আওয়ামী সরকারের শাসন আমলে বাংলাদেশ বিদেশি ঋণে রেকর্ড ভেঙেছে। গত জুন মাস শেষে বিদেশি ঋণ ছাড়িয়েছে ১০৩ বিলিয়ন ডলার। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, জুন শেষে বিদেশি ঋণ ছাড়িয়েছে ১০৩ বিলিয়ন ডলার। যা মার্চ ২০২৪-এ ছিল ৯৯ বিলিয়ন ডলার। ডিসেম্বর ২০২৩ এ যা ছিল ১০০ বিলিয়নের বেশি। অর্থাৎ, মার্চ ২০২৪ এ ডিসেম্বর ২০২৩ এর তুলনায় ১ বিলিয়ন ডলার কম হলেও এবার তা বেড়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, গত মার্চ মাসে বিদেশি ঋণের স্থিতি ছিল ৯৯ দশমিক ৩১ বিলিয়ন বা ৯ হাজার ৯৩১ কোটি ডলার। সেই হিসাবে গত তিন মাসের ব্যবধানে বিদেশি ঋণের স্থিতি বেড়েছে ৪৪৮ কোটি ডলার।
এর আগে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে বিদেশি ঋণের পরিমাণ প্রথমবারের মতো ১০০ বিলিয়ন বা ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যায়। ওই সময়ে সরকারি ও বেসরকারি খাতে বিদেশি ঋণের স্থিতি হয়েছিল ১০০ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন বা ১০ হাজার ৬৪ কোটি ডলার। এর পরের তিন মাসে বিদেশি ঋণের স্থিতি কিছুটা কমে আসে। গত মার্চ শেষে তা দাঁড়ায় ৯ হাজার ৯৩১ কোটি ডলারে। তবে পরের তিন মাসে বিদেশি ঋণ আবার বৃদ্ধি পেয়ে ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫-১৬ অর্থবছর শেষে বিদেশি ঋণের স্থিতি ছিল ৪১ দশমিক ১৭ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ১১৭ কোটি ডলার। অর্থাৎ গত ৯ বছরে বাংলাদেশের বিদেশি ঋণ বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি।
জনশুমারি ও গৃহগণনা শুমারির সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের জনসংখ্যা বর্তমানে ১৬ কোটি ৯৮ লাখ। সেই হিসাবে গত জুন শেষে মাথাপিছু বিদেশি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৬১১ ডলার (প্রায় ৭৩ হাজার টাকা)। ৯ বছর আগে এর পরিমাণ ছিল ২৫৭ ডলারের কিছু বেশি।