বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বিভ্রাট একটি সাধারণ সমস্যা, যা দৈনন্দিন জীবনে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। এই সমস্যার সমাধানে ইনস্ট্যান্ট পাওয়ার সাপ্লাই (আইপিএস) একটি কার্যকরী সমাধান হিসেবে বিবেচিত হয়। ২০২৫ সালে বাংলাদেশের বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও মডেলের আইপিএস পাওয়া যায়, যা তাদের ক্ষমতা, প্রযুক্তি এবং মূল্যের ভিত্তিতে ভিন্নতা প্রদর্শন করে। এই ব্লগ পোস্টে আমরা ২০২৫ সালের সেরা আইপিএস মডেলগুলো এবং তাদের বিস্তারিত তথ্য ও মূল্য সম্পর্কে আলোচনা করব।
আইপিএস কেনার ক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয়সমূহ
আইপিএস কেনার আগে নিচের বিষয়গুলো বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ:
- ক্ষমতা (VA): আপনার প্রয়োজনীয় লোড অনুযায়ী আইপিএসের ক্ষমতা নির্ধারণ করুন। সাধারণত, বাড়ির জন্য ৭০০VA থেকে ১৫০০VA ক্ষমতার আইপিএস যথেষ্ট।
- আউটপুট টাইপ: পিওর সাইন ওয়েভ আউটপুট যুক্ত আইপিএস ডিভাইসগুলি সংবেদনশীল ইলেকট্রনিক্সের জন্য নিরাপদ।
- ব্যাটারি সামঞ্জস্যতা: আইপিএসটি কোন ধরনের ব্যাটারির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ তা নিশ্চিত করুন, যেমন লিড-এসিড, টিউবুলার বা এসএমএফ ব্যাটারি।
- চার্জিং প্রযুক্তি: দ্রুত ও স্মার্ট চার্জিং প্রযুক্তি যুক্ত আইপিএস ব্যাটারির স্থায়িত্ব বাড়ায় এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে।
- নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য: ওভারলোড, শর্ট সার্কিট এবং ডিপ ডিসচার্জ সুরক্ষা থাকা আইপিএস নিরাপদ ব্যবহারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
২০২৫ সালের সেরা আইপিএস মডেল ও তাদের মূল্য
নিচে বাংলাদেশের বাজারে ২০২৫ সালের সেরা কিছু আইপিএস মডেল এবং তাদের মূল্যের তালিকা দেওয়া হলো:
আইপিএস মডেল | ক্ষমতা (VA) | আউটপুট টাইপ | মূল্য (৳) | বৈশিষ্ট্য |
---|---|---|---|---|
Luminous Eco Watt Neo 700 | ৭০০ | মডিফাইড সাইন ওয়েভ | ৭,৮০০ | উচ্চ কার্যক্ষমতা, একক ব্যাটারি সমর্থন |
Luminous Eco Watt Neo 1050 | ৯০০ | মডিফাইড সাইন ওয়েভ | ৯,৫০০ | বাড়ির জন্য উপযোগী, নির্ভরযোগ্য পারফরম্যান্স |
Luminous Optimus 1250 | ১১০০ | পিওর সাইন ওয়েভ | ১৪,২০০ | এলসিডি ডিসপ্লে, দ্রুত চার্জিং, উন্নত নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য |
Luminous Zelio+ 1100 | ১১০০ | পিওর সাইন ওয়েভ | ১৩,৫০০ | স্মার্ট ডিসপ্লে, ব্যাটারি স্ট্যাটাস মনিটরিং |
Luminous NXG 1450 | ১৪৫০ | পিওর সাইন ওয়েভ | ১৭,৪০০ | সোলার হাইব্রিড প্রযুক্তি, পরিবেশবান্ধব |
Hamko Combo-1200 | ১২০০ | পিওর সাইন ওয়েভ | ১৪,৩০০ | নির্ভরযোগ্য পারফরম্যান্স, দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি |
Rahimafrooz Power Pack 1100VA | ১১০০ | পিওর সাইন ওয়েভ | ১৪,৪০০ | উচ্চ ক্ষমতা, স্থিতিশীল আউটপুট |
Exide Pure Sine Wave 1125 | ১১২৫ | পিওর সাইন ওয়েভ | ১৫,৫০০ | উন্নত প্রযুক্তি, নিরাপদ ব্যবহারের নিশ্চয়তা |
সেরা আইপিএস ব্র্যান্ডসমূহ
বাংলাদেশের বাজারে নিম্নলিখিত ব্র্যান্ডগুলো তাদের উচ্চমানের আইপিএসের জন্য পরিচিত:
- Luminous: ভারতীয় ব্র্যান্ড যা পিওর সাইন ওয়েভ এবং সোলার হাইব্রিড আইপিএস উৎপাদনে সুপরিচিত।
- Hamko: দেশীয় ব্র্যান্ড যা নির্ভরযোগ্য এবং সাশ্রয়ী মূল্যের আইপিএস সরবরাহ করে।
- Rahimafrooz: বাংলাদেশের অন্যতম পুরোনো এবং বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড, তাদের পাওয়ার প্যাক সিরিজ বেশ জনপ্রিয়।
- Exide: আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড যা উচ্চমানের ব্যাটারি এবং আইপিএস উৎপাদনে খ্যাতি অর্জন করেছে।
ভিডিওতে দেখুন ২০২৫ সালের সেরা আইপিএস মডেল ও তাদের মূল্য
Luminous আইপিএস সম্পর্কে বিস্তারিত
লুমিনাস (Luminous) ভারতীয় একটি সুপরিচিত ব্র্যান্ড, যা ইনস্ট্যান্ট পাওয়ার সাপ্লাই (আইপিএস), ইউপিএস, ইনভার্টার এবং ব্যাটারির ক্ষেত্রে উচ্চমানের পণ্য সরবরাহ করে। বাংলাদেশের বাজারে লুমিনাস আইপিএস তাদের নির্ভরযোগ্যতা, উন্নত প্রযুক্তি এবং দীর্ঘস্থায়ী পারফরম্যান্সের জন্য জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
লুমিনাস আইপিএস মডেলসমূহ ও তাদের বৈশিষ্ট্য
লুমিনাস বিভিন্ন ক্ষমতা ও বৈশিষ্ট্যের আইপিএস মডেল সরবরাহ করে, যা ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী নির্বাচন করা যায়। নিচে কিছু জনপ্রিয় মডেলের বিবরণ প্রদান করা হলো:
১. ইকো ওয়াট সিরিজ (Eco Watt Series)
ইকো ওয়াট সিরিজ লুমিনাসের সবচেয়ে জনপ্রিয় হোম ইউপিএস সিরিজ, যা উন্নত পিসিবি প্রোগ্রামিং, মাইক্রোপ্রসেসর এবং এফএসডব্লিউ ট্রান্সফর্মার দ্বারা নির্মিত। এই সিরিজের মডেলগুলো কম বিদ্যুৎ খরচে উচ্চ কার্যক্ষমতা প্রদান করে এবং উচ্চ লোড গ্রহণে সক্ষম।
- ইকো ওয়াট ৭০০ (Eco Watt 700): ৬০০ ভিএ ক্ষমতা, ১২ ভোল্টেজ, মূল্য ১২,৫০০ টাকা।
- ইকো ওয়াট ১০৫০ (Eco Watt 1050): ৯০০ ভিএ ক্ষমতা, ১২ ভোল্টেজ, মূল্য ১৫,০০০ টাকা।
- ইকো ওয়াট ১৬৫০ (Eco Watt 1650): ১৫০০ ভিএ ক্ষমতা, ২৪ ভোল্টেজ, মূল্য ২১,৫০০ টাকা।
মূল বৈশিষ্ট্য:
- নিম্ন ১১০ ভি এসি ইনপুট ভোল্টেজে ব্যাটারি চার্জিং শুরু।
- বিভিন্ন ব্যাটারি প্রকারের জন্য চারটি নির্বাচিত চার্জিং প্রোফাইল।
- স্মার্ট থার্মাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, যা অতিরিক্ত তাপমাত্রায় সিস্টেম বন্ধ করে দেয়।
- মোবাইল চার্জিংয়ের জন্য ইউএসবি পোর্ট।
২. জেলিও প্লাস সিরিজ (Zelio+ Series)
জেলিও প্লাস সিরিজ পিওর সাইন ওয়েভ আউটপুট সহ উন্নত এলসিডি ডিসপ্লে সমৃদ্ধ মডেল সরবরাহ করে, যা ব্যাটারি স্ট্যাটাস, লোডিং এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদর্শন করে।
- জেলিও+ ১১০০ (Zelio+ 1100): ৯০০ ভিএ ক্ষমতা, ১২ ভোল্টেজ, মূল্য ২১,০০০ টাকা।
মূল বৈশিষ্ট্য:
- পিওর সাইন ওয়েভ আউটপুট, যা সংবেদনশীল ইলেকট্রনিক্সের জন্য নিরাপদ।
- স্মার্ট এলসিডি ডিসপ্লে, যা রিয়েল-টাইম সিস্টেম স্ট্যাটাস প্রদর্শন করে।
- স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইউপিএস এবং ইনভার্টার মোডের মধ্যে পরিবর্তন।
৩. অপটিমাস সিরিজ (Optimus Series)
অপটিমাস সিরিজ উন্নত এলসিডি ডিসপ্লে এবং পিওর সাইন ওয়েভ আউটপুট সহ উচ্চ ক্ষমতার মডেল সরবরাহ করে, যা বাড়ি এবং ছোট অফিসের জন্য উপযোগী।
- অপটিমাস ১২৫০ (Optimus 1250): ১১০০ ভিএ ক্ষমতা, ১২ ভোল্টেজ, মূল্য ২২,৫০০ টাকা।
- অপটিমাস ২৩০০ (Optimus 2300): ২০০০ ভিএ ক্ষমতা, ২৪ ভোল্টেজ, মূল্য ৪৬,০০০ টাকা।
মূল বৈশিষ্ট্য:
- উন্নত এলসিডি ডিসপ্লে, যা ব্যাটারি এবং লোড স্ট্যাটাস প্রদর্শন করে।
- পিওর সাইন ওয়েভ আউটপুট, যা ইলেকট্রনিক্সের জন্য নিরাপদ।
- দ্রুত চার্জিং প্রযুক্তি এবং উন্নত নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য।
৪. ক্রুজ সিরিজ (Cruze Series)
ক্রুজ সিরিজ উচ্চ ক্ষমতার পিওর সাইন ওয়েভ ইনভার্টার সরবরাহ করে, যা বড় বাড়ি, অফিস এবং ছোট শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য উপযোগী।
- ক্রুজ ৩.৫ কেভিএ (Cruze 3.5 kVA): ৩৫০০ ভিএ ক্ষমতা, ৪৮ ভোল্টেজ, মূল্য ৮৩,০০০ টাকা।
- ক্রুজ ৫.২ কেভিএ (Cruze 5.2 kVA): ৫২০০ ভিএ ক্ষমতা, ৭২ ভোল্টেজ, মূল্য ১,২২,০০০ টাকা।
মূল বৈশিষ্ট্য:
- উচ্চ ক্ষমতা এবং স্থিতিশীল আউটপুট, যা বড় লোড পরিচালনা করতে সক্ষম।
- উন্নত ডিসপ্লে, যা সিস্টেমের বিভিন্ন স্ট্যাটাস প্রদর্শন করে।
- একাধিক ব্যাটারি সমর্থন এবং দীর্ঘস্থায়ী পারফরম্যান্স।
লুমিনাস আইপিএস কেনার ক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয়সমূহ (চলমান)
- ক্ষমতা নির্ধারণ: আপনার প্রয়োজনীয় লোড অনুযায়ী আইপিএসের ক্ষমতা নির্বাচন করুন। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি একটি ফ্যান, ৩-৪টি লাইট, একটি টেলিভিশন এবং একটি ল্যাপটপ চালাতে চান, তাহলে ৯০০VA থেকে ১১০০VA ক্ষমতার একটি লুমিনাস আইপিএস যথেষ্ট হবে।
- ব্যাটারি উপযোগিতা: লুমিনাস আইপিএস বিভিন্ন ধরণের ব্যাটারির (Flat Plate, Tubular, SMF) সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তবে Tubular Battery দীর্ঘস্থায়ী এবং উচ্চ কার্যক্ষমতা প্রদান করে, যা লুমিনাস নিজস্ব ব্র্যান্ডেও সরবরাহ করে।
- আউটপুট টাইপ: পিওর সাইন ওয়েভ আউটপুট যুক্ত মডেলগুলো সংবেদনশীল ইলেকট্রনিক্স যেমন—কম্পিউটার, টিভি, রেফ্রিজারেটরের জন্য আদর্শ।
- ওয়ারেন্টি ও সাপোর্ট: অধিকাংশ লুমিনাস আইপিএস মডেলে ২ থেকে ৩ বছরের ওয়ারেন্টি পাওয়া যায় এবং বাংলাদেশে তাদের সার্ভিস সেন্টারও উপলব্ধ।
- সোলার সমর্থন: লুমিনাসের কিছু মডেল যেমন NXG সিরিজ সোলার প্যানেল সমর্থন করে, যা বিদ্যুৎ খরচ কমাতে সাহায্য করে ও পরিবেশবান্ধব।
লুমিনাস আইপিএস-এর উপকারিতা
- উন্নত প্রযুক্তি: মাইক্রোপ্রসেসর নিয়ন্ত্রিত সিস্টেম, স্মার্ট চার্জিং প্রযুক্তি ও ওভারলোড সুরক্ষা।
- দীর্ঘস্থায়ী পারফরম্যান্স: শক্তিশালী বিল্ড কোয়ালিটি এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি সাপোর্ট।
- কম শব্দ উৎপাদন: পিওর সাইন ওয়েভ আউটপুটের কারণে কোনো অতিরিক্ত হুম শব্দ তৈরি হয় না।
- ইউজার-ফ্রেন্ডলি ডিসপ্লে: এলসিডি ডিসপ্লে যুক্ত মডেলগুলো ব্যাটারি ও লোড স্ট্যাটাস সহজেই বোঝা যায়।
- বাংলাদেশে সহজলভ্যতা: অধিকাংশ ইলেকট্রনিক্স দোকান ও অনলাইন মার্কেটপ্লেসে সহজেই পাওয়া যায়।
বাংলাদেশে লুমিনাস আইপিএস কোথায় পাওয়া যায়?
- অনলাইন মার্কেটপ্লেস: Daraz, Pickaboo, BDStall, RYANS, TechLand ইত্যাদি।
- রিটেইল শোরুম: এলাকা ভিত্তিক ইলেকট্রনিক্স শোরুমে সহজেই পাওয়া যায়।
- সার্ভিস সেন্টার: লুমিনাস বাংলাদেশের অনুমোদিত ডিস্ট্রিবিউটরদের মাধ্যমে সার্ভিস প্রদান করে।
ভিডিওতে দেখুন Luminous আইপিএস সম্পর্কে বিস্তারিত
Hamko আইপিএস সম্পর্কে বিস্তারিত
হামকো (Hamko) বাংলাদেশের একটি সুপরিচিত ব্র্যান্ড, যা ইনস্ট্যান্ট পাওয়ার সাপ্লাই (আইপিএস), ব্যাটারি এবং অন্যান্য বিদ্যুৎ সরঞ্জাম উৎপাদন ও সরবরাহ করে। তাদের আইপিএস পণ্যসমূহ নির্ভরযোগ্যতা, দীর্ঘস্থায়ী পারফরম্যান্স এবং উন্নত প্রযুক্তির জন্য পরিচিত।
হামকো আইপিএস মডেলসমূহ ও তাদের বৈশিষ্ট্য
হামকো বিভিন্ন ক্ষমতা ও বৈশিষ্ট্যের আইপিএস মডেল সরবরাহ করে, যা ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী নির্বাচন করা যায়। নিচে কিছু জনপ্রিয় মডেলের বিবরণ প্রদান করা হলো:
১. হামকো ৪০০ কম্বো (Hamko 400 Combo)
- ক্ষমতা: ৪০০VA
- ব্যাটারি: HPD100 (12V)
- ব্যাকআপ সময়: প্রায় ২.৫ ঘণ্টা
- লোড ক্ষমতা: ২টি সিলিং ফ্যান, ৩টি লাইট, ১টি ওয়াইফাই রাউটার, ১টি মোবাইল চার্জার
- মূল্য: প্রায় ৩৭,১০০ টাকা (ব্যাটারি সহ) citeturn0search2
২. হামকো ৬০০ কম্বো (Hamko 600 Combo)
- ক্ষমতা: ৬০০VA
- ব্যাটারি: HPD130 (12V)
- ব্যাকআপ সময়: প্রায় ২.৫ ঘণ্টা
- লোড ক্ষমতা: ৩টি সিলিং ফ্যান, ৩টি লাইট, ১টি ওয়াইফাই রাউটার, ১টি মোবাইল চার্জার
- মূল্য: প্রায় ৪০,৫০০ টাকা (ব্যাটারি সহ) citeturn0search2
৩. হামকো ৮০০ কম্বো (Hamko 800 Combo)
- ক্ষমতা: ৮০০VA
- ব্যাটারি: HPD165 (12V)
- ব্যাকআপ সময়: প্রায় ২.৫ ঘণ্টা
