বহু বছর আগে আমাদের সমাজের নিয়ম ছিল যে, সম্পর্কে নারীকে সবসময় পুরুষের থেকে কমবয়সী হতে হবে। কিন্তু সমাজ বদলেছে। আমাদের মানসিকতাও বদলেছে। তাই এখন অনেক সময়েই দেখা যায় কোনও সম্পর্কে নারীরা পুরুষের থেকে বেশি বয়সের হয়।
এদিকে প্রেমিকা কিংবা গার্লফ্রেন্ড নির্বাচনের ক্ষেত্রেও ইউরোপে এখন বেশিরভাগ পুরুষই তুলনামূলকভাবে বয়সে বড় নারীকে প্রেমিকা হিসেবে পছন্দ করেন। এর পেছনে অবশ্য মনস্তাত্ত্বিক কারণও রয়েছে।
এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ২২ থেকে ৩০ বছর বয়সী যুবকদের মধ্যে ৫২ শতাংশ মনে করছেন, সম্পর্কের ক্ষেত্রে তাদের তুলনায় অধিক বয়স্ক প্রেমিকারা তাদের জন্য বেশি উপযোগী। ৪০ শতাংশ যুবক মনে করছেন, সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রেমিকাদের বয়স তাদের কাছে তেমন একটা মুখ্য নয় এবং অবশিষ্ট ৮ শতাংশ যুবক এ বিষয়ে কোনো মতামত দেননি।
সম্প্রতি অস্ট্রিয়ায় অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব সালজবুর্গের ডিপার্টমেন্ট অব সাইকোলজি এই গবেষণা প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে। আর মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, এ কারণে ইউরোপে বর্তমানে বেশিরভাগ পুরুষই প্রেমিকা কিংবা গার্লফ্রেন্ড নির্বাচনের ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে বয়স্ক নারীদের বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন।
এদিকে ৩০ বছর বয়সী ডেনমার্কের অধিবাসী গুস্তাভ সোরেনসেন জানিয়েছেন, ছেলেরা বর্তমান সময়ে প্রেমিকা বা গার্লফ্রেন্ড নির্বাচনের ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে তার তুলনায় অধিক বয়স্ক মেয়েদের বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন। আমার মতো তাদের বেশিরভাগের যুক্তি, বয়সে বড় প্রেমিকা মানে তিনি আপনাকে কোনো বিষয়ে গাইড করার ক্ষমতা রাখবেন।
বিয়ে করলে বাড়বে আয়ু, কমবে ক্যানসারের ঝুঁকি: গবেষণা
সাম্প্রতিক এক গবেষণা বিয়ের সঙ্গে পাকস্থলীর ক্যানসারের সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন। ৩ হাজার গ্যাস্ট্রিক ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে এই গবেষণা পরিচালিত হয়। ওই রোগীদের প্রত্যেকেই ছিলেন ক্যানসারে প্রথমিক পর্যায়ে আক্রান্ত। সম্প্রতি ‘ইনভেস্টিগেটিভ জার্নাল’এ প্রকাশিত এক গবেষণার তথ্য জানাচ্ছে, যারা অবিবাহিত বা যাদের জীবনসঙ্গী নেই তাদের ক্ষেত্রে পাকস্থলীর ক্যানসারে মৃত্যু হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি।
বিবাহিত ব্যক্তিদের মধ্যে ক্যানসার হলেও রোগী দীর্ঘায়ু পেতে পারেন। চিনা বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, ৭২ শতাংশ বিবাহিত পুরুষ ও নারীদের গ্যাস্ট্রিক ক্যানসার ধরা পড়ার পর অবিবাহিতদের তুলনায় ৫ বছর বেশি বেঁচে থাকার সম্ভাবনা আছে। গবেষকদের মতে, জীবনসঙ্গী পাশে থাকলে সবাই সুখ অনুভব করেন।
এমনকি তিনি আপনার খেয়ালও রাখতে পারেন। অসুখ হলে ওষুধ খাওয়ানো থেকে শুরু করে অন্যান্য সেবা তার মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব। ফলে রোগী সহজে ভেঙে পড়েন না। শরীরে কোনো রকম সমস্যা হলে যারা অবিবাহিত বা একা থাকেন তারা ততটাও গুরুত্ব দেন না। আর তাতেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
এদিকে গবেষণায় দেখা গেছে, যারা বিবাহিত তাদের ক্ষেত্রে যে কোনো রোগ আগেই ধরা পড়েছে তাই চিকিৎসা পদ্ধতিও দ্রুত চালু করা সম্ভব হয়েছে। তাই বিবাহিতদের সুস্থতার হারও বেশি। বিবাহিতরা আর্থিক ও মানসিক দু’দিক দিয়েই রোগের সঙ্গে লড়াই করার বেশি সামর্থ্য রাখে।
তাছাড়া গবেষণায় ধরা পড়েছে, যাদের স্বামী কিংবা স্ত্রী মারা গিয়েছেন তাদের মধ্যে পাকস্থলীর ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুঝুঁকির হার অনেকটাই বেশি। শরীরের প্রতি অযত্ন এর পেছনের অন্যতম কারণ।