দুনিয়ায় যারা আল্লাহর হুকুম এবং তার রাসূল হজরত মুহা’ম্ম’দ (স.)-এর দেখানো পথে অনুসরণ করবেন তারা জান্নাতে যাব’েন। সেখানে তারা পরম শান্তিতে বসবাস করবেন। যার শুরু আছে, শেষ নেই।
জান্নাতিদের জন্য সেখানে সবচেয়ে আকর্ষণীয় নেয়ামত আল্লাহর দিদার দর্শন। জান্নাতের নেয়ামত, সুখ শান্তি, ঐশ্বর্য সম্পর্কে কোরআন ও হাদিসে বহু বর্ণনা রয়েছে। জান্নাতে প্রবেশের জন্য আট’টি দরজা রয়েছে। মর’্যাদা অনুযায়ী এসব দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবেন যারা সফল হয়েছেন।
জান্নাতের আট’টি দরজার প্রত্যেকটিতে দুটি করে পাল্লা রয়েছে। নবী কারিম (সা.) দুই পাল্লার মধ্যবর্তী জায়গা কতটা প্রশস্ত সে সম্পর্কে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন।
হাদিসের বিশু’দ্ধ গ্রন্থ মুসলিম শরিফের এক হাদিসে নবী (সা.) বলেছেন, জান্নাতের দরজার দুই পাল্লার মাঝখানের প্রশস্ততা মক্কা শরিফ থেকে বাহরাইনের হাজার অথবা মক্কা শরিফ থেকে সিরিয়ার বুশরার দূরত্বের সমান।
আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে মহানবী (সা.) এ বাণী দিয়েছেন। নবী যদি বলতেন, জান্নাতের দরজার দুই পাল্লার মধ্যবর্তী দূরত্ব মক্কা শরিফ থেকে হাজার পর্যন্ত। তাহলে এ নিয়ে এ মুহূর্তে হয়তো আলোচনা ‘হতো না। তিনি স’ঙ্গে স’ঙ্গে বলেছেন, অথবা জান্নাতের দুই দরজার মধ্যবর্তী দূরত্ব মক্কা শরিফ থেকে বুশরার দূরত্বের সমান।
মহানবীর এ কথায় স্পষ্ট যে, মক্কা থেকে হাজার বা মক্কা থেকে বুশরার দূরত্ব সমান। সম্প্রতি স্যাটেলাইট প্রযুক্তিতে পাওয়া ছবিতেও দেখা গেছে মক্কা থেকে বুশরা এবং মক্কা থেকে হাজার একই দূরত্বে অবস্থিত। রোববার ইসলাম প্র্যাকটিস নামে একটি ফেসবুক পেজ তাদের এক পোস্টে বি’ষয়টি তুলে ধরেছে। সেখানে স্যাটেলাইটে পাওয়া ছবিটি পোস্ট করা হয়েছে। ছবিতে দেখা যায়, মক্কা থেকে সিরিয়ার বুশরার দূরত্ব এক হাজার ২০০ কিলোমিটার। অন্যদিকে মক্কা শরিফ থেকে বাহরাইনের হাজারের দূরত্বও এক হাজার ২০০ কিলোমিটার।