বিয়ে করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। শনিবার দুপুরে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার বন্ধু সারজিস আলম।
হাসনাতের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে এই সমন্বয়ক লেখেন, আল্লাহ পৃথিবীতে আমাদের জন্য যা দিয়েছেন তার সবই নেয়ামত৷ তার মধ্যে সবচেয়ে উত্তম নেয়ামত হচ্ছে একজন নেককার স্ত্রী৷ আজ থেকে তুমি তেমনই একজন স্ত্রী’র দায়িত্ব গ্রহণ করছো৷ দাম্পত্য জীবন সুখের হোক৷ আল্লাহ তোমাদের জীবনকে বরকতময় করে তুলুন৷
তবে সেই স্ট্যাটাসে পাত্রী সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাননি সারজিস। তাদের বিয়ে কোথাও কবে অনুষ্ঠিত হয়েছে সে বিষয়েও কিছু বলেননি।
তবে ধারণা করা যাচ্ছে, পারিবারিক আয়োজনেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন এই সমন্বয়ক।
ঢাবি শিক্ষার্থীকে বিয়ে করেছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
বিয়ে করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) কুমিল্লার গ্রামের বাড়িতে পারিবারিকভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়। এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে সরব হতে দেখা যায় বন্ধু ও সতীর্থদের।
এ নিয়ে যোগাযোগ করা হলে ‘গুজব’ বলে উড়িয়ে দিয়ে হেসে দেন হাসনাত। পরে বিয়ের কথা নিশ্চিত করেন একাধিক বন্ধু ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকা একাধিক সমন্বয়ক ও সহ–সমন্বয়ক।
হাসনাত বিয়ে করেছেন, এটি নিশ্চিত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন অ্যাকটিভিস্ট আব্দুল্লাহ হিল বাকী, সমন্বয়ক তারিকুল ইসলাম, আব্দুল কাদের, আবু বাকের মজুমদারসহ অনেকেই।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক তারিকুল ইসলাম আজ শনিবার সন্ধ্যায় হাসনাতের বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
হাসনাতের এই সহপাঠী বলেন, ‘গতকাল রাতে ঘরোয়া আয়োজনে হাসনাত আবদুল্লাহর বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। হাসনাতের স্ত্রীও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্রী।’
সারজিস আলম হাসনাত আব্দুল্লাহর সঙ্গে ছবি শেয়ার করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ফেসবুকে। তিনি লিখেছেন, আল্লাহ পৃথিবীতে আমাদের জন্য যা দিয়েছেন তার সবই নেয়ামত। তার মধ্যে সবচেয়ে উত্তম নেয়ামত হচ্ছে একজন নেককার স্ত্রী। আজ থেকে তুমি তেমনই একজন স্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করছো।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাসনাত আব্দুল্লাহর স্ত্রীও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তবে কোন বর্ষের, হল ও বিভাগ সম্পর্কে জানাতে রাজি হননি বন্ধু–সহপাঠী ও সতীর্থরা।
হাসনাত আব্দুল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৬–১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। বিজয় একাত্তর হলের আবাসিক ছাত্র তিনি। হাসনাত স্কুল অব এক্সিলেন্স নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত।
আপনারা না পারলে আমাদেরকে দায়িত্ব দেন: সারজিস আলম
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, আপনারা না পারলে আমাদেরকে দায়িত্ব দেন।
শনিবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন। সারজিস আলম লিখেছেন, যারা জীবন দিয়ে, রক্ত দিয়ে এই অভ্যুত্থান ঘটাতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখল তাদের চিকিৎসা আর আর্থিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে সরকারের এত দীর্ঘসূত্রিতা কেন? আপনারা না পারলে আমাদেরকে দায়িত্ব দেন।
এখন পর্যন্ত স্ট্যাটাসটিতে আড়াই হাজারেরও বেশি পাঠক মন্তব্য করেছেন। জয়নাল আবেদীন নামে একজন লিখেছেন, চমৎকার সত্যি কথা বলেছেন ভাই।
আরিফ হাসান আফজাল লিখেছেন, যাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতায় গেলেন, তাদের সহযোগিতা করতে এত সময় কেন? ক্ষমতায় গেলে মানুষ সহযোগিতাকারীদের ভুলে যায়।
সায়েরা সুলতানা লিখেছেন, ঠিক বলেছেন। এটার একটা ব্যবস্থা হওয়া ফরজ। আগে আন্দোলনে আহতদের সঠিক চিকিৎসা, তারপর অন্য সবকিছু। সুমাইয়া রাহা নামে আরেকজন লিখেছেন, সঠিক কথা বলেছেন।