পাকাপাকি ছড়া থেকে প্রশ্ন ও উত্তর – ষষ্ঠ শ্রেণির ২য় পরিচ্ছেদ আস-সালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী ভাষা ব্যবহারের প্রধান উদ্দেশ্য মনের ভাব প্রকাশ করা। মনের ভাব প্রকাশ করতে মানুষ শব্দ ও শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করে। এগুলোর অর্থই মূলত বক্তা ও শ্রোতার মধ্যে সংযোগ ঘটায়। ভাষার স্বাভাবিক বিবর্তন প্রক্রিয়ায় শব্দের অর্থ কখনো মুখ্য হয়, কখনো গৌণ হয়, কখনো প্রসারিত হয়, কখনো সংকুচিত হয়, কখনো অর্থের উন্নতি ঘটে, কখনো অবনতি ঘটে। আবার শব্দ কখনো কখনো সম্পূর্ণ ভিন্ন অর্থ গ্রহণ করে।
শব্দের একাধিক অর্থ হতে পারে ধরে নিয়েই প্রাচ্য কি পাশ্চাত্য উভয় বাগার্থশাস্ত্রে শব্দের আর-এক ধরনের অর্থ বা বৃত্তি স্বীকৃত হয়েছে। ভারতীয় শব্দশাস্ত্রে সেটির নাম লক্ষণা। এই লক্ষণা অবশ্যই একটি গৌণ অর্থ, যেমন, কাউকে অবজ্ঞা করে বলা ‘তুমি একটা গোরু’ বা ‘গাধার মতো কথা বোলো না।’ এই দুটি বাক্যে ‘গোরু’ বা ‘গাধা’র মূল অর্থ রক্ষিত হয়নি, বরং একটি ‘লক্ষিত’ বা ‘অভিপ্রেত’ অর্থ শব্দ দুটিতে বক্তার ইচ্ছায় আরোপিত হয়েছে। লক্ষণার ধর্মই হলো উপলক্ষ অনুযায়ী মূল অর্থ বা অভিধাকে আড়াল করে নিজেকে সামনে নিয়ে আসা।
পাকাপাকি ছড়া থেকে প্রশ্ন ও উত্তর – ষষ্ঠ শ্রেণির ২য় পরিচ্ছেদ
এতে অভিধার বাইরে একটি গৌণ অর্থ এসে অভিধাকে স্থানচ্যুত করছে। একটি শব্দের নানা রকম অর্থ থাকতে পারে। বাক্যে প্রয়োগের ওপর শব্দের অর্থ নির্ভর করে। উদাহরণ হিসেবে সুকুমার রায়ের ‘পাকাপাকি ছড়াটির কথা বলা যায় । ছড়াটি পড়ার সময়ে ‘পাকা’ শব্দটি কত অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে তা খেয়াল করতে হবে। ‘পাকাপাকি’ ছড়ার প্রথম বাক্যটি হলো ‘আম পাকে বৈশাখে, কুল পাকে ফাগুনে’। এখানে ‘পাকা’ শব্দের অর্থ দাঁড়িয়েছে ‘পরিপক্ব’। এভাবে পরবর্তী বাক্যে ব্যবহৃত ‘পাকা’ শব্দের অর্থ হলো— শক্ত, স্থায়ী, পরিপূর্ণ, দক্ষ, সাদা, পটু, পরিপক্ব, পরিণত ইত্যাদি। এসব অর্থ আবার মুখ্য অর্থ ও গৌণ অর্থ।
কবি-পরিচিতি (Biography)
নামঃ সুকুমার রায়
পিতাঃ উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী।
জন্মঃ ৩০শে অক্টোবর, ১৮৮৭ খ্রিষ্টাব্দ, কলকাতা। তাঁর আদি পৈতৃক নিবাস- ময়মনসিংহ (কিশোরগঞ্জ) জেলার মসুয়া গ্রাম।
শিক্ষাজীবনঃ কলকাতা সিটি স্কুল থেকে এন্ট্রান্স পাস করেন। কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে রসায়ন ও পদার্থবিজ্ঞানে বি.এসসি ডিগ্রি অর্জন। ম্যাঞ্চেস্টার স্কুল অব টেকনোলজি থেকে এফ. আর. পি. এস ডিগ্রি লাভ।
পেশা/কর্মজীবনঃ পিতার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে যোগদান। ‘মানডে ক্লাব’ প্রতিষ্ঠা। ‘সন্দেশ’ পত্রিকা সম্পাদনা। তিনি ছিলেন সুগায়ক ও অভিনেতা।
সাহিত্যসাধনাঃ আবোল-তাবোল, হযবরল, পাগলা দাশু, খাই খাই, বহুরূপী ইত্যাদি শিশুতোষ গ্রন্থ।
মৃত্যুঃ ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দ, কলকাতা।
পাকাপাকি ছড়া
আম পাকে বৈশাখে কুল পাকে ফাগুনে,
কাঁচা ইট পাকা হয় পোড়ালে তা আগুনে।
রোদে জলে টিকে রং, পাকা কই তাহারে;
ফলারটি পাকা হয় লুচি দই আহারে।
হাত পাকে লিখে লিখে, চুল পাকে বয়সে,
জ্যাঠামিতে পাকা ছেলে বেশি কথা কয় সে।
লোকে কয় কাঁঠাল সে পাকে নাকি কিলিয়ে?
