পূর্বে মেঘনা আর পশ্চিমে তেঁতুলিয়া নদী। দক্ষিণ-পশ্চিমে বুড়াগৌরাঙ্গ, দক্ষিণে রয়েছে বঙ্গোপসাগর। সাগরমোহনার দ্বীপ চর উপজেলা চরফ্যাশন। নীলাকাশ, নীলাভ জল, সবুজ বন, রুপালী ইলিশ, দুরন্ত হরিণ, পাখির ঝাঁক, মহিষের বাথান, কালো ভোঁদর-সবই শোভা বাড়িয়েছে এখানকার প্রকৃতির। এখানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য। শঙ্খচিল আর মেঘ ছুঁয়ে যাওয়া বলাকাদের ডানা ঝাপটে দিগন্ত থেকে দিগন্তে ছুটে চলা এবং মেঘনার অসীম জলরাশি আর নদীর ঢেউয়ের দোলায় চিকমিক করা বালি কণা ছুঁয়ে দেখতে যে কারো মন ছুটে আসবে চরফ্যাশনের মেঘনার পাড়ে খেজুরগাছিয়ার মিনি কক্সবাজারে।
অন্যদিকে বেতুয়ায় মেঘনার পাড়ে গড়ে ওঠা প্রশান্তি পার্কের রেস্টিং বেঞ্চ, বেতুয়া কায়াকিং পয়েন্ট আর গোলঘরসহ নদীর কিনারায় রেলিং ধরে চা ও কফি’তে চুমুক দিয়ে জলের আলতো ঢেউয়ে শত শত চিলের মাছ শিকারের চিত্র দেখতেও মন্দ লাগবে না কারোরই। কায়াকিং বোটে ৯০ টাকায় ২ জন মিলে ৩০ মিনিট বেতুয়া খালে ঘুরতে পারবেন এছাড়াও বেতুয়ায় ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর বাস্তবায়নে নির্মিত বেড়িবাঁধের ঢালে ঘুরতে আসছে শত শত পর্যটক। ঢাকা নদীবন্দর থেকে চরফ্যাশন টু বেতুয়ার লঞ্চে সরাসরি পর্যটকরা ঘুরতে আসছে চরফ্যাশনে।
চরফ্যাশন শহরে আছে জ্যাকব টাওয়ার, শেখ রাসেল স্কয়ার শিশুপার্ক। সরকারি, বেসরকারি রেস্টহাউস ছাড়াও আছে বেশ কিছু ভালো হোটেল। জ্যাকব টাওয়ারে উঠলে মনে হবে আকাশের কাছে আপনার অবস্থান, পুরো উপজেলা আপনার চোখের সামনে। ২২৫ ফুটের উচ্চতায় ১৬ তলা বিশিষ্ট জ্যাকব টাওয়ার পরিদর্শন করেই পর্যটকদের গন্তব্য থাকে বঙ্গোপসাগরের কুলঘেঁষে জেগে ওঠেছে দেশের অন্যতম পর্যটন স্পট কুকরি-মুকরি সি বিচে। চরফ্যাশন থেকে বাস, মাইক্রো কিংবা মোটরসাইকেলে আপনাকে যেতে হবে কচ্চপিয়া ঘাট। সেখান থেকে ট্রলার, স্পিডবোট কিংবা লাইনের লঞ্চে আপনি কুকরি-মুকরি ম্যানগ্রোভ(শ্বাসমূলীয়) বনে যেতে পারেন। এ বনে হরিণ ছাড়াও নানা রকম বন্য প্রাণী এবং নদীতে ডলফিনজাতীয় ভোঁদর দেখতে পাবেন।
Sotto TV We Publish technology, various types of tips, career tips, banking information, methods of earning online