শেষপর্যন্ত স্কেটিং সাইকেলের প্রায় ২ ফিট লম্বা স্টিলের হ্যান্ডেলটির সম্মুখ ভাগ পেটে ঢুকে যাওয়া সেই শিশু ঐশী (১২) মৃত্যু কাছে হেরে গেলো।
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে ঐশীর মা সোনিয়া গণমাধ্যমকে বলেন,
মেয়েকে বাঁচাতে পারলাম না। আমার মেয়ে বাঁচতে চেয়েছিল। ও বলেছিল, আম্মু আমাকে বাঁচাও, আমার অনেক ব্যথা করছে। রক্ত ম্যানেজ করে রাতে অপারেশন করা হলো।
সকালে আমার মেয়ে চলে গেলো না ফেরার দেশে। আমাকে আর আম্মু আম্মু বলবে না। জানা যায়, শিশু ঐশীর বাসা ঢাকার মোহাম্মদপুরের মোহাম্মদিয়া হাউজিংয়ে।
মোহাম্মদপুর ফায়ার সার্ভিসের লিডার কামাল হোসেন মোহাম্মদপুর মোহাম্মদিয়া হাউজিং লিমিটেডের চার তলা বাসা থেকে ঐশীকে উদ্ধার করে। কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরেও প্রাথমিক
চিকিৎসা না পেয়ে তাকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত না ফেরার দেশে চলে গেলো শিশু ঐশী।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর)
বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বাসায় স্কেটিং সাইকেল নিয়ে খেলার সময় মর্মান্তিক এক দুর্ঘটনা শিকার হয় ঐশী। স্কেটিং সাইকেলের প্রায় ২ ফিট লম্বা স্টিলের হ্যান্ডেলটির সম্মুখ ভাগ
তার পেটে ঢুকে যায়। ওই অবস্থাতেই তাকে নিয়ে আসা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।