পাঠ্যপুস্তক থেকে জামায়াতের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যাচার’ মুছে ফেলার আহ্বান

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের পাঠ্যপুস্তকে দলটির বিরুদ্ধে থাকা ‘মিথ্যাচার’ মুছে ফেলতে অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতাদের নিয়ে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ আহ্বান জানান।

ঢাকা মহানগর উত্তরের জামায়াতে ইসলামীর এই সমাবেশের আয়োজন করে।

শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে ভারতীয় অপসংস্কৃতি ও অনৈসলামিক নীতি দূর করাসহ পাঠ্যপুস্তক থেকে জামায়াতের বিরুদ্ধে থাকা মিথ্যাচার মুছে ফেলতে অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানান দলটির নায়েবে আমির।

সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, যারা লুটপাট করে দেশকে বিপদের মুখে ফেলে পালিয়ে গেছে তাদেরকে এ দেশের মানুষ আর কখনো গ্রহণ করবে না। মানুষ বিভিন্ন সময়ে স্বৈরাচারদের শাসনে বিরক্ত হওয়ার কারণেই জামায়াতে ইসলামীকে নেতৃত্বে দেখতে চায়।

এ সময় নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার আগে ব্যাংকখাতসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কাঠামোগুলো দ্রুত সংস্কারের দাবিও জানান এ জামায়াত নেতা।

ইউএনও কে ঘুষ দিতে গিয়ে দৌড়ে পালালেন মাদ্রাসা সুপার

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ঘুষ দিতে গিয়ে দৌড়ে পালিয়েছেন এক মাদ্রাসা সুপার। এই ঘটনায় ভূরুঙ্গামারী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম ফেরদৌস।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। দৌড়ে পলায়ন করা ওই ব্যক্তি কামাত আঙ্গারীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার সাইদুর রহমান বলে জানা গেছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, কামাত আঙ্গারিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্য, জালিয়াতি, শিক্ষকদের হয়রানি, সরকারি বরাদ্দ আত্মসাৎ, মাদ্রাসার গাছ কেটে নিজের কাজে লাগানোসহ বেশ কিছু অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের তদন্তাধীন রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এসব অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করার কথা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে কামাত আঙ্গারিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার ইউএনওর কার্যালয়ে গিয়ে ইউএনওকে এক বান্ডিল টাকা ঘুষ দেয়ার চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় ইউএনও ক্ষিপ্ত হয়ে সুপারকে আটক করতে অফিস স্টাফদের তার কক্ষে ডাকেন। অফিস স্টাফরা কক্ষে পৌঁছানোর আগেই সুপার টাকা নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সুপার মো. সাইদুর রহমান মুঠোফোনে ঘুষ প্রদান চেষ্টার বিষয়টি অস্বীকার করেন।

ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. গোলাম ফেরদৌস বলেন, কামাত আঙ্গারীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্তের জন্য একটি কমিটি করা হয়েছে। তিনি অফিসে এসে আমাকে টাকা দিতে চেয়েছিলেন। এই ঘটনায় থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। দ্রুত ওই সুপারের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি রুহুল আমিন বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুপারের নামে জিডি করেছেন। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Check Also

এক টুকরো কাপড়ের জন্য আমাদের পড়াশোনা বন্ধ করে দিচ্ছে: মুসকান

ভারতের কর্নাটকের মাণ্ড্য প্রি-ইউনিভার্সিটি কলেজ প্রাঙ্গনের একটি ভিডিও নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, হিজাব …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *