শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর বিমানবন্দরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটকে গেছেন বড় বড় ‘রুই-কাতলা’। কেউ সেনাবাহিনীর হাতে সোপর্দ হয়েছেন, কেউবা ফিরে গেছেন বাসায়।
এদিকে, চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি চলতি সপ্তাহে গিয়েছিলেন বিমানবন্দরে। দেড় ঘণ্টা অপেক্ষায় রেখে, বিশেষ খোঁজ চলেছে তার নথিপত্রে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে তার নাম আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হয়েছে বলে জানা গেছে। বিষয়টি জানিয়েছেন মাহিয়া মাহি নিজেই।
তিনি বলেন, ‘এক থেকে দেড় ঘণ্টা হবে, আমি জাস্ট বসেছিলাম। কারণ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হতে চাইছিল আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আছে কি না। ডি জিএ ফআ ই, এন এস আ ইসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট ভালোভাবে চেক করার পরই ফ্লাই করতে পেরেছি।’
মাহি একদিনের জন্য গিয়েছিলেন দেশের বাইরে। এরপর আবারও ঢাকায় ফিরেছেন এই নায়িকা।
উল্লেখ্য, অভিনেত্রী পরিচয়ের বাইরেও মাহিয়া মাহি রাজনীতিতে বেশ সক্রিয় ছিলেন। আওয়ামী লীগের হয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দলের সমর্থন না পাওয়ায়, স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি এই চিত্রনায়িকা। হেরেছেন বেশ বড় ব্যবধানেই।
ইউটিউবার রাফসানকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা
কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও ফুড ভ্লগার ইফতেখার রাফসান ওরফে “রাফসান দ্য ছোট ভাই”কে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত। সেই সঙ্গে অনুমোদনহীন ড্রিংকস “ব্লু” সাত দিনের মধ্যে বাজার থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৮ আগস্ট) বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল আকবর এ আদেশ দেন। এ সময় প্রায় দেড় ঘণ্টা আদালতে দাঁড়িয়ে ছিলেন রাফসান।
কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই “ব্লু” নামের পানীয়টি বাজারজাত করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এ মামলা হয়।
ব্লু ড্রিংকস পানীয়টি অনুমোদনহীন হওয়ায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ক্ষমতাপ্রাপ্ত খাদ্য পরিদর্শক মো. কামরুল হাসান এ মামলা করেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৩ জুন আদালত রাফসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এ মামলায় ইফতেখার রাফসান গত ২৬ জুন আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে আগাম জামিন পান তিনি।
এর আগে, গত ২৪ এপ্রিল কুমিল্লা নগরীর বিসিক এলাকায় অবস্থিত মেসার্স ব্লু ড্রিংকস কারখানায় অভিযান চালানো হয়। ১৭ মে তা নতুন করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ওই সময় ইফতেখার রাফসানের ব্লু ড্রিংকস তৈরির কারখানায় মানহীনভাবে ব্লু ড্রিংকস তৈরির অভিযোগে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জানা গেছে, কুমিল্লার বিসিক শিল্পনগরীতে অবস্থিত “মেসার্স ড্রিংকব্লু বেভারেজ” প্রতিষ্ঠানটি মোড়কজাতকরণ নিবন্ধন সনদ গ্রহণ না করে “ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংক” পণ্য প্রস্তুত করে আসছিল। এছাড়াও কারখানায় কোনো পরিমাপ যন্ত্র ছাড়াই বোতলজাত করা হচ্ছিল ড্রিংকসগুলো। নিবন্ধন ছাড়াই মোড়কজাত ও বাজারজাত করায় “ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড আইন -২০১৮” এর ৪১ ধারায় ইফতেখার রাফসানকে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।