- লোড ক্ষমতা: ৪টি সিলিং ফ্যান, ৭টি লাইট, ১টি ওয়াইফাই রাউটার, ১টি মোবাইল চার্জার
- মূল্য: প্রায় ৪২,৪০০ টাকা (ব্যাটারি সহ) citeturn0search2
৪. হামকো ১০০০ কম্বো (Hamko 1000 Combo)
- ক্ষমতা: ১০০০VA
- ব্যাটারি: HPD200 (12V)
- ব্যাকআপ সময়: প্রায় ২ ঘণ্টা
- লোড ক্ষমতা: ৫টি সিলিং ফ্যান, ৮টি লাইট, ১টি ওয়াইফাই রাউটার, ১টি এলইডি টিভি
- মূল্য: প্রায় ৪৮,৯০০ টাকা (ব্যাটারি সহ) citeturn0search2
৫. হামকো ১২০০ কম্বো (Hamko 1200 Combo)
- ক্ষমতা: ১২০০VA
- ব্যাটারি: HPD215 (12V)
- ব্যাকআপ সময়: প্রায় ২ ঘণ্টা
- লোড ক্ষমতা: ৬টি সিলিং ফ্যান, ১০টি লাইট, ১টি ওয়াইফাই রাউটার, ২টি মোবাইল চার্জার, ১টি এলইডি টিভি
- মূল্য: প্রায় ৫০,৭০০ টাকা (ব্যাটারি সহ)
৬. হামকো ১৫০০ কম্বো (Hamko 1500 Combo)
- ক্ষমতা: ১৫০০VA
- ব্যাটারি: HPD165 (24V)
- ব্যাকআপ সময়: প্রায় ২ ঘণ্টা
- লোড ক্ষমতা: ৯টি টিউব লাইট, ৭টি ফ্যান, ১টি ২১” সিআরটি টিভি
- মূল্য: প্রায় ৭১,০০০ টাকা (ব্যাটারি সহ) citeturn0search14
৭. হামকো ২২০০ কম্বো (Hamko 2200 Combo)
- ক্ষমতা: ২২০০VA
- ব্যাটারি: HPD200 (24V)
- ব্যাকআপ সময়: প্রায় ২ ঘণ্টা
- লোড ক্ষমতা: ১১টি টিউব লাইট, ৯টি ফ্যান, ১টি ২১” সিআরটি টিভি
- মূল্য: প্রায় ৯১,৪০০ টাকা (ব্যাটারি সহ) citeturn0search2
৮. হামকো ৩৫০০ কম্বো (Hamko 3500 Combo) – সম্পূর্ণ বিবরণ
- ক্ষমতা: ৩৫০০VA
- ব্যাটারি: HPD165 × 4 (48V)
- ব্যাকআপ সময়: প্রায় ২ ঘণ্টা
- লোড ক্ষমতা: ১০টি ফ্যান, ১২টি লাইট, ১টি রেফ্রিজারেটর, ১টি টিভি, ১টি কম্পিউটার, ১টি রাউটার
- মূল্য: প্রায় ১,২৬,০০০ টাকা (ব্যাটারি সহ)
- আউটপুট টাইপ: পিওর সাইন ওয়েভ
- ব্যবহার: বড় ফ্ল্যাট, অফিস বা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য উপযুক্ত
হামকো আইপিএস-এর বিশেষ বৈশিষ্ট্যসমূহ
- পিওর সাইন ওয়েভ আউটপুট:
সংবেদনশীল ইলেকট্রনিক্সের জন্য নিরাপদ – টিভি, রেফ্রিজারেটর, কম্পিউটার ইত্যাদি। - ব্যাটারি এবং ইনভার্টার সমন্বিত কম্বো প্যাক:
ব্যবহারকারীকে আলাদাভাবে ইনভার্টার ও ব্যাটারি কেনার ঝামেলা থেকে মুক্তি দেয়। - দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি সাপোর্ট:
হামকো নিজেরাই ব্যাটারি প্রস্তুত করে থাকে যা তাদের আইপিএস ইউনিটের সাথে শতভাগ সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং দীর্ঘস্থায়ী। - সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ খরচ:
ইনভার্টার ইউনিটে উচ্চ দক্ষতা সম্পন্ন চার্জিং কন্ট্রোলার যুক্ত, যা বিদ্যুৎ খরচ কমায়। - সহজ ব্যবহারযোগ্য ইন্টারফেস:
বেশিরভাগ মডেলে ব্যাকআপ, লোড, চার্জ স্ট্যাটাস দেখার জন্য ডিসপ্লে বা এলইডি ইন্ডিকেটর রয়েছে। - সার্ভিস ও রক্ষণাবেক্ষণ সুবিধা:
হামকোর নিজস্ব সার্ভিস সেন্টার ও অথোরাইজড ডিলার নেটওয়ার্ক আছে বাংলাদেশজুড়ে।
হামকো আইপিএস কেন কিনবেন?
- বাংলাদেশি ব্র্যান্ড হওয়ায় দাম তুলনামূলকভাবে কম ও খুচরা যন্ত্রাংশ সহজলভ্য।
- ঘরোয়া ও বাণিজ্যিক — উভয় ব্যবহারের জন্য উপযোগী।
- প্যাকেজে ব্যাটারি সহ থাকায় আলাদা করে ব্যাটারি কেনার প্রয়োজন পড়ে না।
- দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই ব্যাটারি সাপোর্ট।
- অনলাইন ও অফলাইন উভয় মাধ্যমেই সহজে ক্রয়যোগ্য।
কোথায় পাওয়া যাবে?
- রিটেইল শপ: দেশের যেকোনো বড় ইলেকট্রনিক্স দোকানে হামকো আইপিএস পাওয়া যায়।
- অনলাইন মার্কেটপ্লেস:
- HamkoIPS.com (হামকোর নিজস্ব ওয়েবসাইট)
- Daraz, Pickaboo, BDStall
- Medical Market BD (বিশেষ করে পিওর সাইন ওয়েভ মডেলগুলোর জন্য)
ভিডিওতে দেখুন Hamko আইপিএস সম্পর্কে বিস্তারিত
Rahimafrooz আইপিএস সম্পর্কে বিস্তারিত
রাহিমআফরোজ বাংলাদেশের একটি সুপরিচিত ব্র্যান্ড, যা ইনস্ট্যান্ট পাওয়ার সাপ্লাই (IPS) এবং ব্যাটারি উৎপাদন ও সরবরাহ করে। তাদের IPS পণ্যসমূহ নির্ভরযোগ্যতা, দীর্ঘস্থায়ী পারফরম্যান্স এবং উন্নত প্রযুক্তির জন্য প্রসিদ্ধ। নিচে রাহিমআফরোজের কিছু জনপ্রিয় IPS মডেলের বিবরণ প্রদান করা হলো:
১. RZ 250 Sinewave IPS
- ক্ষমতা: ১৪০ ওয়াট
- লোড ক্ষমতা: ২টি LED/CFL লাইট (২০W) এবং ১টি ফ্যান (৮০W)
- ব্যাকআপ সময়: প্রায় ২ ঘণ্টা
- ব্যাটারি: IPB ৫০Ah, ১টি ব্যাটারি
- মূল্য: ৳২১,৬০০
- সূত্র: citeturn0search0
২. RZ 400 Sinewave IPS
- ক্ষমতা: ২৮০ ওয়াট
- লোড ক্ষমতা: ২টি টিউব লাইট বা ৪টি LED এবং ২টি ফ্যান
- ব্যাকআপ সময়: প্রায় ২ ঘণ্টা
- ব্যাটারি: IPB ১০০Ah, ১টি ব্যাটারি
- মূল্য: ৳৩৪,৬০০
- সূত্র: citeturn0search0
৩. RZ 600 Sinewave IPS
- ক্ষমতা: ৪০০ ওয়াট
- লোড ক্ষমতা: ৩টি টিউব লাইট বা ৬টি LED এবং ৩টি ফ্যান
- ব্যাকআপ সময়: প্রায় ২ ঘণ্টা
- ব্যাটারি: IPB ১২০Ah, ১টি ব্যাটারি
- মূল্য: ৳৪২,২০০
- সূত্র: citeturn0search0
৪. RZ 2.2KVA IPS
- ক্ষমতা: ১,৫০০ ওয়াট
- লোড ক্ষমতা: ১৩টি LED/CFL লাইট (২০W), ৮টি সিলিং ফ্যান (৮০W), ১টি LED/LCD টিভি ৪৯″ (২০০W), ১টি কম্পিউটার (২৫০W), এবং ৪টি মোবাইল চার্জার (৫W)
- ব্যাকআপ সময়: প্রায় ২ ঘণ্টা
- ব্যাটারি: IPB ২০০Ah, ২টি ব্যাটারি
- মূল্য: ৳১,০৭,৭০০
- সূত্র: citeturn0search0
৫. RZ 3.7KVA IPS
- ক্ষমতা: ২,৩০০ ওয়াট
- লোড ক্ষমতা: ১৫টি LED/CFL লাইট (২০W), ৮টি সিলিং ফ্যান (৮০W), ১টি LED/LCD টিভি ৪৯″ (২০০W), ৪টি কম্পিউটার (২৫০W), এবং ২টি মোবাইল চার্জার (৫W)
- ব্যাকআপ সময়: প্রায় ২ ঘণ্টা
- ব্যাটারি: IPB ১৫০Ah, ৪টি ব্যাটারি
- মূল্য: ৳১,৬৯,৬০০
- সূত্র: citeturn0search0
৬. JUMBO 10 KVA IPS
- ক্ষমতা: ৭,৫০০ ওয়াট
