স্ত্রীর প্রতারণা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক কুয়েত প্রবাসী। তার নাম মো. জালাল মিয়া। বুধবার সকালে হবিগঞ্জের মাধবপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, ‘আমি বিদেশের মাটিতে পরিশ্রম করে টাকা রোজগার করি। মাসে মাসে স্ত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাই। আর আমার স্ত্রী এ টাকার বেশি অংশ খরচ করে তাঁর পরকীয়া প্রেমিককে নিয়ে।’
সংবাদ সম্মেলনে জালাল মিয়া আরও বলেন, ‘আমি দেশে আসার আগে থেকে টাকার হিসাব চাইলে, আমাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে আমার স্ত্রী মনোয়ারা ও তাঁর পরকীয়া প্রেমিক একই এলাকার দুলাল মিয়ার নামের এক ব্যক্তি।’
জালাল মিয়া উপজেলার আদাঐর ইউনিয়নের মিঠাপুকুর গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে। ২৫ বছর আগে একই উপজেলার বহরা ইউনিয়নের গাঙ্গাইল গ্রামের রইছ আলীর মেয়ে মনোয়ারা খাতুনকে বিয়ে করেন তিনি। দাম্পত্য জীবনে তাঁদের তিনটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পাঁচ বছর পর আয় রোজগারের জন্য তিনি কুয়েত চলে যান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘তিন-চার বছর পর পর দেশে আসি। বিদেশের মাটিতে আয় রোজগার করে স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাই। গত ২৫ মার্চ দেশে আসি। বিদেশ থাকাকালীন বাড়িতে স্ত্রীর কাছে লাখ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার পাঠিয়েছি। এ সুযোগে মনোয়ারা বেগম প্রতিবেশী দুলাল মিয়ার সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়।
এ ঘটনা আমি শুনতে পেয়ে দেশে ফিরে স্ত্রী ও দুলালের অপকর্মের প্রতিবাদ করলে তাঁরা আমাকে অকথ্যভাবে গালিগালাজ করে এবং হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলার হুমকি দেয়। আমাকে ভিটে মাটি ছাড়ার হুমকিও দিয়েছে দুলাল ও মনোয়ারা। এ ব্যাপারে মাধবপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি।
এরপর স্ত্রী মনোয়ারা ও তার পরকীয়া প্রেমিক দুলাল মিয়ার হুমকির মুখে আমি সন্তানদের নিয়ে এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ বিষয়ে মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘এ ব্যাপারে জলিল মিয়া একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি তদন্ত চলছে।’
Sotto TV We Publish technology, various types of tips, career tips, banking information, methods of earning online