দিনাজপুরের হিলিতে বাল্যবিবাহের অভিযোগে বরকে এক বছর ও কনের মাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। রবিবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার হরিকৃষ্টপুর এলাকায় বিয়ে বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নূর-এ আলম উপজেলা সিভিল অফিসারের কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ সাজা প্রদান করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, বিরামপুর উপজেলার মুন্সিপাড়া গ্রামের আ. ছবুর ছেলের বর নাহিদ (২২) ও হাকিমপুরের হরেকৃষ্টপুর গ্রামের রশিদুল ইসলামের স্ত্রী কনের মা নাজনীন নাহার (৩৫)।
মোহাম্মদ নূর এ আলম জানান, খট্টমাধবপাড়া ইউনিয়নে বাল্যবিবাহ হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে থানা পুলিশসহ ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি দল ওই বিয়ে বাড়িতে অভিযান চালায়। অভিযানে অন্যরা পালিয়ে গেলেও বর ও কনের মাকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, বাল্যবিবাহ একটি সামাজিক ব্যাধি। সমাজের প্রতিটি নাগরিককে এর বিরুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তাদের কখনই বাল্যবিবাহ দেওয়া উচিত নয়। তবেই বাল্যবিবাহ বন্ধ করা সম্ভব হবে।
অফিস রুমে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সময় প্রেমিক-প্রেমিকা আটক
রেলস্টেশন অফিস রুমে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সময় প্রেমিক যুগলকে হাতেনাতে আটক করেছেন স্থানীয়রা। যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারণ রেলস্টেশন অফিস রুমে রবিবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে শার্শা সদর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবুল হোসেন ।
এ কাজে সহযোগিতা করায় স্টেশন অফিসে মাস্টাররোলে কর্মরত সৌরভ নামের একজনকেও আটক করা হয়। পরে ঘটনাটি মীমাংসার নামে একটি প্রভাবশালী মহল তিন পক্ষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিষয়টি রফাদফা করে সবাইকে ছেড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সৌরভ মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে স্টেশনের অফিস কক্ষে প্রেমিক যুগলদের অনৈতিক কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করে আসছিলেন। স্থানীয়রা তাকে সন্দেহ করতেন। রোববার অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সময় অফিসরুমে প্রেমিক যুগলকে হাতেনাতে আটক করেন তারা। এ সময় সহযোগিতাকারী সৌরভসহ প্রেমিক যুগলকে অফিসের একটি কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। ঘটনাটি লোক জানাজানি হয়ে গেলে স্টেশন এলাকার আশেপাশের লোকজন এসে ভিড় করেন।
আবুল হোসেন বলেন, স্টেশনে আটক প্রেমিক যুগলকে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতি যেন আর না হয় সে বিষয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। এ বিষয়ে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান বলেন, এ-সংক্রান্ত কোনো খবর আমার জানা নেই। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।