- লোড ক্ষমতা: ১টি ২ টন এয়ার কন্ডিশনার, ১টি রেফ্রিজারেটর, ১২টি টিউব লাইট, ১০টি ফ্যান, এবং ২টি CRT টিভি
- ব্যাকআপ সময়: প্রায় ২ ঘণ্টা
- ব্যাটারি: IPB ১৫০Ah, ১৫টি ব্যাটারি
- মূল্য: মূল্য জানার জন্য ১৬২১৩ নম্বরে কল করুন
- সূত্র: citeturn0search0
৭. RZ 1650 Sinewave IPS
- ক্ষমতা: ১,২৬০ ওয়াট
- লোড ক্ষমতা: ৯টি LED/CFL লাইট (২০W), ৭টি ফ্যান (৮০W), ১টি LED/LCD ২৪” টিভি (১০০W), ১টি পিসি, এবং ৪টি মোবাইল চার্জার (৫W)
- ব্যাকআপ সময়: প্রায় ২ ঘণ্টা
- ব্যাটারি: IPB ১৫০Ah, ২টি ব্যাটারি
- মূল্য: মূল্য সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যের জন্য রাহিমআফরোজের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট দেখুন।
- সূত্র: citeturn0search10
৮. Power Pack 900VA IPS – সম্পূর্ণ বিবরণ
- ক্ষমতা: ৯০০VA (প্রায় ৭২০ ওয়াট)
- ব্যাটারি: Rahimafrooz ১২ভোল্ট ১২০Ah (একটি)
- ব্যাকআপ সময়: প্রায় ২-৩ ঘণ্টা (লোডের উপর নির্ভরশীল)
- লোড ক্যাপাসিটি: ৪টি ফ্যান, ৫টি LED লাইট, ১টি টিভি, ১টি রাউটার
- আউটপুট টাইপ: পিওর সাইন ওয়েভ (Sensitive ডিভাইসের জন্য উপযুক্ত)
- মূল্য: আনুমানিক ৳৩৬,০০০ (ব্যাটারি সহ)
- ব্যবহার: ছোট ফ্ল্যাট, দোকান বা অফিসের জন্য আদর্শ
রাহিমআফরোজ আইপিএস কেন কিনবেন?
১. প্রিমিয়াম ব্র্যান্ড:
রাহিমআফরোজ ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে পাওয়ার সেক্টরে কাজ করছে এবং এটি দেশের অন্যতম বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড।
২. উন্নত প্রযুক্তি:
সকল মডেলেই পিওর সাইন ওয়েভ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, যা আপনার ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের জন্য নিরাপদ এবং কার্যকর।
৩. ব্যাটারির গুণগত মান:
Rahimafrooz নিজস্ব ব্যাটারি প্রস্তুত করে যা IPS-এর সাথে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং দীর্ঘস্থায়ী।
৪. দক্ষ সার্ভিস ও সাপোর্ট:
দেশব্যাপী সার্ভিস সেন্টার এবং অথোরাইজড ডিলার থাকায় পরবর্তীতে সার্ভিস ও রক্ষণাবেক্ষণ সহজ।
৫. মাল্টিপল মডেল অপশন:
ছোট বাসা থেকে বড় অফিস পর্যন্ত বিভিন্ন ক্যাপাসিটির মডেল রয়েছে, যা বিভিন্ন ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী নির্বাচন করা যায়।
৬. উন্নত নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য:
ওভারলোড, শর্ট সার্কিট, ব্যাটারি ডিসচার্জ প্রটেকশনসহ অনেক সুরক্ষা ব্যবস্থা সংযুক্ত।
কোথায় কিনবেন?
- রাহিমআফরোজের অফিসিয়াল অনলাইন স্টোর:
https://estore.rahimafrooz.com - অন্যান্য জনপ্রিয় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম:
- Daraz
- Pickaboo
- BDStall
- Rangs eMart
- Transcom Digital
- রিটেইল শোরুম:
রাহিমআফরোজ-এর অথোরাইজড শোরুম বা যেকোনো বড় ইলেকট্রনিক্স মার্কেটে পাওয়া যায়।
ভিডিওতে দেখুন Rahimafrooz আইপিএস সম্পর্কে বিস্তারিত
Exide আইপিএস সম্পর্কে বিস্তারিত
এক্সাইড (Exide) একটি সুপরিচিত আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড, যা ইনভার্টার এবং ব্যাটারি উৎপাদনে বিশেষজ্ঞ। বাংলাদেশের বাজারে এক্সাইডের আইপিএস (ইনস্ট্যান্ট পাওয়ার সাপ্লাই) পণ্যসমূহ তাদের নির্ভরযোগ্যতা, উন্নত প্রযুক্তি এবং দীর্ঘস্থায়ী পারফরম্যান্সের জন্য জনপ্রিয়। নিচে এক্সাইডের কিছু উল্লেখযোগ্য আইপিএস মডেলের বিস্তারিত বিবরণ প্রদান করা হলো:
১. এক্সাইড স্টার ৭০০ভিএ সাইন ওয়েভ ইনভার্টার
- ক্ষমতা: ৭০০ ভিএ
- আউটপুট: পিওর সাইন ওয়েভ
- মূল্য: প্রায় ৯,৫০০ টাকা
- বৈশিষ্ট্য:
- উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে স্থিতিশীল বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করে।
- ঢাকা শহরে বিনামূল্যে টেকনিশিয়ান দ্বারা ডেলিভারি সুবিধা।
- সারা বাংলাদেশে ফ্রি শিপিং সুবিধা। citeturn0search0
২. এক্সাইড পিওর সাইন ওয়েভ ১১২৫ভিএ আইপিএস/ইউপিএস ইনভার্টার
- ক্ষমতা: ১,০৫০ ভিএ
- রেটেড পাওয়ার: ৯০০ ওয়াট
- আউটপুট: পিওর সাইন ওয়েভ
- সুরক্ষা: ওভারলোডিং, ওভারচার্জিং এবং শর্ট সার্কিট প্রোটেকশন
- ডিসপ্লে: এলসিডি ও এলইডি ডুয়াল ডিসপ্লে
- ইনপুট ভোল্টেজ রেঞ্জ: ৯০-২২০ ভোল্ট এসি citeturn0search1
৩. এক্সাইড সোলার হাইব্রিড ১১০০ভিএ ইনভার্টার
- মডেল: সোলার হাইব্রিড ১১০০
- ক্ষমতা: ১,১০০ ভিএ / ৭৫০ ওয়াট
- ব্যাটারি ভোল্টেজ: ১২ ভোল্ট
- আউটপুট: পিওর সাইন ওয়েভ
- সোলার চার্জ কন্ট্রোলার: ৩০এ
- বৈশিষ্ট্য:
- সোলার এবং গ্রিড উভয় উৎস থেকে চার্জিং সুবিধা।
- একক ব্যাটারির সাথে কাজ করে। citeturn0search2
৪. এক্সাইড জিকিউপি ৯০০ভিএ হোম ইনভার্টার আইপিএস
- ক্ষমতা: ৯০০ ভিএ
- রেটেড পাওয়ার: ৭৬০ ওয়াট
- ব্যাটারি ভোল্টেজ: ১২ ভোল্ট
- সুরক্ষা: ওভারলোডিং, ওভারচার্জিং এবং শর্ট সার্কিট প্রোটেকশন
- আউটপুট: পিওর সাইন ওয়েভ
- ইনপুট ভোল্টেজ রেঞ্জ: ৯০-২৮০ ভোল্ট citeturn0search16
৫. এক্সাইড ১৪৫০ভিএ ১২ভোল্ট পিওর সাইন ওয়েভ আইপিএস/ইউপিএস ইনভার্টার
- মডেল: জিকিউপি ১৪৫০ভিএ
- ক্ষমতা: ১,৪৫০ ভিএ / ১,১৬০ ওয়াট
- ব্যাটারি ভোল্টেজ: ১২ ভোল্ট
- আউটপুট: ডিএসপি ভিত্তিক পিওর সাইন ওয়েভ
- ট্রান্সফরমার: ১০০% কপার
- ডিসপ্লে: এলইডি ও এলসিডি ডিসপ্লে
- মূল্য: প্রায় ১৮,৫০০ টাকা citeturn0search8
৬. এক্সাইড সোলার হাইব্রিড ইনভার্টার ৭০০
- মডেল: সোলার হাইব্রিড ৭০০
- ক্ষমতা: ৭০০ ভিএ / ৫২০ ওয়াট
- ব্যাটারি ভোল্টেজ: ১২ ভোল্ট
- আউটপুট: পিওর সাইন ওয়েভ
- বৈশিষ্ট্য:
- সোলার এবং গ্রিড উভয় উৎস থেকে চার্জিং সুবিধা।
- উন্নত পিওর সাইন ওয়েভ প্রযুক্তি। citeturn0search17
কেন এক্সাইড আইপিএস বেছে নেবেন?
২. দীর্ঘস্থায়ী পারফরম্যান্স:
এক্সাইড আইপিএস ডিজাইন করা হয়েছে ভারী লোড সহ্য করতে এবং দীর্ঘ সময় ব্যাকআপ দিতে। ব্যাটারির মান খুবই উন্নত হওয়ায় এটি অনেক বছর কার্যকর থাকে।
৩. সোলার সাপোর্টেড মডেল:
অনেক এক্সাইড মডেল সোলার চার্জিং সাপোর্ট করে, যার ফলে বিদ্যুৎ বিল কমে এবং লোডশেডিং এর সময়েও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা পাওয়া যায়।
৪. নিরাপত্তা ব্যবস্থা:
ওভারলোড, শর্ট সার্কিট, ওভারচার্জ, ডিপ ডিসচার্জ প্রটেকশন সহ উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে এক্সাইড আইপিএসে।
৫. সহজ রক্ষণাবেক্ষণ:
এক্সাইডের IPS ইউনিটগুলো ইউজার-ফ্রেন্ডলি ডিসপ্লে ও ইন্টারফেসে তৈরি হওয়ায় এটি ব্যবহার এবং রক্ষণাবেক্ষণ সহজ।
৬. সহজে পাওয়া যায়:
Daraz, BDStall, AptPower, MegaTech সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অনলাইন ও অফলাইন শপে এক্সাইড আইপিএস সহজলভ্য।
ওয়ালটন আইপিএস সম্পর্কে বিস্তারিত
ওয়ালটন বাংলাদেশের একটি সুপরিচিত ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড, যা ইনস্ট্যান্ট পাওয়ার সাপ্লাই (আইপিএস) সহ বিভিন্ন পাওয়ার সলিউশন সরবরাহ করে। তাদের আইপিএস পণ্যসমূহ নির্ভরযোগ্যতা, উন্নত প্রযুক্তি এবং সাশ্রয়ী মূল্যের জন্য জনপ্রিয়। নিচে ওয়ালটনের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য আইপিএস মডেলের বিস্তারিত বিবরণ প্রদান করা হলো:
১. ওয়ালটন WIP-400SH হোম আইপিএস
- ক্ষমতা: ৪০০ ভিএ / ৩২০ ওয়াট
- ইনপুট ভোল্টেজ রেঞ্জ: ১২০ – ২৭০ ভোল্ট এসি
- আউটপুট: পিওর সাইন ওয়েভ
- ট্রান্সফার টাইম: ৪ মিলিসেকেন্ড
- সুরক্ষা ব্যবস্থা: ওভারলোড, ওভারহিট, লো ব্যাটারি, শর্ট সার্কিট, উচ্চ ও নিম্ন এসি ইনপুট থেকে সুরক্ষা। citeturn0search0
- মূল্য: প্রায় ১০,০০০ টাকা
২. সোলার হাইব্রিড আইপিএস ১২০০ভিএ ১২বি
- ইনভার্টার মডেল টাইপ: ১২০০ভিএ
- রেটেড সর্বোচ্চ ক্ষমতা: ১২০০ ওয়াট
- ব্যাটারি মডেল: ARC-12120
- সোলার প্যানেল মডেল: ARC Mono RTM210M
- সোলার প্যানেল সংখ্যা: ২টি citeturn0search1
৩. সোলার হাইব্রিড আইপিএস ৫৫০০ভিএ
- ইনভার্টার মডেল টাইপ: ৫৫০০ভিএ
- রেটেড ক্ষমতা: ৫৫০০ ওয়াট
- ডিসি ইনপুট: ৪৮ভিডিসি, ১৩১এ
- পাওয়ার ফ্যাক্টর: ১
- এসি আউটপুট: ২৩০ভিএসি, ৫০হার্জ, ২৪এ, ১ ফেজ citeturn0search3
৪. সোলার হাইব্রিড আইপিএস ৩০০০ভিএ
- ইনভার্টার মডেল টাইপ: ৩২০০ভিএ
- রেটেড ক্ষমতা: ৩২০০ ওয়াট
- ডিসি ইনপুট: ২৪ভিডিসি, ১৪৮এ
- পাওয়ার ফ্যাক্টর: ১
- এসি আউটপুট: ২৩০ভিএসি, ৫০হার্জ, ১৩.৯এ, ১ ফেজ citeturn0search7
৫. সোলার হাইব্রিড আইপিএস ২০৫০ভিএ-১২এম
- সোলার ইনভার্টার মডেল: ISFG-01
- রেটেড ক্ষমতা: ২০৫০ভিএ / ১৬০০ওয়াট
- এসি ইনপুট ভোল্টেজ: ২৩০ভিএসি (২২০ভিএসি/২৪০ভিএসি)
- সিলেক্টেবল ভোল্টেজ রেঞ্জ: ১৭০-২৮০ভিএসি (পার্সোনাল কম্পিউটারের জন্য); ৯০-২৮০ভিএসি (হোম অ্যাপ্লায়েন্সের জন্য) citeturn0search8
কেন ওয়ালটন আইপিএস বেছে নেবেন?
- উন্নত প্রযুক্তি: ওয়ালটনের আইপিএস মডেলগুলো পিওর সাইন ওয়েভ ইনভার্টার, এমপিপিটি চার্জিং মোড, ওভারলোড এবং শর্ট-সার্কিট প্রোটেকশন, স্মার্ট ব্যাটারি অপটিমাইজেশন, অটো রিস্টার্ট এবং কোল্ড স্টার্ট ফাংশনসহ বিভিন্ন উন্নত প্রযুক্তি সমৃদ্ধ। citeturn0search13
- সোলার সাপোর্টেড মডেল: ওয়ালটনের সোলার হাইব্রিড আইপিএস মডেলগুলো সোলার প্যানেল এবং জাতীয় গ্রিড উভয় থেকে চার্জ গ্রহণ করতে সক্ষম, যা বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয় করে এবং লোডশেডিং এর সময় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করে। citeturn0search9
- বিভিন্ন ক্ষমতার মডেল: ১২০০ ওয়াট থেকে ৫৫০০ ওয়াট পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষমতার মডেল উপলব্ধ, যা ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী নির্বাচন করা যায়। citeturn0search4
- দীর্ঘমেয়াদী ওয়ারেন্টি: ওয়ালটন সোলার প্যানেলে ২০ বছরের, ব্যাটারিতে ১২ মাসের এবং সোলার ইনভার্টারে ১৮ মাসের ওয়ারেন্টি প্রদান করে, যা গ্রাহকদের জন্য নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করে। citeturn0search10
- সহজলভ্যতা:
ওয়ালটন আইপিএস মডেলগুলো দেশের বিভিন্ন বড় বাজার এবং ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে সহজেই পাওয়া যায়। আপনি Walton Plaza, ই-প্লাজা এবং ডিজিটাল শোরুমে সহজেই আইপিএস ক্রয় করতে পারবেন। তাছাড়া, জনপ্রিয় অনলাইন শপ যেমন Daraz, BDStall, এবং Walton-এর নিজস্ব ওয়েবসাইটে এসব আইপিএস পাওয়া যায়। (daraz.com.bd, waltonbd.com) - বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড:
ওয়ালটন বাংলাদেশে দীর্ঘ সময় ধরে তাদের শক্তিশালী ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠা করেছে। তাদের আইপিএস এবং অন্যান্য পাওয়ার সলিউশন পণ্যগুলি উচ্চ মানের এবং তাদের গ্রাহক সেবার জন্য পরিচিত। দেশব্যাপী সার্ভিস সেন্টারের উপস্থিতি তাদের গ্রাহক সেবা নিশ্চিতে সহায়ক। - সাশ্রয়ী মূল্য:
ওয়ালটন আইপিএসগুলি তাদের ক্ষমতার তুলনায় অত্যন্ত সাশ্রয়ী এবং বাজেট-ফ্রেন্ডলি। তাদের বিভিন্ন মডেল প্রতিটি গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী উপযুক্ত এবং সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যায়, যা এটি বাংলাদেশের বাজারে অন্যতম জনপ্রিয় করে তোলে। - বিভিন্ন মডেলের বিকল্প:
ওয়ালটন আইপিএস মডেলগুলি বিভিন্ন ক্ষমতার মধ্যে পাওয়া যায়, যেমন ৪০০ ভিএ, ১২০০ ভিএ, ৩২০০ ভিএ, ৫৫০০ ভিএ ইত্যাদি। এটি ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন ধরনের লোডের জন্য উপযুক্ত মডেল নির্বাচন করতে সহায়ক।
সিঙ্গার আইপিএস সম্পর্কে বিস্তারিত
সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড তাদের গ্রাহকদের জন্য আন্তর্জাতিক মানের ইনস্ট্যান্ট পাওয়ার সাপ্লাই (আইপিএস) সরবরাহ করে, যা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সময় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করে। তাদের আইপিএস মডেলগুলি উচ্চমানের এবং বিভিন্ন ক্ষমতার মধ্যে উপলব্ধ, যা বিভিন্ন প্রয়োজন ও বাজেটের সাথে মানানসই।
উল্লেখযোগ্য সিঙ্গার আইপিএস মডেলসমূহ:
- V Guard IPS (900 VA) Model: PRIME-1050
- ক্ষমতা: ৯০০ ভিএ
- মূল্য: ৳৩১,৯৯০
- বিস্তারিত তথ্যের জন্য: সিঙ্গারের ফেসবুক পেজ পরিদর্শন করতে পারেন। citeturn0search1
সিঙ্গার আইপিএস কেন বেছে নেবেন?
