মাত্র ১৪ বছর বয়সেই প্রথম বিয়ের পিড়িতে বসেছিলেন তিনি। এরই মাঝে জীবনের ৬১ টি বছর পার করে ফেলেছেন। এর মাঝেই আবার সেরে ফেলেছেন ৮৭টি। এখন প্রস্তুতি নিচ্ছেন ৮৮তম বিয়ের। তিনি ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভার মাজালেঙকারের বাসিন্দা, নাম তার কান। তিনি পেশায় কৃষক। একের পর এক বিয়ে করায় অনেকে তাকে ‘ইন্দোনেশিয়ার প্লেবয় কিং’ নামে ডাকে।
দেশটির একাধিক সংবাদমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে জানায়, কানের প্রথম স্ত্রী তার চেয়ে বয়সে দুই বছরের বড় ছিল। বিয়ের দুই বছরের মাথায় তার ওই স্ত্রী বিচ্ছেদ নেন। ‘দুর্বল মানসিকতার’ কারণে স্ত্রী তাকে ছেড়ে যান। কান অবশ্য তার এই ‘দুর্বল মানসিকতার’ ব্যাখ্যা দেননি। কান স্বীকার করেন এ ঘটনায় তিনি বেশ রেগে যান। তাই, তিনি চেয়েছিলেন ‘আধ্যাত্মিক’ জ্ঞান, যাতে বহু নারী তার প্রেমে পড়ে। কান জানান, তিনি এমন কিছু করতে চাননি, যা নারীদের জন্য ভালো হবে না। তিনি নারীদের আবেগ নিয়ে খেলতেও রাজি নন।
অনৈতিক কাজ না করে বিয়ে করাই ভালো। বলেও জানান এই ব্যাক্তি। শিগগিরই ৮৮ বারের মতো বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন কান। মজার বিষয় হলো, এবার তিনি তার সাবেক স্ত্রীকে আবার বিয়ে করছেন। ওই নারী কানের ৮৬তম স্ত্রী ছিলেন। সে সময় বিয়ের এক মাসের মাথায় বিচ্ছেদ হয় তাদের।সংবাদমাধ্যমকে কান জানান, মূলত নিজের স্ত্রী ফিরতে চাওয়ায় তিনি অমত করতে পারেননি বলেই বিয়েতে রাজি হয়েছেন। তিনি বলেন, “যদিও আমাদের বিচ্ছেদের অনেক দিন হয়ে গেছে, তবুও আমাদের মধ্যে ভালোবাসা এখনও দৃঢ়।” সূত্র: এনডিটিভি
যৌতুকে পাওয়া গাড়ি চালাতে গিয়ে পরিবারের ৫ জনকে চাপা, নিহত ১
শ্বশুরবাড়ি থেকে যৌতুকে গাড়ি পেয়েছিলেন বর। আর তা পেয়েই আনন্দে আত্নহারা হয়ে যান তিনি। নেমে পড়েন টেস্ট ড্রাইভে। কিন্তু সেই টেস্ট ড্রাইভই ডেকে আনলো বড় বিপদ। গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চাপা দেয় পরিবারের পাঁচ সদস্যকে। এ সময় ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশে।
ভারতীয় একাধিক গনমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ওই বরের নাম অরুণ কুমার। তিনি উত্তরপ্রদেশের অকবরপুরের বাসিন্দা। শ্বশুরবাড়ি থেকে যৌতুকে গাড়ি পেয়েছিলেন তিনি। বিয়ের অনুষ্ঠান ঘিরে অরুণের বাড়িতে তখন হইহই চলছে। তার উপর নতুন গাড়ি বাড়িতে আসায়, সকলেরই উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিল তুঙ্গে। চাবি হাতে পেয়েই অরুণ গাড়িতে চালকের আসনে গিয়ে বসেন। তারপর অ্যাক্সিলারেটরে চাপ দিতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। পাশেই তখন দাঁড়িয়েছিলেন তার পরিবারের সদস্যরা। অরুণের গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোজা চাপা দেয় পরিবারের পাঁচ সদস্যকে। তখন দশ বছরের এক কিশোরসহ গুরুতর আহত হয় পাঁচজন। তাদের মধ্যে ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়।
এই ঘটনার পরপরেই ঘটনাস্থলে পৌছায় পুলিশ। পুলিশ জানায়, যৌতুকে অরুণ গাড়ি পেয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু তিনি চালাতে জানতেন না। তারপরেও উৎসাহের বশে গাড়ি চালানোর ঝুঁকি নিয়ে ফেলেন। আর তাতেই দুর্ঘটনা ঘটে। স্টেশন হাউস অফিসার রণবিজয় সিংহ বলেন, আমরা অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়েছি। অভিযোগ হাতে পেলেই অরুণের বিরুদ্ধে বেপরোয়া গাড়ি চালানো, অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করা হবে।