বন্যার্তদের জন্য শত শত টন ত্রাণ সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন বিশিষ্ট ইসলামী বক্তা শায়খ আহমাদুল্লাহ। তার প্রতিষ্ঠিত আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এ সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন তিনি।
জানা গেছে, পরিস্থিতি ক্রমেই আরও অবনতি হচ্ছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের দুর্ভোগ প্রকট আকার ধারণ করছে। দেখা দিচ্ছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট। সে সংকট কমাতে অন্তত ৫০০ টন ত্রাণ পাঠানোর কথা জানিয়েছেন জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তা শায়খ আহমাদুল্লাহ।
তিনি জানান, বুধবার তাৎক্ষণিক ১০ টন খেজুর, ১০ টন চিড়া, ৫ টন চিনি, ৫ টন লবণ ও অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী নিয়ে আমাদের তিনটি ট্রাক ফেনীর উদ্দেশে চলে গেছে। দ্রুতই সেসব মালামাল পাঁচ হাজার পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হবে ইনশাআল্লাহ।
এদিকে শুক্রবার আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশনের ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়েছেন ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এসওয়াই রামাদান। শায়খ আহমাদুল্লাহ নিজের ফেসবুকে এক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এসওয়াই রামাদান আজ আমাদের ত্রাণ কার্যক্রম দেখতে এসেছিলেন। আমাদের বিশাল কর্মযজ্ঞ দেখে তিনি অভিভূত হয়েছেন এবং দুর্গতদের জন্য গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ফিলিস্তিনের জন্য যে গভীর ভালোবাসা দেখিয়েছে, আপনাদের দুর্যোগে এর দায় কিছুটা হলেও আমি শোধ করব। এ সময় তিনি আক্রান্তদের জন্য একটি সিম্বলিক সহায়তা প্রদানেরও আগ্রহ প্রকাশ করেন।
শায়েখ আহমাদুল্লাহ লিখেন, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূতের এই মানবিক তৎপরতা মুসলিম ভ্রাতৃত্বের উজ্জ্বল নমুনা হয়ে থাকবে। আমরা তার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
এর আগে জানানো হয়, দ্বিতীয় ধাপে আরও ৩৫ হাজার পরিবারের জন্য শুকনো ও ভারী ত্রাণসামগ্রীর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যার জন্য ৫০০ টন মালামাল কেনার কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। যার মধ্যে আছে- ২০০ টন চাল, ২০ হাজার বোতল তেল, ৩০ টন খেজুর, ৩০ টন চিড়া, ৪০ টন ডাল, ২৭.৫ টন লবণ, ১৫ টন চিনি, ২০ হাজার পিস পানির বোতল। এছাড়া দেড় লাখ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, মোমবাতি ও দিয়াশলাই প্রস্তুত করা হচ্ছে। এসব মালামাল ঢাকায় প্যাকেজিং হবে শুক্রবার সকাল থেকে।