আলোচনা উস্কে দিল মৌসুমীর ফেসবুক স্ট্যাটাস

গত কয়েকদিন ধরেই দেশের মিডিয়াপাড়ায় আলোচনায় চিত্রনায়ক জায়েদ খান, ওমর সানী ও চিত্রনায়িকা মৌসুমী ইস্যু। বক্তব্য, পাল্টা বক্তব্য, অভিযোগে জল গড়িয়েছে বহুদুর। তবে গত দু’দিন ধরেই বিষয়টি নিয়ে চুপ এই তিন তারকা। কারো থেকেই ওই বিষয়ে আর কোনো বক্তব্য আসছে না।

বিষয়টি যখন আড়ালে চলে যাচ্ছে ঠিক এমন সময়ে বৃহস্পতিবার রাতে মৌসুমী তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট দিয়ে বিষয়টি যেন আবার উস্কে দিলেন। মৌসুমী তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘কঠিন বাস্তবতা অতিক্রম মানে হচ্ছে স্বপ্নকে ছুঁয়ে দেওয়া।’

স্ট্যাটাসটি পড়ে সবার ধারণা হতেই পারে যে মৌসুমী কঠিন একটা সময় অতিক্রম করছেন। তবে ‘স্বপ্নকে ছুঁয়ে দেওয়া’ বিষয়টা কি, সেটা এখনও রহস্য রয়ে আছে।

এর আগে ১২ জুন জায়েদ খানের বিরুদ্ধে শিল্পী সমিতিতে সংসার ভাঙা ও হত্যাচেষ্টার উল্লেখ করে অভিযোগ করেন ওমর সানি। ওমর সানি অভিযোগে বিষয় হিসেবে লেখেন, ‘জায়েদ খান দ্বারা আমার সংসার ভাঙা এবং আমাকে পিস্তল বের করে মেরে ফেলার হুমকি প্রসঙ্গে।’

১০ জুন রাতে অভিনেতা ডিপজলের ছেলের বিয়েতে অভিনেতা জায়েদ খানকে চড় মারেন বলে দাবি করেন ওমর সানি। তবে ওমর সানীর এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেন স্ত্রী মৌসুমী। মৌসুমী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন জায়েদ খান তাকে ডিস্টার্ব তো নয়ই, উল্টো সম্মান করেন। আর তিনিও জায়েদকে স্নেহ করেন। কিন্তু মৌসুমীর এই বক্তব্যকে কার্যত নাকচ করে দিয়ে ওমর সানী ফেসবুক লাইভে এসে তার বক্তব্যে অটল থাকার কথা জানান। অর্থাৎ জায়েদ যে মৌসুমীকে ডিস্টার্ব করেন সে কথাতেই অটল থাকেন। একই সঙ্গে এ-ও বলেন যে তার ছেলের কাছে ব্যাপক প্রমাণ রয়েছে জায়েদের ডিস্টার্ব করার বিষয়ে।

সব ভুলে একসঙ্গে সানি-মৌসুমী, চাইলেন দোয়া অভিনেতা ডিপজলের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে দ্বন্দ্বে জড়ান চিত্রনায়ক ওমর সানী ও জায়েদ খান। অভিনেত্রী ও স্ত্রী মৌসুমীকে বিরক্ত করায় জায়েদকে চড় মারেন ওমর সানী। ঘটনার এক পর্যায়ে কোমরে থাকা পিস্তল বের করে ওমর সানীকে গুলি করার হুমকি দেয় জায়েদ। গত শনিবার রাতে এ খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

