উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরামের (উই) প্রতিষ্ঠাতা নাসিমা আক্তার নিশার বিরুদ্ধে তারই বান্ধবী ও সহকর্মীর স্বামীর সঙ্গে পরকীয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ তুলেছেন উই’র পরিচালক শেখ লিমা। যিনি নিশার বান্ধবী হিসেবেও পরিচিত।
সম্প্রতি এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিমা দাবি করেছেন, তার স্বামী সাকিবের সঙ্গে নিশার অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। যেটা দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। তাদেরকে কয়েকবার সাবধান করার পরেও নিজেদের শুধরে নেননি।
নিশার সঙ্গে কথোপকথনের কয়েকটি স্ক্রিনশট জুড়ে দিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন শেখ লিমা। যেখানে দেখা গেছে, লিমার কাছে পরকীয়ার তথ্য ফাঁস না করতে অনুরোধ করে যাচ্ছেন নিশা।
লিমা তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, আমি ভীষণভাবে রক্তাক্ত, বিশ্বাসঘাতকতায় পুরাই রক্তাক্ত। আমার মেয়ের কাছে আমার ফোন পূরাই উন্মুক্ত। সে সবকিছুই পড়ছে। বলেছে, মা ‘প্লিজ জানিয়ে দাও। আমার কথা ভেবো না, আমি তো সবই জানি, আমি তোমার পাশে আছি, তোমার অপমান আমি নিতে পারছি না।’
এভাবে কখনো পোস্ট করার ইচ্ছে ছিল না। আমি বোকা না, শুধু বিশ্বাস করেছিলাম। অবৈধ সম্পর্ক শুধু ধ্বংসই ডেকে আনে সবার জন্য। প্রকাশ্যে শত্রুর চেয়ে বন্ধুবেশী গোপন শত্রু অনেক বেশি ভয়ংকর। তারা উপরে উপরে গাছে পানি ঢেলে নিচ দিয়ে গোড়াটাই কেটে ফেলে।
নিশা ও সাকিবের এই নোংরা ও অবৈধ সম্পর্কের শুরু কয়েক বছর থেকেই। ফয়সাল ভাই জীবিত থাকা অবস্থায় থাকতেই। বিশ্বাস করেছি বলেই সন্দেহ করিনি কখনো। ২০২০ সালে কোভিড মহামারীর লকডাউন চলাকালীন নিজের মেয়ে এনায়ার কাছে প্রথমবার ধরা পড়ে ভাইভারের সিক্রেট চ্যাট করতে যেয়ে। কিছু প্রমাণ রেখেছিলাম যা আমার ফোন থেকে সাকিব মুছে ফেলে। তখন মেয়ের কথা ভেবে চুপ হয়ে যাই। এর পরের বছর হোয়াটসঅ্যাপে, কনভারসেশন ডিলিট করে চলতে থাকে তাদের এই নোংরামি।
একসাথে কাজ করতে যেয়ে হঠাৎ করেই আমাকে সাইড করে দেওয়া হয়েছে, যাতে তাদের এই গোপন সম্পর্ক চালাতে পারে। আজ থেকে ৫/৬ মাস আগে, দুজনেই আমাকে বোঝায় তারা ভুল করেছে আর এসব করবে না। তাই আবার চুপ করে কঠিন বিষময় জীবন অতিবাহিত করতে থাকি, যাতে মেয়ের ভবিষ্যৎটা ঠিক থাকে। এবার আর পারলাম না। এবার যদি চুপ করে সহ্য করি তাহলে নিজের কাছে ও মেয়ের কাছে মাথাটা উঁচু করে দাড়িয়ে থাকতে পারবো না।
দশ দিন টানা ইংল্যান্ডে থাকার পর, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী অফিসের জন্য সাকিব ১৯শে জুন লীডস থেকে কেন্টে ও তারপর দেশে ফিরে আসার সময় থেকে তাদের (নিশা ও সাকিব) হোয়াটসঅ্যাপে আর-রেটেড কথোপকথন/প্রেমালাপগুলো আছে প্রমাণ হিসেবে। ইতিমধ্যে হয়তো তারা কনভারসেশন ডিলিটও করে দিয়েছে।
আমি জানি, শেয়ার করার সঙ্গে সঙ্গে আবার ডিলিট হয়ে যাবে। কিন্তু এবার আমি এতগুলো কপি করেছি যে মুছে শেষ করতে পারবে না। ভালো সেজে থাকা মুখোশটা উন্মোচিত করব পরিচিত সবার কাছে।
আর রেটেড মেসেজগুলো দেখার পর আমার মানসিক অবস্থা কি হতে পারে, তা আমার জায়গা থেকে একটু উপলব্ধি করবেন। আমি কি করব জানিনা, মনে হচ্ছে বুকের মধ্যে পাহাড়সম পাথর চাপা দেয়া আছে, অদৃশ্য হয়ে যেতে ইচ্ছে করছে, একই সাথে ঘুরছে মেয়ের জন্য চিন্তা।
আমি বিশ্বাস করেছিলাম, এত কঠিন ভাবে ঠকবো বুঝিনি। নিশা যখন বাবা ছাড়া ছেলে, আয়ান এর কথাই একবারও চিন্তা করেনি, বাকি আমরা তো কিছুই না। কিন্তু সাকিব, মেয়েটার জন্য কি ভাবা যেত না? আমি এই অপরাধের বিচার চাই।
এ বিষয়ে বিডি২৪লাইভের পক্ষ থেকে শেখ লিমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘শাকিব-নিশার অবৈধ সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। এসব কিছুর প্রমাণও আমার কাছে আছে। মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে এতদিন চুপ করে ছিলাম। তবে এখন আর চুপ থাকা সম্ভব নয়। আমি চাই, নিশার সৎ সেজে থাকার মিথ্যা মুখোশটা উন্মোচন হোক সবার কাছে।’
অন্যদিকে পরকীয়ার বিষয়ে জানতে একাধিকবার নাসিমা আক্তার নিশার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।