চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অ’গ্নিকা’ণ্ডের ঘটনায় আ’গু’ন নেভাতে প্রথমবারের মতো অ’ত্যাধুনিক প্রযু’ক্তির রোবট ব্যবহার করছে ফায়ার সার্ভিস বাংলাদেশে আ’গু’ন নিয়ন্ত্রণে এই প্রথম এ ধরনের উচ্চ প্রযু’ক্তির ফায়ারফাইটিং ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স (বিএফএসসিডি) বাহিনীর একাধিক দমকলকর্মী।
বিএফএসসিডির সহকারী পরিচালক (চট্টগ্রাম) মো. ফারুক হোসেন সিকদার সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “আ’গু’ন নেভানোর জন্য আমাদের কাছে সব অ’ত্যাধুনিক প্রযু’ক্তি রয়েছে।”
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে “এলইউএফ ৬০” নামক অ’গ্নিনির্বাপক রোবটটি কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়। অ’গ্নিনির্বাপক এ যানকে দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
“এলইউএফ ৬০” নির্মাণকারী অস্ট্রিয়ান প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট অনুসারে, ধোঁয়া, তাপ, এবং বিষাক্ত গ্যাস নিষ্কাশন করতে এবং আ’গু’নের তীব্রতা কমিয়ে স্বাভাবিক বায়ুচলাচল নিশ্চিতে কাজ করে এটি। এছাড়াও ৩০০ মিটার পর্যন্ত স্প্রে করতে সক্ষম এই অ’গ্নিনির্বাপক যানটি। এর মাধ্যমে প্রতি মিনিটে ২৪০০ লিটার পানি স্প্রে করা সম্ভব।
ট্যাঙ্ক সদৃশ-চেইন-চাকার সাহায্যে “এলইউএফ ৬০” রোবটটিকে ৩০ ডিগ্রি খাড়া সিঁড়ি বেয়ে ওপরে ওঠানো যায়। এটিতে থাকা থার্মাল ইমেজারের মাধ্যমে দমকলকর্মীরা আরও ভালভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে পারেন।
নির্মাতাদের ভাষ্যমতে, দমকলকর্মীদের জীবনকে ঝুঁ’কিতে না ফেলে বিশেষ প্রশিক্ষণ ছাড়াই রোবটটি দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তাছাড়া, রোবটটি রক্ষণাবেক্ষণ করাও বেশ সহ’জ।
২০১৯ সালে ৬টি “এলইউএফ ৬০” রোবট কেনার পরিকল্পনা চললেও ক’রো’নাভাই’রাস মহামা’রির কারণে তা বিলম্বিত হয়। এর আগে ২০১৭ সালের শুরুতেও সরকার এগুলো কেনার পরিকল্পনা শুরু করেছিল। তবে অর্থাভাবের কারণে কখনোই এ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি।
সংযু’ক্ত আরব আমিরাত, রাশিয়া, অস্ট্রিয়া, জার্মানি, ভা’রত এবং ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশগুলোও নিজেদের দমকল বাহিনীতে বর্তমানে অ’ত্যাধুনিক প্রযু’ক্তির এ রোবটগুলো ব্যবহার করছে।
Sotto TV We Publish technology, various types of tips, career tips, banking information, methods of earning online