বুদ্ধি পাকিয়ে তোলে লেখাপড়া গিলিয়ে!
কান পাকে ফোড়া পাকে, পেকে করে টনটন-
কথা যার পাকা নয়, কাজে তার ঠনঠন।
রাঁধুনি বসিয়া পাকে পাক দেয় হাঁড়িতে,
সজোরে পাকালে চোখ ছেলে কাঁদে বাড়িতে।
পাকায়ে পাকায়ে দড়ি টান হয়ে থাকে সে।
দুহাতে পাকালে গোঁফ তবু নাহি পাকে সে।
পাঠসংক্ষেপঃ
‘পাকাপাকি’ কবিতায় পাকা বা দক্ষ বিষয়ক নানা কথা বলেছেন। বিভিন্ন উপমা এখানে ব্যক্ত করেছেন। বৈশাখে আম পাকে, ফাগুনে কুল পাকে, আগুনে পোড়ালে কাঁচা ইট পাকা হয়, রোদে জলে রং পাকা হয়। লুচি দই আহারে পাকা কলা ভালো হয়। হাতের লেখা পাকা হয় লিখতে লিখতে, বয়সে চুল পাকে। কিন্তু কম বয়সি ছেলে বড়দের মতো কথা বলে।
কিলিয়ে কাঁঠাল পাকানো যায়, লেখাপড়া গিলিয়ে বুদ্ধি পাকানো যায়। কান পাকে, ফোঁড়া পাকে, আবার কথায় পাকা না হলেও কেউ কেউ কাজে ঠন ঠন দেখায়। রাঁধুনি পাক দেয় হাঁড়িতে, চোখ পাকালে কেউ ভয়ে কেঁদে ফেলে। গোঁফ দু’হাতে পাকালেও তাকে পাকা বলা হয় না।
শব্দের অর্থ (Word Note)
আহারঃ ভোজন।
কিলানোঃ খিল বা গোঁজা ঢুকানো।
কুলঃ ফলের নাম।
গোঁফঃ নাকের নিচে গজানো লোম।
জ্যাঠামিঃ অল্প বয়সে বেশি বয়সের মতো আচরণ।
দড়িঃ রশি।
ফলারঃ ভাত ছাড়া নিরামিষ খাবার।
ফাগুনঃ ফাল্গুন।
ফোড়াঃ চামড়ার নিচে ফুলে ওঠা ঘা।
রাঁধুনিঃ যে রান্না করে।
লুচিঃ ভিতরে ফাঁপা ছোটো পরোটা।
সজোরেঃ খুব জোরে।
পাকাপাকি ছড়া থেকে প্রশ্ন ও উত্তর
উপরের কবিতায় ‘পাকা’ শব্দ কত ভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে তার তালিকা করো।
উত্তরঃ
বাক্যে প্রয়োগ | ‘পাকা’ শব্দের অর্থ |
আম পাকে বৈশাখে কুল পাকে ফাগুনে | পরিপক্ক |
কাঁচা ইট পাকা হয় পোড়ালে তা আগুনে | মজবুত, শক্ত |
রোদে জলে টিকে রং, পাকা কই তাহারে | টেকসই, স্থায়ী |
ফলারটি পাকা হয় লুচি দই আহারে | উৎকৃষ্ট, পরিপূর্ণ |
হাত পাকে লিখে লিখে | দক্ষ |
চুল পাকে বয়সে | সাদা হওয়া, শুভ্র |
জ্যাঠামিতে পাকা ছেলে বেশি কথা কয় সে | পটু |
কাঁঠাল সে পাকে নাকি কিলিয়ে | পরিপক্ক |
বুদ্ধি পাকিয়ে তোলে লেখাপড়া গিলিয়ে | পরিণত, ঝানু |
কান পাকে ফোড়া পাকে | পুঁজ হওয়া |
কথা যার পাকা নয় কাজে তার ঠনঠন | স্থায়ী, অটল |
রাঁধুনি বসিয়া পাকে পাক দেয় হাঁড়িতে | রান্না করা |
সজোরে পাকালে চোখ ছেলে কাঁদে | রাগান্বিত |
পাকায়ে পাকায়ে দড়ি টান হয়ে থাকে সে | পেঁচিয়ে রাখা, মোচড়ানো |
দুহাতে পাকালে গোঁফ তবু নাহি পাকে সে | তা দেওয়া |
পাকাপাকি ছড়ায় মুখ্য অর্থ ও গৌণ অর্থ
