বেসরকারি টেলিভিশনের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের উপস্থাপক মাওলানা নুরুল ইসলাম ফারুকীকে হত্যাকাণ্ডে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের জড়িত থাকার ইঙ্গিত দিয়েছেন তার ছেলে ফুয়াদ আল ফারুকী।
হত্যাকাণ্ডের প্রায় ১০ বছর পর রোববার সকালে নিজের ফেসবুক ওয়ালে এক পোস্টে বাবার হত্যাকাণ্ডের বর্ণনায় এমন ইঙ্গিত দেন ফুয়াদ। এরপরই তার স্ট্যাটাস পরিবর্তনের জন্য অনেকেই ‘চাপ’ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন নুরুল ইসলাম ফারুকীর ছেলে।
সোমবার সকালে এক ভিডিওবার্তায় ফুয়াদ আল ফারুকী বলেন, গতকাল রোবার আমি আমার ফেসবুক ওয়ালে একটি পোস্ট করেছি। যে পোস্টটি ছিল আমার আব্বা শহিদ শাইখ নুরুল ইসলাম ফারুকীকে (রাহ.) নিয়ে। আব্বার শাহাদাতবার্ষিকীকে কেন্দ্র করে তার হত্যাকাণ্ডের যে বর্ণনা, সেই পরিপূর্ণ বর্ণনাটি পরিবারের মতামতের ভিত্তিতে দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে আমার আম্মা বাসায় আছেন, তার পরিপূর্ণ মতামতে ভিত্তিতে সম্পূর্ণরূপে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
তিনি বলেন, আমার পোস্টের সম্পূর্ণ স্টেটমেন্ট একদম পরিপূর্ণ সত্য। আমি সেখানে যা উল্লেখ করেছি, যা যা লিখেছি, প্রতিটি কথাই সত্য। আরও অনেক কথা হয় তো রয়েছে, যে কথাগুলো লম্বা হয়ে যাবে, বড় হয়ে যাবে স্টেটমেন্ট সেজন্য আমি হয় তো আনতে পারিনি।
ফুয়াদ আল ফারুকী আরও বলেন, হত্যাকাণ্ড পরবর্তী সময়ে মামলার যে বিষয়টি উঠে এসেছে, আমি কমেন্টবক্সে সেভাবেই উল্লেখ করেছি। আমার কথা আমি কারো পক্ষেও বলিনি, কারো বিপক্ষেও বলিনি। সত্য কথাটি কেবল তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এ বিষয়টিকে কেন্দ্র করে যে বা যারা আমাকে ইনবক্সে ব্লেম (দোষ) দিচ্ছেন, আমাকে বলছেন, আপনার স্টেটমেন্ট পরিবর্তন করুন, আপনার কমেন্টগুলো পরিবর্তন করুন বা এ বিষয়ে আমাকে প্রেসারাইজড (চাপ) করা হচ্ছে।
‘আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন হচ্ছে, আপনারাই আমাকে বলে দেন যে, কীভাবে এই সত্য কথাটাকে ঘুরিয়ে মিথ্যা কথা বলা যেতে পারে বা কীভাবে মিথ্যা বানানো যেতে পারে- আপনারাই আমাকে শিখিয়ে দিন’।
এরপরও যদি আপনারা অনাকাঙ্ক্ষিত ধরনের ব্লেম (দোষ) বা কেউ হুমকি ধমকি- এ ধরনের কথা বলে থাকেন তাহলে এমন কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা উঠে আসবে যেগুলো আপনাদেরই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন ফুয়াদ আল ফারুকী।
বন্যা কবলিত এলাকায় জুমার নামাজ যেভাবে পড়বেন
সপ্তাহের গুরুত্বপূর্ণ দিন শুক্রবার। এ দিনের অন্যতম ফজিতপূর্ণ আমল জুমার নামাজ। জুমার নামাজ জামাতে আদায় করতে হয়। জুমার জামাতের জন্য ইমাম ছাড়াও আরও তিনজন মুসল্লি উপস্থিত থাকা আবশ্যক। ইমাম খুতবা দেবেন, বাকি তিনজন খুতবা শুনবেন এবং জুমায় শরিক থাকবেন। অন্যথায় জুমার জামাত হবে না।
কোনো ব্যক্তি যদি কোনো নির্জন জায়গায় থাকেন যেখানে জুমার নামাজ আদায়ের মতো যথেষ্ট পরিমাণ মুসল্লি না থাকে তাহলে তার ওপর জুমা পড়া ওয়াজিব নয় তবে এমন ব্যক্তিকে জুমার বদলে জোহর আদায় করে নিতে হবে।
এমনিভাবে বন্যা কবলিত এলাকায় যদি জুমার নামাজ আদায়ের জন্য যথেষ্ট মুসল্লি না থাকে তাহলে তাকেও জুমার পরিবর্তে জোহর আদায় করে নিতে হবে।
উপরে বর্ণিত বিষয়টি একেবারে জুমার নামাজ আদায় করতে পারার কোনো ক্ষেত্রে পালনীয়। তবে যদি কোনো এলাকায় বন্যার্ত ব্যক্তি পানিতে আটকা পড়ে যায় এবং তার কাছে নৌকা থাকে তাহলে তিনি নামাজ নৌকাতে পড়ে নেবেন।
আর যদি নৌকা না থাকে তাহলে তিনি নিরাপদ স্থানে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। ওয়াক্ত শেষ হওয়ার আগে নিরাপদ স্থানে যেতে না পারলে সময় শেষ হওয়ার আগমুহূর্তে পানিতেই নামাজ পড়ে নিতে হবে। এক্ষেত্রে পানিতে দাঁড়িয়ে যেভাবে সম্ভব সেভাবেই নামাজ আদায় করবে।
যেমন—পানি যদি অল্প হয় এবং কেউ রুকু করতে সক্ষম হন তাহলে রুকু দিয়ে নামাজ আদায় করতে হবে। আর সেজদা করে নেবেন ইশারায়। যদি কেউ রুকু করতে না পারেন তাহলে পানিতে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করবেন এবং রুকু-সেজদা ইশারায় করে নেবেন। (হাশিয়াতুত তাহতাবি আলা মারাকিয়িল ফালাহ: ৪০৭, রদ্দুল মুহতার: ৩/২৪)