আজ সকালে ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার কালীচরণপুর ইউনিয়নের হাটবাকুয়া গ্রামের মাঠে এক গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলেন, সদর উপজেলার তালতলা হরিপুর গ্রামের চুনু শেখের ছেলে রমজান হোসেন রুজিব (২০) ও তার স্ত্রী হরিণাকুণ্ডু উপজেলার বিন্নি গ্রামের গোলাম হোসেনের মেয়ে মুক্তা খাতুন (১৮)।
জানা যায়, ২ মাস আগে প্রেমের সম্পর্কের পর তারা বিয়ে করেন। স্থানীয়রা জানান, সকালে গ্রামের মাঠে একটি গাছের সঙ্গে রুজিব ও মুক্তা খাতুনের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এ বিষয়ে নারকেলবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই বিল্লাল হোসেন জানান, গাছের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে স্বামী ও স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে। ২ মাস আগে তাদের বিয়ে হয়। কিন্তু মেয়ের পরিবারের লোকজন তাদের বিয়ে মেনে নেয়নি।
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার মেয়েটির পরিবারের লোকজন মেয়েকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আসার কথা ছিল। এ কারণেই তারা আত্মহত্যা করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মেয়েটির বাঁ হাতে মেহেদি দিয়ে লেখা ছিল ‘সব আমার মায়ের দোষ, আমরা চলে যাচ্ছি’।
প্রেমের টানে শরীয়তপুরে তাইওয়ানের তরুণী, করলেন বিয়ে
এবার শরীয়তপুরের এক যুবকের প্রেমে পড়ে বাংলাদেশে চলে এসেছেন তাইওয়ানের এক তরুণী। ওই তরুণীর নাম লিইউ হুই (৩১)। আজ বৃহস্পতিবার ২৪ নভেম্বর দুপুরে তাদের বিয়ে হয়েছে। এর আগে গতকাল বুধবার ২৩ নভেম্বর ছিল গায়েহলুদ। বর শরীয়তপুরের নড়িয়া পৌরসভার ৮ নম্বর পশ্চিম লোনশিং গ্রামের মৃত জামাল উদ্দিন ছৈয়ালের ছেলে রমজান ছৈয়াল (৩৪)।
তাইওয়ানের তরুণী লিইউ হুইয়ের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে নিনা ছৈয়াল। নিনা তার বাবা-মা ও ভাইকে নিয়ে গত সোমবার ২১ নভেম্বর বাংলাদেশে আসেন। ওইদিনই ঢাকা আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে বৌদ্ধ ধর্ম পরিবর্তন করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন নিনা। পরদিন তারা শরীয়তপুরে রমজানের বাড়িতে আসেন।
এ বিষয়ে রমজান জানান, মাধ্যমিক পাস করে ছয় বছর আগে তিনি মালদ্বীপ যান। সেখানে তিনি ও নিনা একটি কোম্পানিতে কাজ করতেন। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়। পরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুই বছর আগে রমজান বাংলাদেশে চলে আসেন ও নিনা তাইয়ান ফিরে যান। তবে তাদের মধ্যে ফোন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যোগাযোগ সচল থাকে। পরে দুবাইয়ে চাকরি হয় নিনার। সেই সুবাদে নিনার টানে রমজানও দুবাই চলে যান।
এদিকে নববধূ নিনা ছৈয়াল বলেন, ‘আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি। রমজানকেও ভালোবাসি। তার সঙ্গে বিয়ে হওয়ায় আমি আনন্দিত।’ রমজানের ভাতিজি নিশি আক্তার বলেন, ‘ভাষাগত কিছু সমস্যা থাকলেও কাকি সবকিছুতেই মানিয়ে নিচ্ছেন। বাঙালি পোশাকও পরছেন।’
এ বিষয়ে নড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র শহীদুল ইসলাম বাবু রাঢ়ী বলেন, তাদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। আমাদের আতিথিয়েতায় তারা মুগ্ধ। এই দম্পতি যেন সুখী হয় সেই দোয়াই করি।