নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ভারতকে ইলিশ পাঠাতেন শেখ হাসিনা

সাধারণ মানুষ যেন কম দামে ইলিশ খেতে পারেন সেজন্য ভারতে সুস্বাদু এই মাছ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। এবারের নিষেধাজ্ঞার আগেও ২০১২ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে ইলিশ রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। মূলত ভারত তিস্তা নদীর পানির সুসম বণ্টন না করায় এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

তবে নয়াদিল্লি তিস্তার পানির সুরাহা না করলেও নিজ উদ্যোগে দুর্গাপূজা, পহেলা বৈশাখ এবং জামাইষষ্ঠীর সময় পশ্চিমবঙ্গে ইলিশ পাঠাতেন শেখ হাসিনা।

এরপর ২০২২ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ইলিশ রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ২১ অক্টোবর ৯টি ট্রাকে করে ৪৫ টন ইলিশ পশ্চিমবঙ্গে যায়। ওই সময় ৭৯টি মৎস্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ভারতে ৩ হাজার ৯৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়।

তবে নতুন সরকার যেহেতু রপ্তানিতে পুনরায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সে কারণে এবার পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপূজার সময় ইলিশের দাম বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে।

বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের একটি এক থেকে দেড় কেজি ইলিশের দাম ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এক খুচরা বিক্রেতা। যেখানে একমাস আগেও এমন একটি মাছ ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার রুপিতে বিক্রি হতো।

সূত্র: দ্য মিন্ট, ইন্ডিয়া টুডে

শেখ হাসিনাকে আপ্যায়নের ভাইরাল ছবি নিয়ে যা জানা গেল

গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের অবস্থানের পর থেকেই শেখ হাসিনার বর্তমান অবস্থা জানতে সবাই উদগ্রীব। ঠিক এমন সময়ই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শেখ হাসিনার একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে।

ছবিতে দেখা যাচ্ছে, শেখ হাসিনা খাবার টেবিলে বসে আছেন, আর একজন নারী তাকে খাবার পরিবেশন করছেন। সামনে সাজানো আছে অনেক খাবার। ছবিটি শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে যে ভারতে পালিয়ে আসার পর নাকি তাকে এভাবেই আপ্যায়ন করা হচ্ছে।

নেটিজনদের অনেকে এটি শেয়ার দিয়ে বোঝাতে চাচ্ছেন যে, ভারতে শেখ হাসিনাকে আপ্যায়ন করা হচ্ছে। তবে প্রশ্ন উঠেছে ছবিটি কবেকার এবং কোথাকার?

বিভিন্ন ফ্যাক্টচেকিং টুলস এবং সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে জানা গেছে, ছবিটি ২০১৯ সালের ১৫ মার্চের। সেদিন মির্জাপুরে কুমুদিনী কমপ্লেক্সের ভারতেশ্বরী হোমসে শহীদ দানবীর রনদা প্রসাদ সাহা স্মারক সম্মাননা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তার জন্য ৩১ পদের বাঙ্গালি খাবারের আয়োজন করেছিলেন কুমুদিনী পরিবার। কাঁসার থালায় খাবার ও কাঁসার গ্লাসে পানি পান করেছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তার ছোট বোন শেখ রেহেনাও। সেই সময় বিভিন্ন গণমাধ্যম এই নিয়ে নিউজও করেছিল।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে যাওয়ার পর থেকে তিনি ভারতে অবস্থান করছেন। প্রাথমিকভাবে তিনি অল্প সময়ের জন্য ভারতে থাকবেন বলে আশা করা হলেও এখন শোনা যাচ্ছে তার যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে আশ্রয় নেয়ার প্রচেষ্টা এখনো পর্যন্ত সফল হয়নি। ভারতে হাসিনার অব্যাহত উপস্থিতি অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে একটি শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে দিল্লির জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।

Check Also

এক টুকরো কাপড়ের জন্য আমাদের পড়াশোনা বন্ধ করে দিচ্ছে: মুসকান

ভারতের কর্নাটকের মাণ্ড্য প্রি-ইউনিভার্সিটি কলেজ প্রাঙ্গনের একটি ভিডিও নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, হিজাব …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *