জামায়াতের সঙ্গে ৪০ দিন ফজরের নামাজ আদায়ের শর্তে নিবন্ধন করেছিলেন ৬৫ জন শিক্ষার্থী, তাদের সবারই বয়স মাত্র ১০ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। যারা শর্ত পূরণ করতে পারবেন, তাদের নতুন বাইসাইকেল প্রদান করা হবে। আর তাই শর্তানুযায়ী একটানা ৪০ দিন জামায়াতের সঙ্গে ফজরের নামাজ আদায় করে বাইসাইকেল পুরস্কার পেয়েছেন ৪৮ জন শিক্ষার্থী। বাকি ১৭ জন শিক্ষার্থী পেয়েছেন ইসলামিক বই।
গতকাল শুক্রবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে বকুল বালিকা দলের উদ্যোগে নওগাঁ নওজোয়ান মাঠে শিক্ষার্থীদের হাতে এসব পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।সাইকেল উপহার পেয়ে খুশি শিক্ষার্থীরা। ছেলেদের এমন অর্জনে খুশি অভিভাবকরাও। তবে তাদের এমন অভ্যাস যেন হারিয়ে না যায়, সেদিকে সচেষ্ট মনোনিবেশ রাখার আহ্বান অভিভাবকদের। অভিভাবকরা জানায়, বাচ্চারা যেন নিয়মিত নামাজ পড়েন ও শিষ্টাচার ভুলে না যায়, সে জন্য যত্নবান হতে হবে। এ পদ্ধতি বাচ্চাদের ধর্মীয় অনুশাসনে রাখবে। বকুল বালিকা দল সংগঠনকে এমন উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ জানান তারা।
এই ৪৮ জনের মাঝেই একজন শহরের কাচারি মসজিদ এলাকার উমর বিন সবুর (১০)। উপহার পেয়ে উচ্ছ্বসিত উমর।উমর জানান, বাবা ও মা তাকে প্রতিদিন ফজরের নামাজের আগে ঘুম থেকে ডেকে দিত। সাইকেল পুরস্কার হিসেবে পেয়ে তার অনেক উপকার হয়েছে। প্রতিদিন মাদরাসায় যাতায়াতে সাইকেল অনেক সহায়তা করবে।
বকুল বালিকা দলের সহসভাপতি নাহিদ নিগার তিন্নি বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, পূর্বে জেলার অসহায় মানুষের জন্য কাজ করেছি। শহর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য ডাস্টবিনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় এবং শারীরিক উন্নতির জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষার্থীদের বাইসাইকেল ও ইসলামিক বই তুলে দেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মির্জা ইমাম উদ্দিন।
কুয়েতে বিশ্ব কুরআন প্রতিযোগিতায় তিন বাংলাদেশি হাফেজ
কুয়েত ধর্ম মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত ১১তম আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন তিন বাংলাদেশি হাফেজ। ১১৭টি দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় লড়বেন হাফেজ তাওহিদুল ইসলাম ও হাফেজ আবু রাহাত এবং ক্বারি আবু সালেহ মুসা। গত বুধবার (১২ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। এইদিন কুয়েতের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টায় ফাইনাল রাউন্ড শুরু হবে। পরবর্তী বুধবার (১৯ অক্টোবর) চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
এর আগে বাংলাদেশ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম আয়োজিত কুয়েতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতার জন্য বাংলাদেশ থেকে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার দুজন শিক্ষার্থী দুটি গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়। গত মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) কুয়েত এসে পৌঁছান বাংলাদেশি তিন এই প্রতিযোগী। প্রতিযোগী হাফেজ আবু রাহাত বলেন, ‘আমি দেশের হয়ে কুয়েতে আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছি। সবাই দোয়া করবেন আমি যেন বাংলাদেশের লাল সবুজের সম্মান বয়ে আনতে পারি।
এছাড়া প্রতিযোগী ক্বারি আবু সালেহ মাহা. মুসা বলেন, বাংলাদেশ হতে নির্বাচিত হয়ে কুয়েতে কেরাত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে এসেছি। আমার সঙ্গে আরও দুই ভাই অংশগ্রহণ করেছে কুরআন প্রতিযোগিতায়।
দোয়া করবেন আমরা যেন দেশে সুনাম বয়ে আনতে পারি। মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার পরিচালক শায়েখ নেছার আহমাদ আন নাছিরী বলেন, সৌদি আবর, কাতার, আবর আমিরাত, বাহারাইনে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি প্রতিযোগীরা বিজয়ী হয়েছে। কুয়েতে হতে পারেনি, ইনশাআল্লাহ আমরা আশাবাদী এবার আমাদের ছেলেরা বিজয়ী হবে। সবাই আমাদের তিন প্রতিযোগীর জন্য দোয়া করবেন। ওরা যেন বিশ্বের কাছে দেশের ভাবমূর্তি ও সুনাম উজ্জ্বল করতে পারে।