ভারতে কত দামে রপ্তানি হচ্ছে বাংলাদেশের ইলিশ?

দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে, সর্বনিম্ন কি দামে রপ্তানি হবে তা জানানো হয়নি।

গত বছর প্রতি কেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য ছিল ১০ ডলার বা ১ হাজার ১০০ টাকা। গত বছর প্রায় ৪ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেয়া হলেও ভারতে যায় ৮০২ টন।

আগে অবাধে ইলিশ রপ্তানি হলেও, দেশের বাজারে সরবরাহ বাড়াতে ২০১৫ সালের জাতীয় রপ্তানি নীতিতে ইলিশকে শর্ত সাপেক্ষে রপ্তানিযোগ্য বলা হয়। পরের দুই রপ্তানি নীতিতেও তা বহাল থাকে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্যে দেখা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রায় ১ হাজার ৭০০ টন ইলিশ রপ্তানিতে আয় হয় ১ কোটি ৬৪ লাখ ডলার। আকার ভেদে প্রতি কেজি মাছ ১০, ৬ ও ৮ ডলারে রপ্তানি হয়।

পরের দুই বছর ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টন ইলিশ রপ্তানি হয়। প্রতিকেজির দাম ছিল ১০ ডলারের মধ্যে।

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড

অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ববাজারে প্রথমবারের মতো এক আউন্স স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৬০০ ডলার ছাড়িয়েছে। সেই হিসেবে দেশের বাজারেও যেকোনো সময় দামি এই ধাতুটির দাম বেড়ে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হতে পারে।

জানা গেছে, গত সপ্তাহের শুরুতে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল ২ হাজার ৫৭৮ দশমিক ৪৮ ডলার। সেখান থেকে বেড়ে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ২ হাজার ২ হাজার ৬২১ দশমিক ৫৯ ডলারে থিতু হয় সপ্তাহ শেষে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৪৩ দশমিক ১১ ডলার বা ১ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এর মধ্যে সপ্তাহে শেষ কার্যদিবসেই প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৩৪ দশমিক ৩৮ ডলার বা ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

এর আগে, গত সপ্তাহে এক আউন্স স্বর্ণের দাম সর্বোচ্চ ২ হাজার ৫৮৪ ডলারে উঠেছিল। বিশ্ববাজারে এই দাম বাড়ার প্রেক্ষিতে গত ১৫ সেপ্টেম্বর দেশের বাজারেও সে সময় স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করে থাকে। সংগঠনটির সবশেষ দেওয়া দাম অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ২৯ হাজার ৯০২ টাকা। এটিই দেশের বাজারে এখনো পর্যন্ত স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ২৪ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেটের ১ লাখ ৬ হাজার ২৮২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৮৭ হাজার ১৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

সংগঠনটির পক্ষে স্বর্ণের দাম বাড়ানো বা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি। এই কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। গত এক সপ্তাহে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম প্রায় ১০০ ডলার বেড়ে গেছে। যেকোনো মুহূর্তে স্বর্ণের আউন্স ২ হাজার ৬০০ ডলার হয়ে যেতে পারে। বিশ্ববাজারে যে হারে স্বর্ণের দাম বাড়ছে, তাতে দেশের বাজারেও দাম বাড়ানো লাগবে। এর কোনো বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, ‘আমার স্বর্ণের দাম বাড়ানো বা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় আন্তর্জাতিক বাজারের পাশাপাশি স্থানীয় বাজারের ওপর ভিত্তি করে। স্থানীয় বাজারে পাকা স্বর্ণের দাম বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আবার পাকা স্বর্ণের দাম কমলে দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্ববাজারের দামের চিত্র পাকা স্বর্ণের দামে প্রভাব ফেলে।’

Check Also

এক টুকরো কাপড়ের জন্য আমাদের পড়াশোনা বন্ধ করে দিচ্ছে: মুসকান

ভারতের কর্নাটকের মাণ্ড্য প্রি-ইউনিভার্সিটি কলেজ প্রাঙ্গনের একটি ভিডিও নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, হিজাব …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *