দীর্ঘদিন পর ঢাকাই চলচ্চিত্রে সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। এমন সময় মুক্তি পেয়েছে ‘ভাইয়ারে’। সিনেমাটির নির্মাতা এবং অভিনেতা রাসেল মিয়া কখনও রিকশা চালিয়ে, আবার কখনও ঠেলাগাড়ী ঠেলে প্রচার করে আলোচনায় আসার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তার সব প্রচেষ্টা ছাড়িয়ে গেছে সিনেমাটি মুক্তির পর। ‘পাপমুক্ত সিনেমা’, ‘ওজু নিয়ে দেখা যাবে’ এমন ধরনের উদ্ভট, আপত্তিজনক মন্তব্য করে ভাইরাল হন রাসেল মিয়া।
এমনকি একটি ভিডিওতে তাকে হাউমাউ করে কান্না করতেও দেখা গেছে, যা ভাইরাল হয়। রাসেল মিয়া গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে সিনেমাটিকে ‘পাপমুক্ত সিনেমা’ দাবি করেন। কসম খেয়ে এই দাবি করতে করতে কেঁদে ফেলেন তিনি। কিন্তু এরপর মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে একটি স্ট্যাটাস দেন। তিনি স্ট্যাটাসে মন্তব্যের ব্যাখ্যা দেন।
‘বলতে চেয়েছি, আমি ব্যক্তিগত কোনো পাপ করিনি বা আমার টিম কোনো পাপ করেনি। আমি বলতে চেয়েছি বা বোঝাতে চেয়েছি ইন্ডাস্ট্রিতে হাজার হাজার ভালো মানুষ রয়েছে যারা কোনো প্রকার পাপ কাজের সঙ্গে যুক্ত নয়। তারা শুধু সংস্কৃতিকে ভালোবেসেই সিনেমার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, সিনেমা বানাচ্ছে- আমি এটাই বোঝাতে চেয়েছি।’ ‘আমি একটি হলে গিয়ে দেখি হাউসফুল। আবেগ সামলাতে না পেরে সেখানে সাংবাদিকদের সামনে বলে ফেলেছি- এটা পাপমুক্ত ছবি।
আমি সিনেমাকে হালাল, হারাম বা পাপমুক্ত বলতে চাইনি।’ রাসেল মিয়া তার বক্তব্যে কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এ ঘটনার পর রাসেল মিয়ার একটি শুটিংয়ের দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায় রাসেল মিয়াকে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে ধরে চুমু খাচ্ছেন একজন নারী।
বিষয়টি জানতে চাইলে রাসেল মিয়া বলেন এটা শুটিংয়ের দৃশ্য, ‘ভাইয়ারে’ সিনেমার নয়। ভাইয়ারে সিনেমাটি ৫টি হলে মুক্তি পেয়েছে। মুক্তির পরে রাসেল মিয়াকে উচ্ছ্বসিত দেখা গেলেও খোঁজ নিয়ে জানা যায় রাজধানীর ‘চিত্রলী’ হলে সেল রিপোর্ট খুবই খারাপ। উল্লেখ্য ‘ভাইয়ারে’ সিনেমার নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রাসেল মিয়া।
এ ছাড়াও রয়েছেন এলিনা শাম্মী, জারা। হেলেনা জাহাঙ্গীরকেও এ সিনেমায় দেখা গেছে। সম্প্রতি তিনি এই সিনেমা প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘ভাইয়ারে ছবিটি অজু করে দেখলেও অজু ভাঙবে না।’ তার এই মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।