- আন্তর্জাতিক মান: সিঙ্গার আইপিএস মডেলগুলি আন্তর্জাতিক মানের প্রযুক্তি ও গুণমানের সাথে সজ্জিত, যা নির্ভরযোগ্য পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে।
- সহজ কিস্তি সুবিধা: গ্রাহকদের জন্য ১২ মাসের সহজ কিস্তি সুবিধা প্রদান করা হয়, যেখানে সর্বনিম্ন ডাউনপেমেন্ট মাত্র ৳৬,০০০। citeturn0search0
- বিস্তৃত বিক্রয় ও সেবা নেটওয়ার্ক: সিঙ্গারের বিস্তৃত বিক্রয় ও সেবা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সহজে পণ্য সংগ্রহ ও সেবা পাওয়া যায়।
সিঙ্গার আইপিএস সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য:
- ফেসবুক পেজ: Singer Bangladesh Limited
- ওয়েবসাইট: www.singerbd.com
সিঙ্গার আইপিএস মডেলগুলি উচ্চমানের পারফরম্যান্স, সহজ কিস্তি সুবিধা এবং নির্ভরযোগ্য সেবা প্রদান করে, যা গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানে সহায়ক। আপনার প্রয়োজন ও বাজেট অনুযায়ী সঠিক মডেল নির্বাচন করে বিদ্যুৎ বিভ্রাটমুক্ত জীবন উপভোগ করতে পারেন।
আইপিএস এর জন্য কোন ব্যাটারি ভালো
আইপিএস (Instant Power Supply) বা ইনভার্টার সিস্টেমের জন্য সঠিক ব্যাটারি নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ব্যাটারি আইপিএসের কার্যক্ষমতা, জীবনকাল এবং নির্ভরযোগ্যতার জন্য মূল উপাদান। বিভিন্ন ধরনের ব্যাটারি বাজারে উপলব্ধ, তবে আইপিএস সিস্টেমের জন্য সর্বোত্তম ব্যাটারি নির্বাচন করার জন্য কিছু বিষয় মাথায় রাখা উচিত।
আইপিএসের জন্য উপযুক্ত ব্যাটারির ধরন:
- সীসা অ্যাসিড ব্যাটারি (Lead Acid Battery):
- বর্ণনা: সীসা অ্যাসিড ব্যাটারি হলো আইপিএসের জন্য সবচেয়ে সাধারণ এবং পুরোনো ধরনের ব্যাটারি। এটি সাশ্রয়ী এবং বিস্তৃতভাবে ব্যবহৃত হয়।
- ফায়দা:
- সাশ্রয়ী মূল্য।
- সহজলভ্য এবং সেবা সেন্টারগুলিতে সহজে পাওয়া যায়।
- ব্যাটারি সাইজ বড় হওয়ায় দীর্ঘ সময় ধরে ব্যাকআপ সরবরাহ করতে পারে।
- খারাপ দিক:
- ব্যাটারি লাইফ কম, সাধারণত ৩-৫ বছর।
- অনেক বেশি সেবা ও রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন (পানি যোগ করা, পরিষ্কার রাখা ইত্যাদি)।
- ভারী এবং বড় আকারের হয়।
- উপযুক্ত ব্যবহার: ছোট থেকে মাঝারি আকারের আইপিএস সিস্টেমের জন্য।
- গেল ব্যাটারি (Gel Battery):
- বর্ণনা: গেল ব্যাটারি সীসা অ্যাসিড ব্যাটারির উন্নত সংস্করণ, যা এলেকট্রোলাইট হিসেবে জেল ব্যবহার করে। এটি সাধারণত সাশ্রয়ী হলেও কিছুটা ব্যয়বহুল হয়।
- ফায়দা:
- লিকুইড অ্যাসিডের তুলনায় অধিক সুরক্ষিত এবং শক্তিশালী।
- দীর্ঘ স্থায়ী (৪-৮ বছর)।
- কম রক্ষণাবেক্ষণ।
- সীসা অ্যাসিডের তুলনায় কম তাপমাত্রায় কাজ করতে পারে।
- খারাপ দিক:
- কিছুটা ব্যয়বহুল।
- উপযুক্ত ব্যবহার: মাঝারি থেকে বড় আইপিএস সিস্টেমের জন্য।
- অ্যালক্যালাইন ব্যাটারি:
- বর্ণনা: অ্যালক্যালাইন ব্যাটারি গুলো সাধারণত সীসা অ্যাসিড ব্যাটারির তুলনায় উন্নত পারফরম্যান্স প্রদান করে।
- ফায়দা:
- দীর্ঘ জীবনকাল (৭-১০ বছর পর্যন্ত)।
- কম রক্ষণাবেক্ষণ।
- অধিক নিরাপদ এবং কম হালকা।
- খারাপ দিক:
- দাম তুলনামূলকভাবে বেশি।
- উপযুক্ত ব্যবহার: উচ্চ ক্ষমতার আইপিএস এবং সোলার আইপিএস সিস্টেমের জন্য।
- লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি (Lithium-Ion Battery):
- বর্ণনা: লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি আধুনিক আইপিএস সিস্টেমের জন্য নতুন, শক্তিশালী এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি প্রযুক্তি। এটি তুলনামূলকভাবে নতুন হলেও উচ্চ পারফরম্যান্সের জন্য জনপ্রিয় হচ্ছে।
- ফায়দা:
- ব্যাটারি জীবন ৮-১০ বছর পর্যন্ত।
- দ্রুত চার্জ হয় এবং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন।
- কম স্থান দখল করে এবং খুব হালকা হয়।
- কম রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন।
- খারাপ দিক:
- দাম অনেক বেশি, তবে দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহার করলে খরচ কার্যকর।
- উপযুক্ত ব্যবহার: উচ্চ ক্ষমতার আইপিএস এবং সোলার সিস্টেমের জন্য, যেখানে দীর্ঘ সময় ধরে নিরবচ্ছিন্ন পাওয়ার সাপোর্ট প্রয়োজন।
সঠিক ব্যাটারি নির্বাচন কিভাবে করবেন?
