মাসুম বিল্লাহ- ফাতেমা কনা দম্পতির ঘরে দুই যময সন্তান জন্মনেয়। সন্তানদের বয়স ২ মাস। যমজ শিশুর নাম মনি ও মুক্তা। প্রায় সময়ই কান্না করতো তারা। কান্না না থামায় নাক-মুখ চেপে ধরে হত্যা করে মরদেহ পুকুরে নিয়ে ফেলে দেন মা ফাতেমা কনা। তিনি হত্যার কথা শিকার করেছেন। এ ঘটনায় মা কানিজ ফাতেমা কনাকে গ্রেপ্তার করেছে তেরখাদা থানা পুলিশ। শনিবার ( ১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সন্তানদের হত্যার কথা স্বীকার করেছেন তিনি।
যময শিশু হত্যার ঘটনায় পিতা মাসুম বিল্লাহ বাদী হয়ে কনাকে আসামি করে তেরখাদা থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর রাতেই ওই যমজ শিশুর মাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এর আগে গতকাল দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কনাকে আটক করে পুলিশ। শুক্রবার ( ১৮ ফেব্রুয়ারি) ভোরে কুশলা গ্রামের শেখ খায়রুজ্জামানের ওরফে খায়ের শেখের বাড়ির পাশের পুকুর থেকে কনার ২ মাস বয়সী দুই মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তেরখাদা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহুরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, যমজ শিশু মনি ও মুক্তাকে হত্যা করে তার মা কানিজ ফাতেমা কনা। এরপর মরদেহ বাড়ির পাশের পুকুরে ফেলে দিয়ে বাচ্চা উধাও হওয়ার নাটক সাজান তিনি।
এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তেরখাদা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এনামুল হক জানান, বাচ্চা দুটি সবসময় কান্নাকাটি করতো। এ নিয়ে কনা বিরক্ত ছিলেন। কয়েকদিন আগে তিনি স্বামীকে ফোন করে তাদেরকে বাবার বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। স্বামী মাসুম বিল্লাহ ১ মার্চে তাদেরকে নিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে কনার যমজ সন্তান ঘুম থেকে জেগে যায় এবং কান্নাকাটি শুরু করে। তখন দুধ খাইয়ে তাদের ঘুম পড়ানোর চেষ্টা করেন কনা। কিন্তু তাদের কান্না না থামায় তিনি নাক-মুখ চেপে ধরে হত্যা করে মরদেহ পুকুরে নিয়ে ফেলে দেন।
এসআই জানান, হত্যার পর কনা নাটক সাজান যে, তিনি ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় তার বিছানা থেকে বাচ্চা দুটি উধাও হয়ে গেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক কনার বাবা শেখ খায়রুজ্জামান ও মা শরিফা বেগমকে শনিবার সকালে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পরে কনা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হয়েছেন। তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
উল্লেখ্য, চার বছর আগে বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার গাংনি গ্রামের মাসুম বিল্লাহর সঙ্গে কনার বিয়ে হয়। কিন্তু পারিবারিক কলহের কারণে কয়েক মাস ধরে বাবার বাড়িতে ছিলেন তিনি। আর মাসুম বিল্লাহ তার নিজের বাড়িতে থাকতেন এবং একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন।
Sotto TV We Publish technology, various types of tips, career tips, banking information, methods of earning online