একটি শব্দ শোনার সাথে সাথে মনে যে ছবি বা ধারণা জেগে ওঠে, সেটাকে ওই শব্দের মুখ্য অর্থ বলে। যেমন- ‘মাথা’ শব্দটি শোনার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের উপরের যে অংশের ছবি মনে ভেসে ওঠে, সেটাই মাথা শব্দের মুখ্য অর্থ। কোনো শব্দের মুখ্য অর্থের পাশাপাশি এক বা একাধিক গৌণ অর্থ থাকতে পারে। যেমন- ‘মেয়েটির মাথা ভালো বললে মেধা বা বুদ্ধিকে বোঝায়। আবার যদি বলা হয় ‘রাস্তার মাথায় যাও’, তবে মাথা বলতে রাস্তার শেষ প্রান্তকে বোঝায়।
নিচে কয়েকটি শব্দের মুখ্য অর্থ ও একাধিক গৌণ অর্থের প্রয়োগ দেখানো হলো।
কথা | মুখ্য অর্থ | মুখের ভাষা | তাঁর কথা শুনতে ভালো লাগে। |
গৌণ অর্থ ১ | প্রস্তাব | তোমার কথা আমি মানতে রাজি। | |
গৌণ অর্থ ২ | তিরস্কার | ওর জন্য আমাকে কথা শুনতে হলো। | |
কাজ | মুখ্য অর্থ | কর্ম | ভালো কাজের জন্য ভালো পুরস্কার আছে। |
গৌণ অর্থ ১ | কর্তব্য | তোমার কাজ পড়াশোনা করা। | |
গৌণ অর্থ ২ | সমাধান | ওর কাছে গেলে কাজ হবে। | |
পাগল | মুখ্য অর্থ | মানসিক রোগী | পাগল হয়ে সে এখন পথে পথে ঘুরছে। |
গৌণ অর্থ ১ | মুগ্ধ | ভাটিয়ালি গানের পাগল করা সুরে মন ভরে যায়। | |
গৌণ অর্থ ২ | অনুরাগী | তিনি কাজ পাগল মানুষ। | |
বড়ো | মুখ্য অর্থ | বৃহৎ | বড়ো আমগাছটার নিচে তাকে দেখতে পাবে। |
গৌণ অর্থ ১ | বেশি বয়সের | ওর কথা বলছ? ও আমার বড়ো ভাই। | |
গৌণ অর্থ ২ | উদার | তিনি অনেক বড়ো মনের মানুষ। | |
শেষ | মুখ্য অর্থ | সমাপ্ত | কাজটি গতকাল শেষ করেছি। |
গৌণ অর্থ ১ | ধ্বংস | আগুনে পুড়ে বাড়িটি শেষ হয়ে গেল। | |
গৌণ অর্থ ২ | প্রান্ত | পথের শেষে চেয়ারম্যান সাহেবের বাড়ি। | |
মুখ | মুখ্য অর্থ | মুখের গর্ত | দাদা মুখে পান পুরে কথা বলা শুরু করলেন। |
গৌণ অর্থ ১ | মুখমণ্ডল | সে মুখে পাউডার দিচ্ছে। | |
গৌণ অর্থ ২ | প্রবেশ পথ | গলির মুখে রিকশাটা দাঁড়াল। |
অর্থ বুঝে বাক্য লিখি
অর্থ বুঝে বাক্য লেখার নিয়ম জানতে এই পোস্ট পড়ুন। নিচের শব্দগুলো ব্যবহার করে মুখ্য অর্থ এবং এক বা একাধিক গৌণ অর্থের প্রয়োগ দেখাও।
উত্তরঃ
মাথা | মুখ্য অর্থ | মস্তক | তার মাথায় অনেক চুল। |
গৌণ অর্থ ১ | পরিশ্রম | শ্রমিকরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে রোজগার করে। | |
গৌণ অর্থ ২ | বুঝতে পারা | অঙ্কটি আমার মাথায় ঢুকছে না। | |
হাঁত | মুখ্য অর্থ | বাহু/ভুজ/হস্ত | আমরা হাত দিয়ে সকল কাজ সম্পাদন করি। |
গৌণ অর্থ ১ | বশবর্তী | জাফর শফিককে হাত করেছে। | |
গৌণ অর্থ ২ | প্রহার করা | বাচ্চাদের গায়ে হাত ওঠাতে নেই। | |
