বিষয়ে রং লাগিয়ে বড় কিছু করতে চাইছে। মানুষের তো ভুল হতেই পারে।

Sotto TV We Publish technology, various types of tips, career tips, banking information, methods of earning online