জুলাই গণহত্যায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচার সরাসরি সম্প্রচার করবে সরকার। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শিগগির এই বিচার কার্যক্রম শুরু হবে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, বিচার স্বচ্ছতার জন্য সব করবে সরকার।
গত ১৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যা, গণহত্যা ও নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১০ ব্যক্তি ও সংগঠনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে গত ২১ আগস্ট একই ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৭৭ জনের নামে গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধে আরেকটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গণহত্যার অভিযোগে দায়ের করা অধিকাংশ মামলার প্রধান আসামি শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে ট্রাইব্যুনালে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গণহত্যার এভিডেন্স (প্রমাণ) নষ্ট হওয়ার আগেই সংরক্ষণ করা বড় চ্যালেঞ্জ। দেশবাসীর কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, আলামত নষ্ট হওয়ার আগেই যার কাছে গণহত্যা, নির্যাতনের যে এভিডেন্স আছে আপনারা ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের কাছে বা তদন্ত সংস্থার কাছে জমা দিন।
তিনি বলেন, তদন্তকালে আসামিদের গ্রেপ্তারের আবেদন করবে প্রসিকিউটর টিম। আগে ট্রাইব্যুনালে আসামিপক্ষের আইনজীবী হিসেবে কাজ করলেও বর্তমানে রাষ্ট্রপক্ষে আইনি লড়াইয়ে কোনো আইনগত জটিলতা নেই। দ্রুত ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হবে।
শেখ হাসিনাকে নিয়ে আরেক প্রশ্নের জবাব নবনিযুক্ত চিফ প্রসিকিউটর বলেন, শেখ হাসিনাসহ যত প্রভাবশালী আসামিই হোক না কেন সবার সঙ্গে সমান আচরণ করা হবে। কারো প্রতি যেমন জুলুম করা হবে না, তেমনি কাউকে ছাড়ও দেওয়া হবে না।
যাত্রীর লাগেজ থেকে মুদ্রা চুরি, ৫ কর্মীকে পুলিশে দিল বিমান
যাত্রীর লাগেজ থেকে পাঁচজন কর্মীর ৬ হাজার ৮০০ ইউরো চুরির ঘটনায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স তাদেরকে পুলিশে দিয়েছে। অর্থ চুরির ঘটনায় শনাক্ত বিমানের আরেক কর্মী পলাতক রয়েছেন।
সোমবার বিমানের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গেল ২ সেপ্টেম্বর ওই যাত্রী বিমানের একটি ফ্লাইটে (বিজি-৩৬৩) ঢাকা থেকে চেন্নাই যান। সেখানে পৌঁছে লাগেজে তার ইউরো না পেয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। এরপরই ঘটনার তদন্তে শুরু করে বিমান কর্তৃপক্ষ।
বিমানের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক বোসরা ইসলাম বলেন, “বিমানের নিরাপত্তা বিভাগ থেকে বিষয়টির ওপর প্রাথমিক তদন্ত করে ঢাকা স্টেশনে সেদিন কর্মরত ছয় জন ট্রাফিক হেলপারকে চিহ্নিত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন।
“পরে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিমান নিরাপত্তা বিভাগ থেকে ঢাকার বিমানবন্দর থানায় মামলা করা হয়। মামলায় ছয় জনের মধ্যে পাঁচ জনকে থানায় সোপর্দ করা হয় এবং একজন পালিয়ে যায়।”
আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মাধ্যমে চুরি করা অর্থ দ্রুত উদ্ধার করে যাত্রীকে ফেরত দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ সব ধরনের অনিয়ম, দুর্নীতি ও যাত্রী হয়রানির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে জানিয়ে বোসরা ইসলাম বলেন, “এ ঘটনার নেপথ্যদের খুঁজে বের করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় নেওয়া হবে।”
বিজ্ঞপ্তিতে বিমান বলছে, আন্তর্জাতিক এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ) ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স যাত্রীদের চেকড ব্যাগেজে মূল্যবান সামগ্রী, টাকা-পয়সা ও অলংকার পরিবহনে নিরুৎসাহিত করে। এসব সামগ্রী হাত ব্যাগে বহনের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ।