নৌকার মনোনীত প্রার্থীকে ভোট না দিলে পায়ে হেঁটে যেতে পারবেন না বলে ভোটারদের হুশিয়ারি দিয়েছেন পিরোজপুর পৌরসভার মেয়র হাবিবুর রহমান মালেক। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্বেও রয়েছেন।গতকাল রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সংসদে অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সালমা রহমান হ্যাপির পক্ষে প্রচারণায় এই হুমকি দেন।
তার এই বক্তব্যের পর এলাকায় সমালোচনার ঝড় সৃষ্টি হয়েছে। তবে এই বক্তব্যের বিষয়টি স্বীকার করেছেন মেয়র হাবিবুর রহমান মালেক। তিনি দাবি করেছেন, হুমকি নয় দলের নেতাকর্মীদের প্রতি অধিকারের স্থান থেকে এই বক্তব্য দিয়েছেন। অন্যদিকে, বক্তব্যের পরে নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিদ্রোহী প্রার্থী মহিউদ্দিন মহারাজ। ভিডিওতে দেখা যায় পৌর মেয়র বলছেন, সালমা রহমানের ভাই একজন শহীদ বীরমুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু মারা যাওয়ার পরে তার বাবা সরকারি চাকরি ছেড়ে দেন। কারণ, তিনি জালিম সরকারের অধীনে চাকরি করবেন না। সেই মানুষটির মেয়ে এবং আমাদের পরিবারের পূত্রবধূ।
এসময় মেয়র ঘোষণা দেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রার্থীকে যে ভোট দেবে না, সেই লোক পায়ে হেঁটে যেতে পারবে না। তিনি প্রশ্ন তোলেন, প্রতিপক্ষ টিভি-চ্যানেলকে টাকা নিয়ে ম্যানেজ করেছে, আপনারা দেখবেন। কতদিন ম্যানেজ করবে? আমি বলব সত্যের জয় একদিন হবেই। মালেক বলেন, যারা মঠবাড়িয়াকে দ্বিখণ্ডিত করতে চায় তারা দলের হলেও সামাজিকভাবে বয়কট করেন। তারা মঠবাড়িয়া বাজারে উঠতে পারবে না, তুষখালী উঠতে পারবে না।
বক্তব্যের বিষয়ে পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান মালেক জানান, পায়ে হেঁটে যেতে পারবে না কথা আমি আমার দলের নেতাকর্মীদের বলেছি অধিকারের জায়গা থেকে। কারণ যারা আওয়ামী লীগ করেন আর আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীকে ভোট দেবেন না, তাহলে তো তিনি নেতৃত্ব মানেন না। আমি অন্য কোনো দলের কাউকে এসব কথা বলিনি। অন্য দলের লোকদের বলার অধিকার আমার নেই। তবে এই বক্তব্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সালমা রহমান হ্যাপীর প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী বিগত পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মহারাজ।
তিনি জানান, নির্বাচন কমিশন ও স্থানীয় প্রশাসনের ওপর আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আশা করছি ভোট সুষ্ঠ হবে। তবে তার (পৌর মেয়র) এই বক্তব্যে আমি উদ্বেগ প্রকাশ করছি। কিন্তু মোটেই বিচলিত নই। আমি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী যদি আমাকে নির্দেশ দেন তাহলে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করবো। অন্যথায় ভোটের মাঠে লড়াই চালিয়ে যাব।
Sotto TV We Publish technology, various types of tips, career tips, banking information, methods of earning online