- ব্যবহারের ধরণ:
আপনার আইপিএস সিস্টেমটি কী ধরনের ডিভাইস বা অ্যাপ্লায়েন্স চালানোর জন্য ব্যবহৃত হবে, সে অনুযায়ী ব্যাটারি নির্বাচন করুন। যদি আপনি একাধিক বড় ডিভাইস চালানোর পরিকল্পনা করেন, তবে লিথিয়াম আয়ন বা গেল ব্যাটারি ভালো বিকল্প হবে। - ব্যাটারি ক্ষমতা:
আইপিএসের জন্য ব্যাটারির ক্ষমতা (Ah বা অ্যাম্পিয়ার আওয়ার) নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উচ্চ ক্ষমতার ব্যাটারি বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সক্ষম। - ব্যাটারি লাইফ:
আইপিএস সিস্টেমের দীর্ঘস্থায়ী পারফরম্যান্সের জন্য ভালো ব্যাটারি নির্বাচন করুন। লিথিয়াম আয়ন এবং গেল ব্যাটারি দীর্ঘ জীবনকাল প্রদান করে। - ওয়ারেন্টি এবং সেবা:
ব্যাটারি কেনার সময়, তার ওয়ারেন্টি এবং সেবা পয়েন্টের availability নিশ্চিত করুন। সীসা অ্যাসিড ব্যাটারি সহজেই পাওয়া গেলেও, লিথিয়াম বা গেল ব্যাটারি কিছুটা ব্যয়বহুল এবং সীমিত সার্ভিস পয়েন্ট থাকতে পারে।
ভিডিওতে দেখুন আইপিএস এর জন্য কোন ব্যাটারি ভালো
মিনি আইপিএস এর দাম সম্পর্কে বিস্তারিত
মিনি ইনভার্টার বা মিনি আইপিএস (Instant Power Supply) হলো ছোট আকারের পাওয়ার ব্যাকআপ ডিভাইস, যা সাধারণত কম্পিউটার, মোবাইল চার্জার, ল্যাপটপ, টিভি, ফ্যান ইত্যাদি ছোট ইলেকট্রনিক ডিভাইসের জন্য ব্যবহৃত হয়। এগুলি সাধারণত লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি ব্যবহার করে এবং লাইটওয়েট হওয়ায় সহজে স্থানান্তর করা যায়।
মিনি আইপিএস এর দাম:
মিনি আইপিএস এর দাম বিভিন্ন ফিচার, ক্ষমতা, ব্র্যান্ড এবং মডেলের উপর নির্ভর করে। সাধারণত, মিনি আইপিএস এর দাম ১,৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ১০,০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে। নিচে কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো:
- মিনি আইপিএস ৫০০ ওয়াট মডেল:
- ক্ষমতা: ৫০০ ওয়াট
- ব্যাটারি: লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি
- মূল্য: প্রায় ২,৫০০ – ৩,৫০০ টাকা
- মিনি আইপিএস ১০০০ ওয়াট মডেল:
- ক্ষমতা: ১০০০ ওয়াট
- ব্যাটারি: লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি
- মূল্য: প্রায় ৫,০০০ – ৭,০০০ টাকা
- মিনি আইপিএস ২০০০ ওয়াট মডেল:
- ক্ষমতা: ২০০০ ওয়াট
- ব্যাটারি: লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি
- মূল্য: প্রায় ৮,০০০ – ১০,০০০ টাকা
মিনি আইপিএস কেনার সময় বিবেচ্য বিষয়সমূহ:
- ক্ষমতা: আপনার ব্যবহৃত ডিভাইসগুলোর মোট পাওয়ার কনজাম্পশন অনুযায়ী আইপিএস এর ক্ষমতা নির্বাচন করুন।
- ব্যাটারির ধরন: লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি সাধারণত দীর্ঘস্থায়ী এবং দ্রুত চার্জ হয়।
- পোর্ট সংখ্যা: আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী পর্যাপ্ত ইউএসবি বা অন্যান্য পোর্ট রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করুন।
- সুরক্ষা ফিচার: ওভারলোড প্রোটেকশন, শর্ট সার্কিট প্রোটেকশন ইত্যাদি সুরক্ষা ফিচার রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করুন।
- ওয়ারেন্টি: পণ্যটির ওয়ারেন্টি সময়কাল এবং শর্তাবলী সম্পর্কে জানুন।
সতর্কতা:
মিনি আইপিএস ব্যবহারের সময় ব্যাটারির অতিরিক্ত ডিসচার্জ বা ওভারচার্জ এড়াতে সাবধানতা অবলম্বন করুন। দীর্ঘ সময় ব্যবহারের পর ব্যাটারির পারফরম্যান্স কমে যেতে পারে, তাই প্রয়োজনীয় সময় পর পর ব্যাটারি পরিবর্তন করুন।
ভিডিওতে দেখুন Best IPS কি ভাবে কিনবেন । IPS/Power inverter buying guide | ভাই না বুঝলে লস
আইপিএস ব্যাটারি ভালো রাখার উপায়
আইপিএস ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী ও সঠিকভাবে কাজ করার জন্য কিছু নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ এবং সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক যত্ন না নিলে ব্যাটারি দ্রুত ক্ষয়প্রাপ্ত হতে পারে এবং আইপিএসের কার্যক্ষমতা কমে যেতে পারে। নিচে কিছু কার্যকরী উপায় দেওয়া হলো, যা আইপিএস ব্যাটারির সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে।
১. ব্যাটারির চার্জিং রুটিন ঠিক রাখা
- পূর্ণ চার্জ করা: আইপিএস ব্যাটারি যখন প্রথম ব্যবহার করা হয়, তখন তাকে সম্পূর্ণ চার্জ দিয়ে শুরু করুন। এর ফলে ব্যাটারি দীর্ঘ সময় ধরে ভালো কাজ করবে।
- অতিরিক্ত চার্জ এড়ানো: ব্যাটারি সম্পূর্ণ চার্জ হওয়ার পর অতিরিক্ত চার্জ দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। অতিরিক্ত চার্জ ব্যাটারির জীবনকাল কমিয়ে দিতে পারে।
- নিয়মিত চার্জ: ব্যাটারিটি দীর্ঘ সময় ব্যবহৃত না হলে, প্রতি ১-২ মাসে একবার তাকে চার্জ দিতে ভুলবেন না। এতে ব্যাটারির আয়ু বাড়ানো সম্ভব।
২. সঠিক তাপমাত্রায় রাখা
- তাপমাত্রার প্রতি যত্ন: ব্যাটারি কখনো খুব বেশি গরম বা ঠান্ডায় রাখা উচিত নয়। আইপিএস ব্যাটারি গরম পরিবেশে বা খুব ঠান্ডা অবস্থায় দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। এটি সাধারণত ২০-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ভালো কাজ করে।
- ভেন্টিলেশন: ব্যাটারি যেখানে রাখা হচ্ছে, সেখানে পর্যাপ্ত বায়ু চলাচল থাকা উচিত। বিশেষত, সীসা অ্যাসিড ব্যাটারি হলে তাপমাত্রা খুব বেশি হলে ক্ষয়প্রাপ্ত হতে পারে।
৩. পানি বা তরল পদার্থ থেকে দূরে রাখা
- নিরাপত্তা: ব্যাটারির সাথে কোনো ধরনের তরল পদার্থ (যেমন পানি, পেট্রোল ইত্যাদি) যেন না লাগে। এটি ব্যাটারির ক্ষতি করতে পারে এবং শর্ট সার্কিট সৃষ্টি হতে পারে।
- পরিষ্কার রাখা: ব্যাটারি পরিষ্কার রাখতে হবে, তবে সতর্কতার সাথে। ভেজা কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করুন এবং কখনোই সরাসরি পানি ব্যবহার করবেন না।
৪. ব্যাটারি পরিস্কার রাখা
- ধুলো-ময়লা পরিষ্কার: আইপিএস ব্যাটারি থেকে ধুলো, ময়লা বা অন্য কোনো আবর্জনা পরিষ্কার রাখুন। এগুলি ব্যাটারির কার্যকারিতা প্রভাবিত করতে পারে।
- ক্লিপ ও টার্মিনাল: ব্যাটারির টার্মিনাল বা সংযোগস্থল নিয়মিত পরিষ্কার করা উচিত। ধূলিকণা বা ময়লা এই সংযোগস্থলে জমে গেলে ব্যাটারি সঠিকভাবে চার্জ হতে পারে না।
৫. ব্যাটারির সঠিক ইনস্টলেশন
- সঠিকভাবে সংযোগ: আইপিএস ব্যাটারি সঠিকভাবে সংযোগ করতে হবে। সীসা অ্যাসিড বা লিথিয়াম ব্যাটারি ব্যবহার করার সময় সংযোগস্থলের ধাতু অংশের উপর যে কোনও ধরনের জারা হওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
- ধারাবাহিক পরীক্ষা: ইনস্টলেশনের পর, ব্যাটারি নিয়মিত পরীক্ষা করুন এবং নিশ্চিত করুন যে ব্যাটারি সঠিকভাবে সংযুক্ত আছে।
৬. অতিরিক্ত ডিসচার্জ (Over-Discharge) থেকে বিরত থাকা
- অতিরিক্ত ডিসচার্জ এড়ানো: ব্যাটারি কখনো ১০% এর নিচে নামাতে দেবেন না, কারণ অতিরিক্ত ডিসচার্জ ব্যাটারি ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং তার আয়ু কমিয়ে দেয়। অতিরিক্ত ডিসচার্জের কারণে ব্যাটারি সাইকেল লাইফ কমে যেতে পারে।
৭. ব্যাটারি ব্যবহারের সময় সঠিক লোড নির্বাচন
- লোড বাছাই: আইপিএস ব্যাটারি যদি খুব বেশি লোড বা হাই পাওয়ার ডিভাইস চালাতে ব্যবহার করা হয়, তাহলে তার আয়ু কমে যেতে পারে। তাই, ব্যাটারির ক্ষমতার তুলনায় বেশি লোড দেয়া উচিত নয়।
- লোড শিফট করা: ব্যাটারির উপর চাপ কমানোর জন্য, আইপিএস সিস্টেমে একাধিক ডিভাইস ব্যবহার না করা উত্তম।
৮. ব্যাটারি রক্ষণাবেক্ষণ ও সেবা
- ব্যাটারি চেকআপ: নিয়মিত আইপিএস ব্যাটারির চেকআপ করান, বিশেষত ব্যাটারি বয়স বাড়ানোর সঙ্গে। বিশেষ করে সীসা অ্যাসিড ব্যাটারি ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রতি ৬ মাস পরপর ব্যাটারি সার্ভিসিং করানো উচিত।
- পানি যোগ করা (যদি প্রয়োজন হয়): কিছু সীসা অ্যাসিড ব্যাটারি গুলোতে জল যোগ করা প্রয়োজন হতে পারে। তাই, যদি পানি কমে যায়, তবে সঠিক পরিমাণে পানি যোগ করুন।
৯. ওভারলোড থেকে বিরত থাকা
- ওভারলোড এড়ানো: আইপিএস সিস্টেমের ক্ষমতার বেশি ব্যবহার বা অতিরিক্ত লোড দেয়া থেকে বিরত থাকুন। অতিরিক্ত লোডের কারণে ব্যাটারি দ্রুত তাপিত হতে পারে এবং এতে তার আয়ু কমে যেতে পারে।
আইপিএস এর বিদ্যুৎ খরচ কত?