কাঁচা | মুখ্য অর্থ | অপক্ক | আমটি কাঁচা হলেও বেশ মিঠে। |
গৌণ অর্থ ১ | অপূর্ণ | আমার কাঁচা ঘুমটি ভাঙলে কেন? | |
গৌণ অর্থ ২ | দুর্বল | ছেলেটি অঙ্কে কাঁচা। | |
কাটা | মুখ্য অর্থ | কর্তন/ছেদন করা | গাছ কাটা মোটেও ভালো কাজ নয়। |
গৌণ অর্থ ১ | চুরি | পরের ঘাঁট কাটা ওর স্বভাব। | |
গৌণ অর্থ ২ | ছন্দপতন | তাল কাটা গান শুনতে ভালো লাগে নাকি? | |
চোখ | মুখ্য অর্থ | দর্শন ইন্দ্রিয় | আমরা চোখ দিয়ে দেখি। |
গৌণ অর্থ ১ | রোগ | রফিক চোখ ওঠার কারণে অনেক কষ্টে আছে। | |
গৌণ অর্থ ২ | ভয় দেখানো | আমাকে চোখ রাঙিয়ে লাভ হবে না। | |
কান | মুখ্য অর্থ | শ্রবণ অঙ্গ | নোভা কানে দুল পরেছে। |
গৌণ অর্থ ১ | মনোযোগ | আমার কথায় কান দাও। | |
গৌণ অর্থ ২ | নির্লজ্জ | সানুর মতো কানকাটা লোক আর দেখিনি। |
অন্যের বাক্যের সঙ্গে আমার বাক্যগুলো মিলিয়ে দেখেছি। এগুলো যথার্থ হয়েছে।
পাকাপাকি ছড়া থেকে প্রশ্ন ও উত্তর ভিডিও দেখুন…
প্রতিশব্দঃ
রাত, কবুতর, আকাশ, চোখ, সংবাদ, বাড়ি, বাসনা, হাওয়া, ললাট, ভাগ্য, কপোত, খুশি, গগন, হর্ষ, ভবন, আনন্দ, ইচ্ছা, কপাল, ঘর, বাতাস, পায়রা, রজনি, নয়ন, রাত্রি, আকাঙ্ক্ষা, নেত্র, বায়ু, বার্তা, খবর, আসমান। উপরের শব্দ থেকে একই রকম অর্থ প্রকাশ করে এমন শব্দগুলো আলাদা করো। একটি করে দেখানো হলো।
উত্তরঃ
১. | রাত | রাত্রি | রজনি |
২. | কবুতর | কপোত | পায়রা |
৩. | আকাশ | গগন | আসমান |
৪. | চোখ | নেত্র | নয়ন |
৫. | সংবাদ | বার্তা | খবর |
৬. | বাড়ি | ঘর | ভবন |
৭. | বাসনা | ইচ্ছা | আকাঙ্ক্ষা |
৮. | হাওয়া | বাতাস | বায়ু |
৯. | ললাট | ভাগ্য | কপাল |
১০ | খুশি | হর্ষ | আনন্দ |
পাকাপাকি ছড়া থেকে প্রতিশব্দ শিখি
একটা শব্দকে অন্য শব্দ দিয়েও প্রকাশ করা যায়। যেমন- ‘আকাশ’ না বলে ‘আসমান’ বা ‘গগন’ বলা যায়। যেসব শব্দের অর্থ অনুরূপ বা প্রায় সমান, সেসব শব্দকে প্রতিশব্দ বলে। নিচে কিছু শব্দের প্রতিশব্দ দেওয়া হলো।
অনেক : বেশি, বহু, প্রচুর, অধিক, অত্যন্ত।
আগুন : অগ্নি, অনল, বহ্নি।
কন্যা : মেয়ে, দুহিতা, ঝি।
তৈরি : গঠন, নির্মাণ, গড়া, বানানো, প্রস্তুত।
দেহ: শরীর, গা, গাত্র, তনু, অঙ্গ।
নারী :মানবী, মহিলা, স্ত্রীলোক
পর্বত : পাহাড়, অদ্রি, গিরি
পানি : জল, সলিল, , নীর, বারি
পুত্র : ছেলে, দুলাল, কুমার।
পৃথিবী : জগৎ, ভুবন, দুনিয়া, বিশ্ব, ধরণি।
বন : অরণ্য, জঙ্গল, কানন, বনানী।
সমুদ্র : সাগর, সিন্ধু, পাথার।
সাপ : সর্প, অহি, ফণী, নাগ, ভুজঙ্গ।
সূর্য : রবি, তপন, অরুণ।
হাত : হস্ত, কর, বাহু, ভুজ।