পঞ্চগড়ের দীর্ঘদেড় যুগ পর প্রকাশ্যে কর্মী সমাবেশ করেছে বাংলাদেশের ইসলামী ছাত্রশিবির পঞ্চগড় জেলা।পঞ্চগড় সরকারি অডিটরিয়ামে আট শতাধিক কর্মী নিয়ে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।পঞ্চগড়ের এর আগে সর্বশেষ ২০০৬ সালে ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রকাশ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছিল।
এ সময় প্রধান অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম।তিনি বলেন,বিগত ফ্যাসিবাদ সরকার শিক্ষা ব্যবস্থায় কর্মমুখী ও নৈতিকতার মূল্যবোধ সম্পন্ন শিক্ষা বাদ দিয়ে ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করতে উঠে পড়ে লেগেছিল।যেই শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে চাকরি করার জন্য ৫-৭ বছর পড়াশোনা করতে হয়,এটা কর্মমুখী শিক্ষা নয়।
এই শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে বিশ্বজিৎকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে,বুয়েটের ক্যাম্পাসে আবরার ফাহাদের মত মেধাবী ছাত্রকে পিটিয়ে জখম করে হত্যা করা হয়েছে। এই সন্ত্রাস কারা এবং কোন আদর্শ থেকে তৈরি হয়েছে?ইসলাম বাস্তবায়ন হলে এই সমাজ থেকে এসব সন্ত্রাস,গুম,খুন,ধর্ষণ দূর হয়ে যাবে।বিগত সরকার কখনো এটা চাইনি।কারণ তাদের রাজনীতিই এমন।
তিনি আরো বলেন,বিগত পুতুল সরকার ভারতের মদনপুষ্ট হয়ে টানা ১৫ বছর ধরে এদেশের অগ্রগতিকে নানাভাবে বাধাগ্রস্থ্য করেছে।ভারত আমাদের পানির ন্যায্য হিস্যা দেয়নি।কিছুদিন আগে বাধঁ ছেড়ে দিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় কৃতিম বন্যা সৃষ্টি করেছে।
ভারত তাদের স্বার্থে সব করতে পারে।এই সরকারের মাধ্যমে ভারত আমাদের ওপর দাসত্বের গোলামী আবার চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল।আমাদের দাস শ্রেণীতে নিয়ে যেতে চেয়েছিল।আজকে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সেই স্বৈরশাসক দেশ ছেড়েছে।
এ সময় ছাত্রশিবিরের পঞ্চগড় জেলা সভাপতি জুলফিকার রহমানের সভাপতিত্বে এই কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন-শিবিরের কেন্দ্রীয় পাঠাগার সম্পাদক অহিদুল ইসলাম আকিক,জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক ইকবাল হুসাইন,সেক্রেটারী মাওলানা দেলোয়ার হুসাইন,বাইতুলমাল সম্পাদক মাওলানা মনিরুল ইসলাম,শিবিরের সাবেক পঞ্চগড় জেলা সভাপতি জয়নাল আবেদীন,তোফায়েল প্রধান,নুরে-আলম সালেহী,বেলাল হোসেন প্রমূখ্য সহ বিভিন্ন নেতা কর্মীরা।
এসময় শিবিরের জেলা সেক্রেটারি মোঃ রাশেদ ইসলাম এই কর্মী সমাবেশ পরিচালনা করেন।