ট্রেনে বসা নিয়ে দুই নারীর মারামারি, থামাতে গিয়ে আহত পুলিশ

ট্রেনের আসন সংকট নতুন কোনো বিষয় নয়। আর এই আসন নিয়ে ঝগড়াও নিত্যদিনের বিষয়।তবে এবার ট্রেনের আসনে বসা নিয়ে দুই নারীর চুলাচুলি সব ঘটনাকে ছাপিয়ে গেছে। চুলাচুলি থামাতে গিয়ে আহত হয়েছেন এক পুলিশ সদস্য। এরইমধ্যে দুই নারীর চুলাচুরির ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। গত বুধবার (৫ অক্টোবর) রাতে ভারতের মুম্বাইয়ের তুর্বে এবং সিউডস রেলস্টেশনের মাঝে ঠাণে-পানভেল লোকালে ঘটনাটি ঘটেছে।

ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমস তাদের প্রতিবেদনে জানায়, তালোজার বাসিন্দা এক নারী তার ২৭ বছরের মেয়ে ও নাতনিকে নিয়ে ঠাণে থেকে ট্রেনে উঠেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কোপারখাইরানে স্টেশন থেকে ঐ কামরায় ওঠেন এক তরুণী।

তুর্বে স্টেশনে আসন খালি হতেই সেখানে বসেন ঐ তরুণী। তিনি বসতেই তেড়ে ওঠেন ৫০০ বছরের নারী ও তার মেয়ে। তাদের অভিযোগ, ছোট মেয়েটিকে বসতে না দিয়ে আসন দখল করেছেন ঐ তরুণী। যদিও তুর্বে স্টেশন থেকে ওঠা ঐ তরুণী পাল্টা দাবি করেন, খালি আসন দেখে তিনি বসেছেন।

পরবর্তীতে এ নিয়ে এক কথা দু’কথা থেকে পরিস্থিতি গড়ায় হাতাহাতিতে। এরপর সেটি গড়ায় চুলাচুলিতে। অন্য যাত্রীরা দু’জনকে থামানোর চেষ্টা করেও পারেননি। শেষমেশ জিআরপিতে খবর দিলে নেরুল স্টেশন থেকে এক নারী পুলিশ আসেন।তিনি লড়াই থামানোর চেষ্টা করলে সেটি সাময়িকভাবে থামে। তবে আবার দুই নারী হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন।

সেই সময় ৫০ বছরের নারী পড়ে হিয়ে মাথায় চোট পান। এরপরই রাগের বশে অন্য এক যাত্রীর হাত থেকে তিনি একটি শো পিস কেড়ে নিয়ে পুলিশের দিকে ছুড়ে মারেন। তাতে আহত হন পুলিশ সদস্য। এ ঘটনার পর নারী ও তার মেয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। পরে নারীর মেয়েকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মেয়েকে খেতে দিয়ে যান পাশের বাড়ি, ফিরে জঙ্গলে পেলেন মরদেহ

মাগুরার মহম্মদপুরের বেথুলিয়া গ্রামে তিন বছর বয়সী মেয়েকে খেতে দিয়ে পাশের বাড়িতে বড় মেয়েকে ডাকতে যান মা। ফিরে এসে আর ঘরে পাননি ছোট মেয়েটিকে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ওই মেয়ে শিশুর মরদেহ উদ্ধার হয় বাড়ির পাশের জঙ্গল থেকে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই শিশুর দুই চাচাকে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার সন্ধ্যায় মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের বেথুলিয়া দক্ষিণপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কলিমুল্লাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। হিরো মোল্লার অভিযোগ সন্ধ্যায় তার মেয়ে হিরাকে ভাত খাওয়াছিলেন স্ত্রী বন্যা খাতুন।

এ সময় পানি আনার প্রয়োজনে মেয়েকে ঘরে রেখে বাড়ির নলকূপে যান বন্যা। পানি এনে ঘরে ঢুকে তিনি মেয়েকে পাননি। খোঁজাখুঁজির কিছুক্ষণ পরে বাড়ির সামনে রাস্তার পাশে মৃত অবস্থায় মেয়েকে দেখতে পান। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। নিহত হিরার মাথাসহ একাধিক স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত আছে।

বেশ কিছুদিন ধরে হিরো মোল্যার সঙ্গে পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল ভাই ফারুক মোল্যা, আলীম মোল্যা ও বিপ্লব মোল্যার। বিরোধের জের ধরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেন হিরো মোল্যা।

মহম্মদপুর থানার ওসি তদন্ত বোরহানুল ইসলাম জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফারুক মোল্যা ও আলিম মোল্যাকে আটক করা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।