বহু রান্নায় কিশমিশ ব্যবহার হয়। পোলাও-পায়েসে কিশমিশ দিলে স্বাদ কয়েক গুণ বেড়ে যায়। অনেকে আবার খালি কিশমিশ খান সুস্বাস্থ্যের জন্য। কিশমিশ শরীরে শক্তি জোগায়, হাড় মজবুত করে। কিশমিশে থাকে ফাইবার, প্রোটিন, আয়রন, পটাশিয়াম, কপার।
সারা রাত পানিতে কয়েকটি কিশমিশ ভিজিয়ে রেখে, সকালে খালি পেটে খেলে শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কিন্তু আঙুর না কি কিশমিশ, কোনটি বেশি স্বাস্থ্যকর? এ নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রচুর দ্বন্দ্ব আছে। একটি কাঁচা, অন্যটি শুকনো- এই দু’টি পার্থক্য ছাড়াও পুষ্টিগুণেও পার্থক্য রয়েছে। আঙুর রোদে বা হাওয়ায় শুকিয়ে বানানো হয় কিশমিশ। আর সেই প্রক্রিয়াতেই হেরফের হয়ে যায় দুইয়ের পুষ্টিগুণ। শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে আঙুর অথবা কিশমিশ খাওয়া প্রয়োজন।
আঙুর শুকিয়ে তৈরি করা হয় কিশমিশ। তাই এতে শর্করা অনেক ঘন হয়ে যায়। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে কিশমিশ অনেক ক্ষতিকারক হয়ে উঠতে পারে। আঙুরে সমস্যা কম, তাই আঙুর খেতে পারেন। তবে ডায়াবেটিস থাকলে আঙুর খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেওয়া জরুরি।
চিনির মতো কিশমিশে ক্যালোরির পরিমাণও অনেকটা বেশি। কিশমিশের শাঁসের ঘনত্ব বেশি বলে ক্যালোরির পরিমাণও অনেক। কিশমিশের তুলনায় আঙুরে ক্যালোরির পরিমাণ কম। নেই বললেই চলে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিশমিশের চেয়ে আঙুর উপকারী। তবে কিশমিশে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে শরীরের দূষিত পদার্থ বার করে দিতে দারুণ কার্য়করী।
Sotto TV We Publish technology, various types of tips, career tips, banking information, methods of earning online