দুই পুলিশের চাঁদাবাজি ধরা পড়লো সিসি ক্যামেরায়!

বরিশালে পর্যটকবাহী মাইক্রোবাস থেকে ২০ হাজার টাকা চাঁদা নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে দুই এসআইকে শনাক্ত করা হয়। পরে এ ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানার থেকে তাদের প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রত্যাহার হওয়া দুই কর্মকর্তা হলেন ইব্রাহীম খলিল ও মেহেদী হাসান। প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশালের উপ-পুলিশ কমিশনার আলী আশরাফ ভূইয়া।

জানা যায়, মহানগর পুলিশের সূত্র জানায়, গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে নগরীর পানির ট্যাংকি এলাকায় ১১ পর্যটকবাহী একটি মাইক্রোবাসে তল্লাশি চালায় সাদা পোশাকধারী পুলিশ সদস্যরা। এ সময় তারা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দেন। তল্লাশি চালিয়ে মাইক্রোবাস থেকে চার ক্যান বিয়ার উদ্ধার করা হয়। এরপর ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন প্রত্যাহার হওয়া দুই এসআই। পরে বিকাশে ২০ হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টি আপস করেন পর্যটকরা।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার ওই গাড়িতে থাকা একজন মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তার কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন। অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে কোতোয়ালি মডেল থানার ওই দুই এসআইকে শনাক্ত করে প্রত্যাহার করা হয়।

কাউন্সিলর একরামুল হকের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন বেনজীর পুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ বলেছেন, কাউন্সিলর একরামুলের ঘটনা তার ব্যক্তিগত ক্যাপাসিটিতে ঘটেনি। এ সময় তিনি বলেন, আমার ভুলগুলো ক্ষমা করবেন। বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

একরামুল সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিনি যে ঘটনাটি উল্লেখ করেছেন তা আইনগত বিষয়। আইনি সমস্যাটি অন্যায্য বা অনৈতিক হিসাবে চিহ্নিত না হলে আমার ব্যক্তিগত অনুভূতি প্রকাশ করার সুযোগ নেই। এটা আমার ব্যক্তিগত ক্ষমতায় ঘটেনি। আমার মাঠ পর্যায়ের লোকজন যখন তাদের অফিসিয়াল দায়িত্ব পালন করছিলেন তখন এটা ঘটেছিল। তবে ঘটনার পর নিহত ভদ্রলোকের সঙ্গে ব্যক্তিগত কোনো বিরোধ নেই। এটা কোনো ব্যক্তিগত বিষয় নয়।

আইজিপি বলেন, ‘খুন হলেও দুই পক্ষ আছে। ভিকটিম ও অভিযুক্ত। পুলিশ উভয় পক্ষকে খুশি করতে পারে না। এই কারণেই এক পক্ষ সবসময় ভুল করে। আইনগত দায়িত্ব পালন করতে যাওয়ায় অনেকেই এর বিরুদ্ধে গিয়েছিলেন। বিদায়ে সেটা বলতে চাই না। “সুন্দরবনকে দস্যুদের হাত থেকে মুক্ত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল,” বেনজীর আহমেদ বলেন, “আমি ওই এলাকার মানুষকে জিম্মি থেকে মুক্ত করতে পেরেছি।” ‘

পুলিশের সর্বোচ্চ পদে দায়িত্ব পালনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কী এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কোনো মানুষই আমাদের প্রতিপক্ষ নয়। আমি রাষ্ট্রীয় কর্মচারী হিসাবে কাজ করেছি। এর বাইরে আরেকটি বিষয় আছে, সামাজিক প্রত্যাশা। সামাজিক প্রত্যাশারও অনেক কিছু করার আছে। যিনি দায়িত্বের অপর প্রান্তে ছিলেন। তিনি লাইনের উল্টো দিকে ছিলেন। নিজেকে প্রতিপক্ষ ভাবলে ঠিক হবে না। ‘

About admin

Check Also

ঢাকা কলেজের সামনে পড়ে ছিল রক্তাক্ত মরদেহ

ঢাকা কলেজের সামনে পড়ে ছিল রক্তাক্ত মরদেহ

ঢাকা কলেজের সামনে থেকে একজনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।আজ মঙ্গলবার বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। …