এ ঘটনার একদিন পর জায়েদের বিরুদ্ধে ওমর সানী সংসার ভাঙার চেষ্টার অভিযোগ তুলে শিল্পী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন। ওই লিখিত অভিযোগে জায়েদ চার মাস ধরে তাদের সংসার ভাঙার চেষ্টা করছেন সে কথা উল্লেখ করেছেন ওমর সানী। এসব নিয়েই দুই দিন ধরে দেশের শোবিজপাড়া উত্তপ্ত। চড় মারার যুক্তি দেখিয়ে ওমর সানী বলেছিলেন, জায়েদ অনেক দিন ধরেই বেয়াদবি করে আসছিল। ওকে আমি সরাসরি পাচ্ছিলাম না। জানতাম বিয়েতে আসবে। ওকে কথায় কথায় চড় দিই। তখন জায়েদ পিস্তল উঠিয়ে গুলি করতে চায়।

সানী আরও বলেন, জায়েদ খান তো সব সময় পিস্তল নিয়ে ঘোরে। ক্ষমতা দেখায়। ইন্ডাস্ট্রিতে ওর অত্যাচার সহ্য করতে করতে অনেকেই বিরক্ত। কেউ হয়তো মুখ ফুটে বলে না মান-সম্মান হারানোর ভয়ে। আমি ভাবলাম, আর দেরি নয়, এখনই শুরু করতে হবে। তাই চড়টা দিয়েই শুরু করলাম। আমি চড় মেরেই বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে বের হয়ে যাই। তবে ওমর সানীর এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেন স্ত্রী মৌসুমী। মৌসুমী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন জায়েদ খান তাকে ডিস্টার্ব তো নয়ই, উল্টো সম্মান করেন। আর তিনিও জায়েদকে স্নেহ করেন। কিন্তু মৌসুমীর এই বক্তব্যকে কার্যত নাকচ করে দিয়ে ওমর সানী ফেসবুক লাইভে এসে তার বক্তব্যে অটল থাকার কথা জানান। অর্থাৎ জায়েদ যে মৌসুমীকে ডিস্টার্ব করেন সে কথাতেই অটল থাকেন। একই সঙ্গে এ-ও বলেন যে তার ছেলের কাছে ব্যাপক প্রমাণ রয়েছে জায়েদের ডিস্টার্ব করার বিষয়ে।

এরপর মৌসুমী ও ওমর সানীর ছেলে ফারদীন গণমাধ্যমকে বক্তব্য দেন। তার বক্তব্য খুবই কৌশলী হলেও সানীর অভিযোগকেই মান্যতা দেয়। অর্থাৎ মা মৌসুমীর বিপরীতে চলে যায়।

তবে এসব বিতর্ক ও আলোচনা ভুলে আবারও এক হলেন সানি-মৌসুমী। জায়েদ ইস্যুতে তাদের ২৭ বছরের সংসার ভাঙার যে গুঞ্জন উঠেছিল তা এখানেই সমাপ্তি ঘটছে। বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ওমর সানি তার ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেন। সেখানে এক টেবিলে মুখোমুখি বসে খাবার খেতে দেখা যায় সানি-মৌসুমীকে।

ছবির ক্যাপশনে সানি লেখেন, ‘সবাই ভালো থাকবেন, দোয়া করবেন আমাদের জন্য।’

এই ছবিটি পোস্ট হতেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। আবারও এক হয়ে যাওয়ায় সানি-মৌসুমীর ভক্তরা তাদের অভিনন্দন জানান।

প্রসঙ্গত, গত ১০ জুন অভিনেতা ডিপজলের ছেলের বিয়েতে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করার হুমকির অভিযোগ তোলেন ওমর সানী। এ নিয়ে ওমর সানি শিল্পী সমিতিতে অভিযোগও করেন। গুলি করার হুমকিসহ স্ত্রী মৌসুমীকে হয়রানিরও অভিযোগ করেন তিনি। যদিও অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেন জায়েদ।, বলেন এটা মিথ্যা খবর।

About admin

Check Also

ভারত থেকে খুনি এনে হত্যা করা হয়েছে সালমান শাহকে: মা নীলা চৌধুরী

ঢাকাই চলচ্চিত্রের ক্ষণজন্মা এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম সালমান শাহ। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর না ফেরার …