পরিত্যক্ত অবস্থায় নিজ বাড়ির পাশের কবরস্থান থেকে উদ্ধার হলো নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর আগ্নেয়াস্ত্র। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে কবিরহাট উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের তার নিজ বাড়ির পাশের কবরস্থান থেকে এ অস্ত্র উদ্ধার করে যৌথবাহিনী।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গোপন খবরের ভিত্তিতে কবরস্থান থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি সাদা প্লাস্টিকের বস্তা থেকে অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি ১২ রাউন্ড কার্তুজও পাওয়া যায়।
প্রসঙ্গত, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত যত ধরনের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেয়া হয়, সরকার তা স্থগিত করেছে। এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিজ নিজ জেলার থানায় জমা দিতে বলা হয় লাইসেন্স প্রাপ্তদের। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক আগ্নেয়াস্ত্রগুলো জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ৩ সেপ্টেম্বর।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন জারির পর নোয়াখালীতে স্থগিতযোগ্য ৭৬টি আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে ৭৫টি জমা দিয়েছেন লাইসেন্সধারীরা। বাকি একটি আগ্নেয়াস্ত্র পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে যৌথবাহিনী।
জানা গেছে, নোয়াখালীতে মোট ১৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স নেয়া ছিল। এদের অধিকাংশই আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সরকারি কর্মকর্তা (চলমান), সাবেক এমপি-মন্ত্রী এবং রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী রয়েছে।
আশুলিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে আটক ৬
শিল্পাঞ্চল সাভারের আশুলিয়ায় পোশাক শিল্পের ধারাবাহিক উশৃংখলতা নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে যৌথ বাহিনী।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে আশুলিয়ার বিভিন্ন পয়েন্টে যৌথ বাহিনী অভিযান পরিচালনা করে ধ্বংসত্ব কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে জামগড়া এলাকা থেকে ৬ জনকে আটক করে যৌথ বাহিনী।
অপরদিকে পলাশবাড়ী এলাকা থেকে না নাশকতা কাজের জন্য অর্থের যোগানদাতা হিসেবে দুজনকে আটক করে যৌথ বাহিনী। রাতে সবাইকেই আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।
নীলফামারীতে শেখ হাসিনাসহ ১২৫ জনের নামে মামলা
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং নীলফামারী-২ সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নুর, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজুল হকসহ ১২৫ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা হয়েছে।
জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুস সালাম বাবলা বাদী হয়ে নীলফামারী আমলী আদালত-১ এ বৃহস্পতিবার মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত আরো অন্তত ৩’শ জনকে আসামী করা হয়েছে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুস সালাম বাবলা জানান, গত চার আগস্ট শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাদ্দাম হোসেনের অনলাইন নির্দেশনায় নীলফামারী জেলা বিএনপি ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালায় স্থানীয় নেতারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীপক্ষের আইনজীবী আসাদুজ্জামান খান রিনো বলেন,‘আব্দুস সালাম বাবলা বাদী হয়ে নীলফামারী আমলী আদালত-০১ এ মামলা করেন। মামলার পর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিন কবির নীলফামারী সদর থানাকে মামলাটি এফ.আই.আর করার নির্দেশ প্রদান করেন।