ক্ষমতাসীন বিজেপির এমএলএ এবং এক ধর্মীয় গুরুর বিচারের দাবিতে র্যালি নিয়ে মুম্বাইয়ে গেছেন ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়ের হাজার হাজার মানুষ। তাদের নেতৃত্ব দিয়েছেনন সাবেক এমপি ইমতিয়াজ জলিল এবং বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক দল।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় কয়েকশ গাড়িতে করে ছত্রপতি সম্ভাজিনগর থেকে রওনা দেন তারা। এসব গাড়িতে থাকা প্রায় ১২ হাজার মুসলিম ওইদিন সন্ধ্যায় মুম্বাই টোল প্লাজায় পৌঁছান বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
তারা বিজেপি এমএলএ নিতেশ রানে এবং ধর্মগুরু রামগিরি মহারাজের ‘ঘৃণামূলক বক্তব্যের’ বিচার চাইতে র্যালি করেছেন।
তবে মুম্বাইয়ের মুলুন্দ টোল প্লাজায় তাদের আটকে দেওয়া হয়। ওই সময় বিভাগীয় কালেক্টর এবং অন্যান্য প্রতিনিধিদের কাছে নিজেদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন এই মুসলিমরা।
‘ত্রিরঙ্গ সম্বোধন সমাবেশ’ নামের এই র্যালি শুরু হয় সম্ভাজিনগরে। এরপর সেখান থেকে সমৃদ্ধি সুপার এক্সপ্রেসওয়েতে করে মুম্বাইয়ের দিকে রওনা দেন তারা। পুলিশ জানিয়েছে, মুসলিমদের র্যালির কারণে প্রথমবারের মতো সমৃদ্ধি সুপার এক্সপ্রেসওয়েতে জ্যামের সৃষ্টি হয়।
সাবেক এমপি ইমতিয়াজ জলিল জানিয়েছেন, এমএলএ নিতিশ রানে এবং রামগিরি মহারাজের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে একাধিক এফআইআর দায়ের হলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এ কারণে তারা এই র্যালি করেছেন। তিনি এই দুইজনকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।
মুসলিমদের সঙ্গে বিশাল এই সমাবেশে ছিলেন দলিত ও মারাঠা জনগোষ্ঠীর মানুষও।
তবে সমাবেশ মুম্বাইয়ের মূল শহরে ঢুকে পড়লে বিপদ হতে পারে এই আশঙ্কায় প্রবেশমুখে ব্যারিকেড দেয় পুলিশ। এছাড়া সব ধরনের গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয়।
এরপর র্যালির নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তিরা সরকারি কর্মকর্তাদের তাদের দাবি-দাওয়া প্রদান করেন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
২০ বছরের মধ্যে লেবাননে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা, নিহত ৪৯২
লেবাননে ইসরাইলের ভয়াবহ হামলায় অন্তত ৪৯২ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ২৪ শিশু, ৩৯ নারী এবং দুই মেডিক সদস্য রয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৬৪৫ জনেরও বেশি মানুষ। দেশটির তিনশোর বেশি স্থাপনায় সোমবার একযোগে হামলা করেছে ইসরাইল।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, প্রায় ২০ বছরের মধ্যে লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় এটিই সবচেয়ে প্রাণঘাতী দিন। এর আগে ২০০৬ সালে লেবানন-ইসরায়েল যুদ্ধে প্রায় ২৫০ হিজবুল্লাহ সদস্যসহ ১১০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হন। অপরদিকে হিজবুল্লাহর রকেট হামলায় ইসরায়েলের ১২১ সৈন্য ও ৪৩ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।
গত বছরের ৮ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েল আগ্রাসন শুরু করলে লেবাননের সশস্ত্রী গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে। লেবাননের সঙ্গে ইসরায়েলের উত্তর সীমান্তে ৮ অক্টোবরের পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ও হিজবুল্লাহর মধ্যে গুলি বিনিময় হয়েছে।
১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় হিজবুল্লাহ। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ইসরাইলের সঙ্গে দ্বন্দ্ব-সংঘাত লেগে আছে গোষ্ঠীটির। তবে এর উল্লম্ফণ ঘটেছে গত বছর ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলার পর থেকে। ওই হামলার পর হামাসের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরাইরের উত্তরাঞ্চলে রকেট-ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া শুরু করে হিজবুল্লাহ। জবাবে ইসরাইলও সমান তালে হামলা অব্যাহত রাখেছে।