হাতের লেখা যেন কম্পিউটার টাইপিং! বিশ্বের সবথেকে সুন্দর হাতের লেখার অধিকারী এই মেয়ে! রইল তার হাতের লেখা..

আমাদের এই আধুনিকতম যুগে সময় এমন একটা শব্দ, যা প্রতিনিয়ত বদলায়। এখন সময় হল ভাইরাল হওয়ার। দেখতে গেলে আমরা এখন ভাইরাল যুগে বাস করছি। এই সময় যা হয় তাই আমরা ক্যামেরা বন্দি করতে পারি। আর তারপর কোনও স্পনসর ছাড়াই সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে দিতে পারি। ভিডিওতে মজাদার কিছু থাকলেই আপনি বিখ্যাত এক ক্লিকে।

আমরা সকলেই ছোটবেলায় হাতের লেখা নিয়ে কমবেশি সমস্যায় পড়েছি। কখনো শুনতে হয়েছে হাতের লেখা ঠিক না করলে টিচাররা নম্বর দেবে না, আবার কখনো বা শুনতে হয়েছে ছোটবেলা থেকেই হাতের লেখা ভালো না করলে বড় হলে আরও খারাপ হবে। এগুলো আমাদের জীবনের একটি অংশই হয়ে গেছে। এখানে আমরা বলতে যাদের হাতের লেখা খারাপ তাদের বোঝানো হয়েছে।

হাতের লেখা ভালো হলে যিনি পড়ছেন তিনিও বেশ প্রশান্তি পান। আমরা এটাও জানি, অনেকের হাতের লেখা এতই খারাপ, অন্য কেউ পারা তো দূরের কথা লেখক পরে নিজেও আর পড়তে পারেন না। কিন্তু এমন কখনো শুনেছেন যে, অসাধারণ হাতের লেখার জন্য কেউ ভাইরাল হয়েছে! হ্যাঁ, পৃথিবীতে এমন একজন আছে যার হাতের লেখা এম এস ওয়ার্ডের ফন্টের থেকেও সুন্দর। তার বয়স খুবই কম।

মাত্র ক্লাস এইটে পড়ে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর হাতের লেখার অধিকারিণী। গোটা বিশ্বের মানুষ মেয়েটিকে চেনেন তার হাতের লেখার জন্য। এত অল্প বয়সে তার হাতের লেখা প্রায় নিখুঁতের কাছাকাছি। মেয়েটির নাম প্রকৃতি মাল্লা। নেপালের এই ছোট্ট মেয়েটি পড়ে ক্লাস এইটে। একমাত্র তাঁর হাতের লেখার জন্য সে এখন বিশ্ব বিখ্যাত।

কিছুদিন আগে নেপালের একজন তার হাতের লেখার ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেন এবং কিছুদিনের মধ্যে সারা বিশ্বে এটি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। প্রকৃতি মাল্লার হাতের লেখা দেখলে মনে হয় কম্পিউটারের কোনো ফন্ট। তার লেখার মাঝখানের ফাঁকা জায়গাগুলো সব সমান। এছাড়াও সে লিপিবিদ্যার নতুন একটি উচ্চতা সৃষ্টি করেছে। এমনকি বিশেষজ্ঞরাও বলেছেন, সম্প্রতি, তার অসাধারণ একটি হাতের লেখা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।

সেখান থেকেই সারা পৃথিবীর মানুষ তাকে চিনেছে। তার লেখা নিখুঁতের প্রায় কাছাকাছি। এ কারণে তার হাতের লেখা নেপালের সবচেয়ে সেরা।প্রকৃতি মাল্লা সৈনিক আওয়াসিয়া মহাবিদ্যার ছাত্রী। অসাধারণ হস্তাক্ষরের জন্য নেপালি সশস্ত্র বাহিনী থেকে তাকে পুরস্কৃত করা হয়। এখন সে সারা বিশ্বে জনপ্রিয় এবং মানুষ তার লেখা পড়তে বেশ আগ্রহী। নিজেদের হাতের লেখা আরও বেশি সুন্দর করতে প্রকৃতি মাল্লার লেখা সবাইকে অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে।

তার পরিচিতি গোটা বিশ্ব জুড়ে। গোটা বিশ্বের মানুষ ছোট্ট মেয়েটিকে চেনেন। কিন্তু সে কী এমন করেছে যার জন্য তার এত জনপ্রিয়তা! তার হাতের লেখা পৃথিবীরলল সবথেকে সুন্দর হাতের লেখার স্থান অধিকার করে আছে।যদিও এই ভাইরাল হওয়া ঘটনাটি অনেকদিনের পুরোনো কিন্তু তা মানুষের মনে অনেকটাই জায়গা করে নিয়েছে।