আইপিএস (Inverter or Uninterruptible Power Supply) এর বিদ্যুৎ খরচ নির্ভর করে তার ক্ষমতা (VA বা Watt), ব্যবহৃত সময়, এবং আইপিএসের প্রকারের উপর। সাধারণত, আইপিএসের বিদ্যুৎ খরচ কত হবে তা নির্ভর করে আপনি কোন ধরনের ব্যাটারি ব্যবহার করছেন এবং কতক্ষণ আইপিএস চালানো হবে। নিচে কিছু বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো যা আপনাকে আইপিএসের বিদ্যুৎ খরচ সম্পর্কে ধারণা দিতে সাহায্য করবে।
আইপিএসের বিদ্যুৎ খরচ হিসাব করার পদ্ধতি:
আইপিএসের বিদ্যুৎ খরচ বের করার জন্য প্রথমে তার ওয়াট (W) বা ভোল্ট অ্যাম্পিয়ার (VA) রেটিং জানা দরকার। সাধারণত আইপিএসের পাওয়ার রেটিং দেওয়া থাকে ওয়াট বা ভোল্ট অ্যাম্পিয়ার হিসেবে।
১. আইপিএসের পাওয়ার রেটিং (W বা VA)
- ওয়াট (W): আইপিএসের শক্তি খরচ বা কনজাম্পশন ওয়াটে (W) দেওয়া থাকে।
- ভোল্ট অ্যাম্পিয়ার (VA): 1 VA = 1 Watt হতে পারে যদি আইপিএস 100% ক্ষমতা ব্যবহার করে থাকে।
২. খরচ হিসাব করার সূত্র:
আইপিএসের বিদ্যুৎ খরচ বের করার জন্য নিচের সূত্র ব্যবহার করা যেতে পারে:
বিদ্যুৎ খরচ (kWh)=ওয়াট (W)×ব্যবহারের সময় (ঘণ্টা)1000\text{বিদ্যুৎ খরচ (kWh)} = \frac{\text{ওয়াট (W)} \times \text{ব্যবহারের সময় (ঘণ্টা)}}{1000}
উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি একটি 1000W আইপিএস ব্যবহার করেন এবং সেটি ৫ ঘণ্টা ব্যবহৃত হয়, তাহলে খরচ হবে:
বিদ্যুৎ খরচ=1000×51000=5 kWh\text{বিদ্যুৎ খরচ} = \frac{1000 \times 5}{1000} = 5 \, \text{kWh}
৩. আইপিএসের পাওয়ার কনজাম্পশন:
আইপিএসের বিদ্যুৎ খরচ তার প্রকৃত ক্ষমতার উপর নির্ভর করে। নিচে কিছু সাধারণ আইপিএসের গড় পাওয়ার কনজাম্পশন (Watt) দেওয়া হলো:
- 500 VA আইপিএস (৩০০W): সাধারণত ছোট কম্পিউটার বা টিভি চালানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
- বিদ্যুৎ খরচ: ৩০০W × ৫ ঘণ্টা = ১.৫ কিলোওয়াট ঘণ্টা (kWh)
- 1000 VA আইপিএস (৬০০W): ছোট অফিস বা বড় টিভি চালানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
- বিদ্যুৎ খরচ: ৬০০W × ৫ ঘণ্টা = ৩ কিলোওয়াট ঘণ্টা (kWh)
- 1500 VA আইপিএস (৯০০W): অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন অফিস যন্ত্রপাতি বা বড় টিভি চালানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
- বিদ্যুৎ খরচ: ৯০০W × ৫ ঘণ্টা = ৪.৫ কিলোওয়াট ঘণ্টা (kWh)
৪. বিদ্যুৎ খরচের হিসাব:
এখন, আপনি যদি জানেন যে আপনার বিদ্যুৎ বিল প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা (kWh) কত, তবে আপনি আইপিএসের ব্যবহারের জন্য মোট খরচ বের করতে পারেন।
ধরা যাক, আপনার এলাকায় বিদ্যুৎ খরচ ৫ টাকা/kWh।
তাহলে, ৩ কিলোওয়াট ঘণ্টা (kWh) ব্যবহার করলে খরচ হবে: ৩ kWh×৫ টাকা=১৫ টাকা৩ \, \text{kWh} \times ৫ \, \text{টাকা} = ১৫ \, \text{টাকা}
৫. আইপিএসের নির্দিষ্ট খরচ নির্ধারণের জন্য:
আইপিএসের খরচ আরও নির্ভর করবে:
- ব্যাটারি ক্ষমতা ও প্রযুক্তি: সীসা অ্যাসিড ব্যাটারি বা লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি এর খরচ আলাদা হতে পারে।
- আইপিএসের এফিশিয়েন্সি: আইপিএসের শক্তি দক্ষতা, কিছু আইপিএস খুব কম শক্তিতে বেশি কাজ করে (এফিশিয়েন্ট), আর কিছু আইপিএস কম এফিশিয়েন্ট।
আইপিএস কেনার সময় করণীয়
- প্রয়োজন নির্ধারণ: আপনার বাড়ি বা অফিসের জন্য প্রয়োজনীয় লোডের পরিমাণ নির্ধারণ করুন এবং সেই অনুযায়ী আইপিএসের ক্ষমতা নির্বাচন করুন।
- ব্র্যান্ড নির্ভরতা: বিশ্বস্ত এবং জনপ্রিয় ব্র্যান্ড থেকে আইপিএস কিনুন যাতে মান এবং বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত হয়।
- ওয়ারেন্টি: আইপিএসের ওয়ারেন্টি সময়কাল এবং শর্তাবলী যাচাই করুন।
- ইনস্টলেশন: পেশাদার ইলেকট্রিশিয়ানের মাধ্যমে সঠিকভাবে ইনস্টলেশন নিশ্চিত করুন।
- রক্ষণাবেক্ষণ: নিয়মিতভাবে ব্যাটারি এবং আইপিএসের রক্ষণাবেক্ষণ করুন যাতে দীর্ঘস্থায়ী পারফরম্যান্স নিশ্চিত হয়।
উপসংহার
২০২৫ সালে বাংলাদেশের বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও মডেলের আইপিএস পাওয়া যায়, যা তাদের ক্ষমতা, প্রযুক্তি এবং মূল্যের ভিত্তিতে ভিন্নতা প্রদর্শন করে। আপনার প্রয়োজন ও বাজেট অনুযায়ী সঠিক আইপিএস নির্বাচন করতে উপরোক্ত তথ্য সহায়ক হবে। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সময় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে একটি মানসম্মত আইপিএস একটি গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ।