প্রেমিকাকে ৩৫ টু,করো করে রা‌খেন ফ্রি,জে, প্রতি রাতে এক ভাগ জ,ঙ্গলে ফে,লতেন

প্রেমের টানে পরিবার, চাকরি, শহর ছেড়ে দিল্লিতে চলে এসেছিলেন ২৬ বছরের এক তরুণী। নাম তার শ্রদ্ধা। ঘর বেঁধেছিলেন দিল্লিতে। স্বপ্ন ছিল সুখেশান্তিতে দিন কাটাবেন। স্বপ্নের ঘোর কাটতেও বেশি সময় লাগল না। প্রেমিকের সঙ্গে মুম্বইয়ের ফ্ল্যাটে একসঙ্গে থাকলেও নানা বিষয়ে দুইজনের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি হচ্ছিল।

দুইজনের মধ্যে তু,মুল বিবাদ হয় বিয়ে করার জন্য তার প্রেমিক আফতাব আমিন পুণাওয়ালাকে কয়েক দিন ধরেই জোরা,জুরি করছিলেন শ্রদ্ধা। কিন্তু আফতাব ‘লিভ ইন’ করারই পক্ষপাতী ছিলেন। প্রেম করার দিনগুলোতে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিলেও, পরে নাকি শ্রদ্ধাকে বিয়ে করতে রাজি ছিলেন না আফতাব। এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে তুমুল বিবাদ হয়। শ্রদ্ধা নিজের বাড়ি ফিরে যেতে চান। বহুজাতিক সংস্থার কল সেন্টারের চাকরি ছেড়ে অন্য শহরের প্রেমিকের সঙ্গে

মেয়ে ঘর বাঁধুক, সেটা চাননি শ্রদ্ধার বাবা-মা। এই সম্পর্কে তারা আপত্তি জানিয়েছিলেন। কিন্তু মেয়ের সঙ্গে ধারাবাহিক যোগাযোগ রেখেছিলেন তারা। প্রায় প্রতিদিনই দিল্লিবাসী শ্রদ্ধার সঙ্গে ফোনে কথা হত তার বাবা-মায়ের। কয়েক দিন ধরে মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে উদ্বিগ্ন শ্রদ্ধার পরিবার তার সঙ্গে নানা ভাবে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে।

সব চেষ্টা বিফল হওয়ার পর শ্রদ্ধার বাবা মেয়ের খোঁজে মুম্বই চলে আসেন। কেটে ৩৫টি টু,করায় ভাগ করেন তিনি। শরীরের ৩৫টি টুক,রার প,চন এড়ানোর জন্য নতুন একটি ফ্রিজ কিনে ফেলেন আফতাব কেটে ৩৫টি টুকরায় ভাগ করেন তিনি। শরীরের ৩৫টি টুকরার পচন এড়ানোর জন্য নতুন একটি ফ্রিজ কিনে ফেলেন আফতাব মুম্বইয়ে শ্রদ্ধাদের ভাড়া নেয়া ফ্ল্যাটে গিয়ে তিনি দেখেন, দরজা বন্ধ।

তার পরই গত ৮ নভেম্বর স্থানীয় মেহরৌলি থানায় গিয়ে মেয়ের নামে নিখোঁজ ডায়েরি করেন বাবা। শ্রদ্ধার বাবা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন যে, তার মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তে উঠে আসে রোমহর্ষক, নৃশংস ঘটনার কথা। শ্রদ্ধা ‘নিরুদ্দেশ’ হওয়ার পর প্রাথমিক ভাবে পুলিশের সন্দেহ গিয়ে পড়ে তার প্রেমিক আফতাবের উপরেই।

তাকে জেরা করতেই উঠে আসে ভয়ঙ্কর ঘটনার কথা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাগের বশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে শ্রদ্ধাকে খুন করেছেন আফতাব। শুধু তাই নয়, শ্রদ্ধার দেহকে কেটে ৩৫টি টুকরায় ভাগ করেন তিনি। শরীরের ৩৫টি টুকরার পচন এড়ানোর জন্য নতুন একটি ফ্রিজ কিনে ফেলেন আফতাব। সেখানে শ্রদ্ধার দেহাংশগুলোকে ঢুকিয়ে রাখা হয়। প্রতিদিন রাত ২ টার সময় ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে যেতেন আফতাব। আর শহরের জঙ্গলে শ্রদ্ধার দেহের একটি করে টুকরা ফেলে দিয়ে আসতেন তিনি।

প্রতিদিন রাত ২ টার সময় ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে যেতেন আফতাব, আর শহরের জঙ্গলে শ্রদ্ধার দেহের একটি করে টুকরা ফেলে দিয়ে আসতেন তিনি প্রতিদিন রাত ২ টার সময় ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে যেতেন আফতাব, আর শহরের জঙ্গলে শ্রদ্ধার দেহের একটি করে টুকরা ফেলে দিয়ে আসতেন তিনি টানা ১৮ দিন ধরে এই কাজ করে গিয়েছেন তিনি।

পুলিশের অনুমান, তথ্যপ্রমাণ লোপাটের উদ্দেশেই এমন করেছিলেন তিনি। এই ঘটনার কথা শুনে কেউ কেউ আফতাবের মানসিক সুস্থতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। আফতাবের এই বয়ানের পরেই গত শনিবার তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আফতাবের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। তাকে সঙ্গে নিয়ে দিল্লির নানা প্রান্তে গিয়ে শ্রদ্ধার দেহাংশগুলি খুঁজে বার করার চেষ্টা করছে তারা।

About admin

Check Also

যুবককে তুলে নিয়ে চার যুবতী মিলে সংঘবদ্ধ ধ-র্ষণ!

এবার চোখে রাসায়নিক ছিটিয়ে, জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে এক যুবককে সংঘবদ্ধ ধ-র্ষণের অভিযোগ …