জমজমের পানি: মুসলিমদের অনেকেই রোগ মুক্তি বা ধর্মীয় কাজের জন্য জমজম কূপের পানি পান করে থাকেন। হজে যাওয়া লাখ লাখ হাজী এ পানি নিজেরা পান করেন। সঙ্গে বোতলে করে নিয়ে যান নিজ দেশে।
জাপানি বিজ্ঞানী মাসারু ইমোতো ন্যানো প্রযুক্তি ব্যবহার করে গবেষণা করেছেন জমজমের পানির ওপর। কেন জমজমের পানি পৃথিবীর বিশুদ্ধতম পানি তার কিছু বৈজ্ঞানিক ধারণা বের করেছেন গবেষণার মাধ্যমে।
জমজমের পানি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ পানি। পবিত্র জমজম নিয়ে রাসুল (সা.)-এর বহু হাদিস রয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো ইবনে আব্বাস (রা.) কর্তৃক বর্ণিত।
মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ পানি হলো জমজমের পানি। তাতে রয়েছে তৃপ্তির খাদ্য ও ব্যা’ধির আরো’গ্য।’ (আল-মুজামুল আউসাত, হাদিস : ৩৯১২)জাপানের বিখ্যাত গবেষক মাসরু এমোতো জমজমের পানি নিয়ে গবেষণা করেছেন। তাঁর মতে, জমজমের এক ফোঁটা পানির যে নিজস্ব খনিজ গুণাগুণ আছে, তা পৃথিবীর অন্য কোনো পানিতে নেই।
তিনি আরো বলেন, সাধারণ পানির এক হাজার ফোঁটার সঙ্গেযদি জমজমের পানির এক ফোঁটা মেশানো হয়, তাহলে সেই মিশ্রণও জমজমের পানির মতো বিশুদ্ধ হয়।
কেননা জমজমের পানির মতো বিশুদ্ধ পানি পৃথিবীর অন্য কোথাও পাওয়া যাবে না।খলিলুল্লাহ ইবরাহিম (আ.)-এর পুত্র হজরত ইসমাঈল ও স্ত্রী হাজেরা (আ.)-এর এই স্মৃতিকে মহান আল্লাহ এতটাই বরকতময় করে রেখেছেন যে, পৃথিবীতে এই পানির নজির আর তিনি রাখেননি। এই পানিকে তিনি বানিয়েছেন সম্পূর্ণ জীবা’ণুমুক্ত এবং হাজারো জীবাণুর প্রতিষে’ধক।
জাপানি বিজ্ঞানী মাসারু ইমোতো ন্যানো প্রযুক্তি ব্যবহার করে গবেষণা করেছেন জমজমের পানির ওপর। কেন জমজমের পানি পৃথিবীর বিশুদ্ধতম পানি তার কিছু বৈজ্ঞানিক ধারণা বের করেছেন গবেষণার মাধ্যমে।
১। এক ফোঁটা জমজমের পানিতে যে পরিমাণ আকরিক পদার্থ থাকে তা পৃথিবীর অন্য কোনো পানিতে থাকে না।
২। জমজমের পানির গুণগত মান কখনও পরিবর্তিত হয় না।
৩। সাধারণ কূপের পানিতে জলজ উদ্ভিদ জন্মালেও জমজম কূপের পানিতে কোনো জলজ উদ্ভিদ বা অন্যান্য উদ্ভিদজাত অণু’জীব জন্মায় না।
৪। জমজমের পানিতে যেসব আকরিক পদার্থ পাওয়া গেছে তার মধ্যে ক্যালসিয়াম, ফ্লোরাইড, সোডিয়াম, ক্লোরাইড, সালফেট,নাইট্রেট, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম উল্লেখযোগ্য। ফ্লোরাইড ছাড়া বাকি মিনারেলগুলোর মাত্রা অন্যসব স্বাভাবিক খাবার পানিতে পাওয়া মাত্রা থেকে বেশি ছিল।
৫। জমজমের পানিতে এন্টিমনি, বেরিলিয়াম, ব্রোমাইন,কোবাল্ট, বিস্মুথ, আয়োডিন আর মলিবডেনামের মতো পদার্থগুলোর মাত্রা ছিল ০.০১ ppm থেকেও কম। ক্রোমিয়াম, ম্যাংগানিজ আর টাইটানিয়াম এর মাত্রা ছিল একেবারেই নগণ্য।
৬। জাপানি বিজ্ঞানীর পরীক্ষা অনুযায়ী জমজমের পানির pH হচ্ছে ৭ দশমিক ৮। যেটি সামান্য ক্ষারজাতীয়।
বিজ্ঞানী তার পরীক্ষায় আর্সেনিক, ক্যাডমিয়াম, সীসা এবং সেলেনিয়ামের মতো ক্ষ’তিকর পদার্থগুলো ঝুঁ’কিমু’ক্ত মাত্রায় পেয়েছেন। যে মাত্রাগুলোতে মানুষের কোনো ক্ষ’তি হয় না।
৭। মাসারু তার পরীক্ষায় জমজমের পানির এমন এক ব্যতিক্রমধর্মী মৌলিক আকার পেয়েছেন যেটি খুবই চমকপ্রদ। পানির দুইটি স্ফটিক সৃষ্টি হয়- একটি আরেকটির উপরে কিন্তু সেগুলো একটি অনুপম আকার ধারন করে।
জমজমের পানির বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত ৭ উপকার
জমজম কূপ, আল্লাহর এক বিশেষ নিদর্শন। এই কূপের পানি অত্যন্ত বরকতময়। রোগ নিরাময়, ক্ষুধা নিবারণসহ জমজম কূপের পানির আরও অনেক উপকারিতা আছে।
জমজম কূপ নিয়ে বিশ্বের খ্যাতনামা গবেষকরা তাদের অবাক বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। গবেষণায় দেখিয়েছেন এর উপকারী নানা দিক। হজরত আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত হাদিস থেকে জানা যায়, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজের সঙ্গে থাকা পাত্রে এবং মশকে জমজমের পানি বহন করতেন। তিনি এই পানি অসুস্থদের ওপর ছিটিয়ে দিতেন এবং তাদের পান করাতেন। (তিরমিজি, তারিখুল কবির, বায়হাকি)। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘এটি মুবারক পানি, ক্ষুধা নিবারক খাদ্য এবং রোগের শেফা।’
জমজম কূপের পানিতে মিলবে কিছু উপকারিতা, যা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। যেমন-
- সাধারণ পানির তুলনায় জমজমের পানিতে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের পরিমাণ সামান্য বেশি।
- জাপানের বিখ্যাত গবেষক মাসারু এমোতো জমজমের পানি নিয়ে গবেষণা করেছেন। তার মতে, জমজমের পানির মাত্র এক ফোঁটা এক হাজার ফোঁটা সাধারণ পানিতে মেশানো হলে ওই পানিও জমজমের পানির বৈশিষ্ট্য অর্জন করে। তিনি আরও বলেন, জমজমের পানির মতো বিশুদ্ধ পানি পৃথিবীর অন্য কোথাও পাওয়া যাবে না।
- পানি বিশেষজ্ঞ ড. ইয়াহইয়া খোশগে জমজম কূপের পানির বিশুদ্ধতা কতটুকু তা নির্ণয় করার জন্য আলট্রাভায়োলেট রশ্মি ব্যবহার করেছেন। এই পরীক্ষার পর তিনি বলেন, জমজমের পানিতে কোনো ধরনের দূষণকারী পদার্থ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
- শুধু জাপান নয়, জার্মানিতেও জমজম কূপের পানি নিয়ে অনেকেই বিস্তর গবেষণা করেছেন। তার মধ্যে একজন জার্মান বিজ্ঞানী নাট ফিফার। তার গবেষণা মতে, জমজমের পানি আশ্চর্যজনকভাবে দেহের সেল সিস্টেমের শক্তির মাত্রা বাড়িয়ে তোলে।
- জমজমের পানি ফ্রেঞ্চ আল্পসের পানি থেকেও বিশুদ্ধ। যেখানে ফ্রেঞ্চ আল্পসের পানির প্রতি লিটারে বাইকার্বনেটের পরিমাণ ৩৫৭ মিলিগ্রাম সেখানে জমজমের পানির প্রতি লিটারে বাইকার্বনেটের পরিমাণ ৩৬৬ মিলিগ্রাম।
- জমজমের পানিতে ফ্লুরাইডের উপস্থিতি থাকায় এর জীবাণুনাশক ক্ষমতাও আছে।
- জমজম কূপের পানির রাসায়নিক গঠন অ্যালকালাইন প্রকৃতির, যা শরীরের অতিরিক্ত এসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। গ্যাস্ট্রিক, আলসার ও হৃদযন্ত্রে গঠিত বিভিন্ন রোগ নিয়ন্ত্রণ করে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন “জমজমের পানি যে উদ্দেশ্য নিয়ে পান করবে তা পূরণ হবে।” (সুনানে ইবন মাজাহ, হাদিস ৩০৬২)। এ কারণে অনেক মনীষীর ইতিহাস থেকে জানা যায়, জমজমের পানি পানের আগে তারা আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে অনেক প্রার্থনা করতেন। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন দুনিয়ার সকল মানুষকে জমজম কূপের মতো অলৌকিক মহা পুরস্কার ও নিয়ামতের জন্য শুকরিয়া আদায় করার তাওফিক দান করুন।
জমজমের পানি কী দাঁড়িয়েই পান করতে হবে?
এ কথা প্রসিদ্ধ যে, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) জমজম কূপের পানি দাঁড়িয়ে পান করেছেন বলে সাধারণত আমরাও দাঁড়িয়েই জমজমের পানি পান করি। অনেকেই জমজমের পানি বসে পান করাকে মারাত্মক পাপের কাজ বলে মনে করেন।
কেউ কেউ বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ভীড়ের কারণে জমজম দাঁড়িয়ে পান করেছেন, তাই স্বাভাবিকভাবে ভীড় ছাড়া দাঁড়িয়ে জমজমের পানি পান করা ঠিক না। বিষয়টি নিয়ে এক ধরনের ধুম্রজাল রয়েছে আমাদের সমাজে।
বস্তুত জমজমের পানি সাধারণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে-বসে দু’ভাবেই পান করা জায়েয। ভীড় না থাকলে দাঁড়িয়ে জমজম পান করা জায়েয নেই- এ কথা ঠিক নয়। ভীড় ছাড়াও জমজমের পানি দাঁড়িয়ে পান করা যে জায়েয আছে এ সম্পর্কে ফতোয়ার অনেক কিতাবে এবং হাদিসের ব্যাখ্যাগ্রন্থসমূহে উল্লেখ আছে।
উপরন্তু রাসূলুল্লাহ (সা.) জমজমের পানি দাঁড়িয়ে পান করেছেন- এ হাদিসের ভিত্তিতে বহু প্রাজ্ঞ ও বিজ্ঞ ইসলামী চিন্তাবিদ, হাদিসের ব্যাখ্যাকারক জমজমের পানি দাঁড়িয়ে পান করাকে উত্তম ও আদব বলেছেন।
আর রাসূলুল্লাহ (সা.) মূলতঃ ভীড়ের কারণে জমজম দাঁড়িয়ে পান করেছেন এটা কোনো সুনিশ্চিত ও চূড়ান্ত কথা নয় এবং তা হাদিস ও সাহাবাদের কাজ এবং বক্তব্য দ্বারাও প্রমাণিত নয়; বরং ইসলামী স্কলাররা রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর দাঁড়িয়ে জমজম পান করার সম্ভাব্য কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছেন। তন্মধ্যে একটি ভীড়ের কারণকেও উল্লেখ করেছেন। তারা আরো যে কয়েকটি কারণ উল্লেখ করে থাকেন তা হলো—
১. জমজমের পানি দাঁড়িয়ে পান করাও যে জায়েজ তা বুঝানোর জন্য।
২. বসার যথাযথ ব্যবস্থা না থাকা অর্থাৎ পান করার স্থানটি ভেজা বা স্যঁতস্যঁতে হওয়ার কারণে তিনি দাঁড়িয়ে পান করেছেন।
সুতরাং এ সব কারণের মধ্যে শুধু একটিকে গ্রহণ করে বাকিগুলোকে এড়িয়ে যাওয়া আদৌ ঠিক নয়।
উল্লেখ্য যে, এ বিষয়গুলো ইসলামী শরিয়তের মৌলিক কোনো বিষয় নয়, সুতরাং এগুলো নিয়ে তর্ক করে খুব সময় নষ্ট করার পক্ষপাতি নন আলেমরা। তবে শুধু জেনে রাখার জন্য এগুলোর আলোচনা হতে পারে।
জমজমের পানি পানের নিয়ম ও উপকারিতা কী?
জমজম। বহুগুণে সমৃদ্ধ মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে পাওয়া বরকতময় নেয়ামতের পানি। হজ ও ওমরায় অংশগ্রহণকারীরা এবং জমজমের এ পানি পাওয়ার ক্ষেত্রে সম্ভব্য ব্যক্তিদের জন্য এ পানি পানের ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নির্দেশ দিয়েছেন। হাদিসে ঘোষিত নিয়ম অনুযায়ী তৃপ্তি সহকারে জমজমের পানি পান করা ঈমানের বহিঃপ্রকাশ। মুনাফিকরা চাহিদা মতো জমজমের পানি পান করত না। তাছাড়া এ পানি পানের রয়েছে বিশেষ উপকারিতা। কী সেই উপকারিতা?
জমজমের পানির গুণাগুণ ও উপকারিতার বিষয়টি চিকিৎসাবিজ্ঞানে প্রমাণিত। তারপরও এ পানির একটি বিশেষ উপকারিতা আছে। এ পানি পানে নিয়ত অনুযায়ী উপকারিতা পায় মুমিন। হাদিসে এসেছে-
>> হজরত জাবের বিন আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, আমি রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, জমজমের পানি যে উপকার পাওয়ার আশায় পান করা হবে; তা অর্জিত হবে বা সে উপকার পাওয়া যাবে।’ (ইবনে মাজাহ)
আবার এ পানি পানের সঙ্গে ঈমানের বিষয়টিও জড়িত। হাদিসে পাকে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ পানি পানের নির্দেশ ও তা পান করার বর্ণনা করে উল্লেখ করেন-
> হজরত মুহাম্মাদ বিন আবদুর রহমান বিন আবু বাকর (মাকবুল) বর্ণনা করেন, আমি হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুর কাছে বসা ছিলাম। (এমন সময়) এক ব্যাক্তি তাঁর কাছে এলে তিনি জিজ্ঞাসা করনে, তুমি কোথা থেকে এসেছো?
সে বলল- জমজমের কাছ থেকে।
তিনি জিজ্ঞাসা করলেন- ‘তুমি কি তা থেকে প্রয়োজনমত পানি পান করেছ?
সে বলল- তা কিরূপে?
তিনি বললেন, তুমি তা (জমজম) থেকে পান করার সময়-
১. কেবলামুখী হবে।
২. আল্লাহর নাম স্মরণ করবে।
৩. তিনবার নিঃশ্বাস নেবে এবং
৪. তৃপ্তি সহকারে পান করবে।
৫. পানি পান শেষে তুমি মহামহিম আল্লাহর প্রশংসা করবে।
কারণ , রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আমাদের ও মুনাফিকদের মধ্যে নিদর্শন এই যে, তারা তৃপ্তি সহকারে জমজমের পানি পান করে না।’ (ইবনে মাজাহ)
> হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনায় এসেছে, ‘জমজমের এ পানি দাঁড়িয়ে কেবলামুখী হয়ে তিন নিঃশ্বাসে পান করা সুন্নাত। বরকত ও উপকার পাওয়ার আশায় জমজমের পানি পান করার সময় এ দোয়া করাও উত্তম-
اللَّهُمَّ إِنِّى أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا, وَرِزْقًا وَاسِعًا, وَشِفَاءً مِنْ كُلِّ دَاءٍ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আস’আলুকা ইলমান নাফি’আ, ওয়ারিজকান ওয়াসিয়া, ওয়াশিফা’আন মিন কুল্লি দায়িন।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে উপকারী জ্ঞান, প্রশস্থ রিজিক এবং যাবতীয় রোগ থেকে আরোগ্য কামনা করছি।’ (দারা কুতনী, আব্দুর রাজ্জাক ও হাকেম)
মুমিন মুসলমানের উচিত, জমজমের পানি পানের বিশেষ উপকারিতা পেতে যথাযথ সম্মান ও দোয়ার সঙ্গে পান করা। মনের একনিষ্ঠ নিয়ত পূরণে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনায় এ পানি পান করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জমজের পানি পান করে যাবতীয় বরকত ও উপকারিতা পাওয়ার তাওফিক দান করুন। মুনাফেকির আচরণ থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।